নয়াদিল্ল, 28 মার্চ: কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিক্ষোভ মঙ্গলবারও অব্যাহত রইল (Congress to continue black protest) ৷ এদিনও রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজের ইস্যুতে হইচই হয় সংসদে ৷ যার জেরে অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকসভা ও রাজ্যসভা মুলতুবি হয়ে যায় ৷ অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে মশাল মার্চ করার পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস ৷ ওই দলের সূত্র থেকে এমনই জানা গিয়েছে ৷ লালকেল্লা থেকে দিল্লির টাউন হল পর্যন্ত ওই পদযাত্রা হবে বলে খবর ৷ সেখানে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-সহ কংগ্রেসের সব সাংসদরা উপস্থিত থাকবেন বলে খবর ৷
প্রসঙ্গত, রবিবার থেকে কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিগুলি শুরু হয়েছে ৷ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে পড়ল এই কর্মসূচি ৷ এদিনও যে বিজেপির বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ করা হবে, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত সোমবার সন্ধ্যাতেই কংগ্রেসের তরফে নেওয়া হয় ৷ ওইদিন সন্ধ্য়ায় নয়াদিল্লিতে খাড়গের বাসভবনে বিরোধীদের বৈঠক বসেছিল ৷ সেই বৈঠকে 18টি বিরোধী দল উপস্থিত ছিল ৷ সেই তালিকায়, ডিএমকে, এনসিপি, জেডিইউ, বিআরএস, সিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলি ছিল ৷
সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় ভাগে কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা বিরোধী বিক্ষোভে দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যাচ্ছিল তৃণমূলকে ৷ কিন্তু রাহুল ইস্যুতে যে তারা কংগ্রেসের পাশেই থাকছে, তা তাদের এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ তবে গত শনিবার সাভারকর নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাহুলের উপর রুষ্ট উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ৷ তারা মনে করে রাহুলের ওই ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি ৷ এই পরিস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যার বৈঠকে ওই দলের কোনও নেতাই উপস্থিত ছিলেন না ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় মোদি পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে সুরাত আদালতে মামলা দায়ের করেন গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি ৷ গত বৃহস্পতিবার সেই মামলায় দু’বছরের সাজা হয়েছে রাহুল গান্ধির ৷ তাই তাঁর সাংসদ পদও খারিজ হয়েছে (Rahul Gandhis disqualification from Parliament) ৷ তাঁকে সরকারি বাংলো খালি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ রাহুলও জানিয়েছেন যে তিনি সরকারি বাংলো খালি করে দেবেন ৷
কিন্তু ইস্যুতে শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক কংগ্রেস ৷ প্রথম দিকে রাহুল মুখ না খুললেও কংগ্রেসের অন্য নেতারা নিশানা করছিলেন বিজেপিকে ৷ গত শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল আরও একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শিল্পপতি গৌতম আদানিকে আক্রমণ করেন ৷
আরও পড়ুন: নেই সাংসদ পদ, এবার তুঘলক লেনের বাংলো ছাড়ার নোটিশ রাহুলকে