ইম্ফল, 21 সেপ্টেম্বর: ইম্ফলে ফের কার্ফু ৷ বৃহস্পতিবার পাঁচ ধৃতকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে অশান্ত হয়ে ওঠে শহর ৷ এই ধৃতদের মধ্যে একজন নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য ৷ এই সপ্তাহের প্রথমে তোলাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৷ বৃহস্পতিবার ছ'টি স্থানীয় ক্লাব এবং মেইরা পাইবিসের সদস্যরা এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছিল ৷ এই দলটি নিজেরাই ইম্ফলে নজরদারির দায়িত্ব নিয়েছে ৷
বিক্ষোভস্থলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জনতার রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাধে ৷ শ'য়ে শ'য়ে ইম্ফলবাসী থানার সামনে জমায়েত করে ৷ ওই পাঁচজনকে কোনও শর্ত ছাড়াই মুক্ত করার দাবি জানাতে থাকে ৷ হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে থানার সামনে স্লোগান দিতে থাকে ৷ ইম্ফল ইস্টের পরমপাত থানা এবং ইম্ফল ওয়েস্টের সিংজামেই থানা ও কোয়াকেইথেল থানার আউটপোস্টে প্রবেশের চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধ জনতা ৷
পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ও ব়্যাফের যৌথ নিরাপত্তাবাহিনী টিয়ার গ্যাস ছোড়ে ৷ এই ঘটনায় 10 জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন ৷ সরকারি সূত্রে খবর, এরপরই মণিপুর সরকার ইম্ফলের দু'টি জেলায় কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেয় ৷ বিকেল 5টা থেকে এই কার্ফু শুরু হয়েছে ৷
প্রতিবাদে অংশ নেওয়া একজন জানান, বিক্ষোভে নামা ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও উপায় নেই ৷ গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন ৷ সরকার তাঁদের মুক্তি দেয়নি ৷ ওই স্বেচ্ছাসেবীরা জেলে গেলে, গ্রামগুলি রক্ষা করবেন কারা ? পাহাড় এবং উপত্যকার সীমানায় কুকি জো-র জঙ্গি সংগঠন রয়েছে ৷ এই স্বেচ্ছাসেবীরাই মেইতেই গ্রামগুলি পাহারা দেয় ৷
আরও পড়ুন: চলছে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা কারবার, মণিপুর কি নতুন কাম্বোডিয়া ?
এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে ৷ তারা আমজনতার কাছ থেকে টাকা তুলত বলে দাবি প্রশাসনের ৷ পাশাপাশি ইনসাস রাইফেলের মতো মারাত্মক সব অস্ত্রশস্ত্র নিয়েও ঘুরে বেড়াত ৷ সরকারি সূত্রের খবর, এই অস্ত্রগুলি পুলিশের অস্ত্রাভাণ্ডার থেকে লুঠ করা হয়েছিল ৷ এর আগে মণিপুর পুলিশের তরফে সতর্ক করা হয়, কেউ যেন পুলিশের উর্দি গায়ে চাপিয়ে কোনও রকম অনৈতিক কাজ না-করে ৷ তাহলে কঠিন পদক্ষেপ করা হবে ৷ এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে সেরকম অভিযোগ ওঠায় এদের গ্রেফতার করা হয়। এবার তাদের মুক্তির দাবিতে পরিস্থিতি এতটাই উত্তাল হয়ে উঠল যে ইম্ফলে আবারও কার্ফু জারি করতে হল প্রশাসনকে।