নয়াদিল্লি, 24 মে: নায়ক-নির্মাতার আবেদন খারিজ করল আদালত ৷ সত্যজিৎ রায় পরিচালিত এবং আরডি বনশল প্রযোজিত এই সিনেমাটি চিত্রনাট্যে অধিকার কার ? এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রযোজক সংস্থা ৷ এই চলচ্চিত্রের স্ক্রিন-প্লে বা চিত্রনাট্যটি উপন্যাস হিসেবে প্রকাশ করে হারপার কলিন্স ৷ তাতে স্থগিতাদেশ জারির জন্য দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল আর ডি বনশন অ্যান্ড কোং ৷ মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট সেই আবেদন নাকচ করে দেয় ৷
1966 সালে মুক্তি পায় সত্যজিৎ রায়ের 'নায়ক' ৷ এতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমার এবং শর্মিলা ঠাকুর ৷ কাঞ্চনজঙ্ঘার পর এটিই দ্বিতীয় সিনেমা, যার চিত্রনাট্যটি আগাগোড়া লিখেছিলেন অস্কারজয়ী পরিচালক নিজে ৷ আজ 57 বছর বাদেও বাঙালি দর্শকদের পছন্দের সিনেমার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে 'নায়ক' ছবিটি।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সি হরি শঙ্কর আবেদন খারিজ করে জানান, 'নায়ক' সিনেমার স্ক্রিনপ্লে বা চিত্রনাট্যটি লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায় ৷ তাই তিনিই এর কপিরাইটের প্রথম দাবিদার ৷ তিনি চাইলে এই চিত্রনাট্য উপন্যাসের আকারে প্রকাশ করতেই পারতেন ৷ তাঁর সেই অধিকার ছিল ৷ তাঁর মৃত্যুর পর সেই অধিকার তাঁর ছেলে সন্দীপ রায় এবং অন্যদের ৷
আাদালত এই নির্দেশ ঘোষণার সময় জানায়, "নায়ক চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের কপিরাইটের প্রথম মালিক সত্যজিৎ রায় ৷ তাই একে উপন্যাস হিসেবে প্রকাশ করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সত্যজিৎ রায়ের ৷ তিনি এই অধিকারটি অন্য কাউকে দিতে পারেন ৷ তাঁর মৃত্যু হওয়ায় কপিরাইট অ্যাক্টের 18(1) 44 ধারা অনুযায়ী এখন সেই অধিকার তাঁর সন্তান এবং অন্যদের ৷" এবার সত্যজিৎ-পুত্র সন্দীপ রায় এবং এসপিএসআরএ 'নায়ক' চলচ্চিত্রটিকে উপন্যাস হিসেবে ছাপবেন কি না, তা ঠিক করবেন ৷
'নায়ক' চলচ্চিত্রের প্রযোজক সংস্থা আরডি বনসল অ্যান্ড কোং আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ৷ তাদের দাবি, আরডিবি অ্যান্ড কোং পরিচালক সত্যজিৎ রায়কে এই সিনেমাটির স্ক্রিনপ্লে বা চিত্রনাট্য লেখার দায়ভার দিয়েছিল ৷ তাই এর চিত্রনাট্যের কপিরাইটে তাদেরই অধিকার ৷ প্রসঙ্গত, 2018 সালের 5 মে এটি উপন্যাস হিসেবে প্রকাশ করে প্রকাশনা সংস্থা হারপার কলিন্স ৷ আর চিত্রনাট্যটি উপন্যাস হিসেবে লেখেন ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: সত্যজিতের ধারা মেনেই অপরাজিতর লোগোর খসড়া আঁকলেন অনীক