নয়াদিল্লি, 20 জুন : সোমবার থেকে রাজধানী দিল্লিতে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও শিথিল করতে চলেছে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার ৷ আগামিকাল থেকে দিল্লিতে বার খোলার অনুমতি দিয়েছে দিল্লি প্রশাসন ৷ সেই সঙ্গে রেস্তরাঁগুলি খোলা রাখার সময় দিনে ও রাতে আরও 2 ঘণ্টা করে 4 ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে ৷ পাবলিক পার্ক, গার্ডেন, গল্ফ ক্লাব এবং আউটডোর যোগাসনের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়া হয়েছে ৷ তবে, এক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মবিধি মেনে বার, পার্ক, গল্ফ ক্লাবগুলি খুলতে পারবে কর্তৃপক্ষ ৷
যেমন বেলা 12টা থেকে রাত 10টা পর্যন্ত পঞ্চাশ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে বার খোলা রাখা যাবে ৷ রেস্তরাঁর ক্ষেত্রে সকাল 8টা থেকে রাত 10টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে ৷ আগে যেখানে রেস্তরাঁ খোলা রাখার সময় ছিল সকাল 10টা থেকে রাত 8টা ৷ প্রসঙ্গত, দিল্লিতে লকডাউন তুলে দিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করার এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেব চিকিৎসকরা ৷ এ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট গত শুক্রবার মামলাও দায়ের হয়েছে ৷ যেখানে বেগালামভাবে নাগরিকদের চলা ফেরার ছবি তুলে ধরেছেন এইমস’র চিকিৎসকরা ৷ যা নিয়ে দিল্লি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে ৷ পাশাপাশি দিল্লি প্রশাসনের এমন অবিবেচকের মতো কাজের সমালোচনাও করে দিল্লি হাইকোর্ট ৷
আদালত ও চিকিৎসকদের কথা গুরুত্ব না দিয়ে এবার করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরও শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর প্রভাবে গত এপ্রিল এবং মে মাসে জাতীয় রাজধানীতে হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন ৷ দিল্লির স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত ভেঙে পড়েছিল ৷ মেডিকেল অক্সিজেনের অভাব চরমে উঠেছিল ৷ এই পরিস্থিতিতে কীভাবে এতটা ছাড় দিচ্ছে কেজরিওয়াল সরকার সে নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ এ নিয়ে দিল্লি সরকারের সাফাই - ছাড় দেওয়া হলেও সুরক্ষা সংক্রান্ত সব নিয়মে কড়া নজর রাখা হবে ৷ বার, রেস্তরাঁ, পার্কগুলিতে প্রতিনিয়ম নজরদারি চালানো হবে ৷
আরও পড়ুন : করোনায় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয় ; সুপ্রিম কোর্টে বলল কেন্দ্র
তবে, এতে করোনার তৃতীয় ঢেউকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দিল্লি এইমস’র প্রধান তথা কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া ৷ যা আগামী 6-8 সপ্তাহের মধ্যে হানা দিতে পারে ৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা আনলক করতে শুরু করেছি ৷ যা করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধকে ফের বুড়োআঙুল দেখাতে শুরু করবে ৷ আমরা প্রথনম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিতে পারিনি ৷ আবার ভিড় বাড়তে শুরু করবে, লোকজন জমায়েত করবে ৷ যা খুব দ্রুত দেশে সংক্রমণকে বাড়িয়ে দেবে ৷’’