গ্রেটার নয়ডা, 22 জুলাই: "আমি বাড়ি ফিরতে পারব না। পাকিস্তানে আমার জন্য মৃত্যু অপেক্ষা করছে।" তদন্তকারীদের কাছে এমনই অনুরোধ করলেন সীমা হায়দার ৷ প্রেমের টানে পাকিস্তানের করাচি থেকে নেপাল হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন তিনি ৷ অনলাইন গেম খেলতে খেলতে ভারতের সচিন মিনার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ৷ সেই পরিচয় প্রেমের সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায় ৷ প্রেমিকের জন্য সব ছেড়ে ভারতে আসেন সীমা ৷
তবে তিনি কি সত্যিই ভালোবাসার জন্য এদেশের এসেছেন ? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে গুপ্তচরবৃত্তি ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে সন্ত্রাস দমন শাখা বা অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড ৷ সীমা হায়দার, তাঁর প্রেমিক সচিন মিনা এবং তাঁর বাবাকে একাধিকবার জেরা করছেন তদন্তকারীরা ৷ এমনকী সীমা হায়দারের সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ পাওয়া না-গেলে তাঁকে পাকিস্তানে ফিরে যেতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
এদিকে সীমা ভারত ছেড়ে যেতে চান না ৷ তিনি এটিএসের তদন্তকারীদের কাছে তাঁর কাতর আবেদন, "আমি আমার দেশে ফিরতে পারব না ৷ পাকিস্তানে আমার পরিণতি মৃত্যুই হবে ৷" তাঁর দাবি, তদন্তকারী সংস্থাকে তিনি সত্যি কথা বলেছেন ৷ কারণ, একটা মিথ্যেকে লুকোতে গিয়ে 100টা মিথ্যে বলতে হয় ৷ তাই তিনি সত্যের পথই বেছে নিয়েছেন ৷ সীমার কাতর অনুরোধ, "আমি ভারতের বউ ৷" তাঁর বিশ্বাস দেশের আইন ন্যায্য বিচারই করবে ৷
এদিকে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সম্প্রতি সীমা হায়দারের কাছ থেকে সম্প্রতি দু'টি ভিডিয়ো ক্যাসেট, চারটি মোবাইল ফোন, পাঁচটি পাকিস্তানি পাসপোর্ট এবং একটি অব্যবহৃত পাসপোর্ট পেয়েছে ৷ এতেই অবাক পুলিশ ৷ প্রশ্ন উঠেছে, সীমা কি সত্যিই ভালোবাসার জন্য ভারতে এসেছে, নাকি তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর ?
আরও পড়ুন: প্রেমের শুরু কাঠমাণ্ডুতে ! সীমা-সচিন বিতর্কে নয়া মোড়
সীমার ভারতে থাকার খবর সামনে আসতেই পাকিস্তান থেকে হুমকি ফোন আসছে ৷ বলা হয়েছে, তাঁকে পাকিস্তানের হাতে তুলে না-দিলে ফের একটা 26/11-র মতো ঘটনা ঘটবে ৷ কয়েকটি সংগঠনও সীমার ভারতে থাকার বিরোধিতা করেছে ৷