ক্রোনি ক্যাপিটালিজ়ম পুঁজিবাদের একটি কুৎসিত দিক ৷ যেখানে ব্যবসায়ের সাফল্য নির্ভর করে সরকারের তরফে দেখানো পক্ষপাতিত্বের উপর ৷ আর এই পক্ষপাতিত্বের মধ্যে থাকে সরকারি অনুদান, কর ছাড়, পারমিট দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপযুক্ত বরাদ্দ, আগে থেকে ঠিক করা দরপত্র এবং অন্যান্য সুবিধা পাইয়ে দেওয়া ৷ এর অধীনে খুব অল্প সংখ্যক ব্যবসায়ী নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ৷ সরকারের নীতিতে প্রভাব খাটায় ৷ সেখানে একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে জনসাধারণের ভালো বা জাতীয় স্বার্থের বিনিময়ে সহজে সহজ বেসরকারি সম্পদ অর্জন করা ৷ এখানে রাজনৈতিক শ্রেণি এবং ব্যবসায়িক শ্রেণির মধ্যে অনৈতিক একটি চক্র তৈরি হয় ৷ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা উচ্চমানের পণ্য ও পরিষেবা দেওয়ার বদলে এই চক্র ‘ব্যবসায়িক সাফল্য’ নির্ধারণ করে ৷ ক্রোনি ক্যাপাটিলজমের একটি আর্থিক ব্যয় (সংস্থাগুলির জন্য স্বল্প কর এবং ব্যাংকগুলির ব্যালান্স শিটগুলিতে সন্দেহজনক ঋণের কারণে), এবং একটি সামাজিক ব্যয় (আর্থিক উন্নয়নের ক্ষতির কারণে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মানব বিকাশে বিনিয়োগ হ্রাসের কারণে) রয়েছে ৷ সংক্ষেপে বলা যায়, এটি সমাজে উচ্চ বৈষম্যের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয় ৷ যেখানে মানবিক ও অর্থনৈতিক বিকাশ বিস্তার লাভ করে না ৷
ক্রোনি ক্যাপিটলিজম সূচক অনুযায়ী, ভারত ক্রোনি ক্যাপিটলিজমে নবম স্থানে রয়েছে (22 টি দেশের মধ্যে) ৷ ক্রোনি সেক্টরের সম্পদের পরিমাণ জিডিপি এর 3.4 শতাংশ ৷ 2016 সালে দ্য ইকোনমিস্টের তরফে করা একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে ৷ 2014 সালেও ভারত এই তালিকায় নবম স্থানেই ছিল ৷ এই সূচকের থেকে প্রমাণিত হয় যে ক্রোনি ক্যাপিটলিজমের প্রভাব অর্থনীতিতে কতটা খারাপ ভাবে পড়লে মানুষের জীবনযাত্রায় এর ধাক্কা লাগে ৷ 1991 সাল থেকে ভারতে একাধিক অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু হয় ৷ এর ফলে তখন থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলি প্রবেশ করতে শুরু করে ৷ যে ক্ষেত্রগুলিতে ওই সময়ের আগে সরকারি সংস্থাগুলির একছত্র আধিপত্য ছিল ৷ এর মধ্যেই ছিল পেট্রোলিয়াম, কয়লা এবং লৌহ আকরিকের খনির মতো প্রাকৃতিক সম্পদের শিল্পগুলি ৷ সেবি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া), আইআরডিএ (ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি) এবং ট্রাই (টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) এর মতো স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তৈরি করে সরকার ৷ এদের কাজ ছিল সরকারি নিয়ম ও নীতির সঙ্গে যাতে বেসরকারি ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি এবং সরকারি ক্ষেত্রের পিএসই গুলির সামঞ্জস্য থাকে, সেই বিষয়ে নজর রাখা ৷ হর্ষদ মেহতা স্টক মার্কেট স্ক্যাম (1992) এবং হাওয়ালা স্ক্যান্ডাল (1996) এর মতো কিছু দুর্নীতি সত্ত্বেও 1990 এর দশকে ভারত উদার বাজার ভিত্তিক পুঁজিবাদের দিকে ভারতীয় অর্থনীতির রূপান্তর ভালো ভাবে ঘটেছে ৷ দেশীয় ও বিশ্বের বাজারে বহু ভারতীয় সংস্থা প্রতিযোগী হয়ে ওঠে ৷
ভারতে হওয়া দুর্নীতি
একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই ভারতে দফায় দফায় একাধিক দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে ৷ প্রায় প্রতিটি দুর্নীতির ক্ষেত্রে একেবারে শিকড় ছড়িয়ে ছিল সরকারি ব্যবস্থা, কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কিছু মুখ্যমন্ত্রী এবং ক্রোনি পুঁজিপুতিদের মধ্যে হওয়া অবৈধ চক্র পর্যন্ত ৷ দেশে অর্থনৈতিক প্রশাসনের মানের দ্রুত অবনতির চিত্র তুলে ধরা পড়েছে এর মাধ্যমে ৷ এই ধরনের কিছু কুখ্যাত দুর্নীতির জন্য ভারতের সম্মানে আঘাত লাগে ৷ আর সরকারি তহবিলেও ব্যাপক ক্ষতি হয় ৷ এই দুর্নীতির গুলির মধ্যে অন্যতম 2জি স্পেক্ট্রাম বণ্টন কেলেঙ্কারি (2008), সত্যম কেলেঙ্কারি (2009), কমনওয়েলথ গেমস দুর্নীতি (2010), কয়লা বণ্টন কেলেঙ্কারি (2012), বেলারি খনি কেলেঙ্কারি (2006-10), অন্ধ্র প্রদেশে কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিন বিতর্ক, যাতে রিলায়েন্স জড়িত ছিল (2011 সালের সিএজি রিপোর্ট), বিজয় মালিয়া ব্যাঙ্ক প্রতারণা ও অর্থ তছরূপ কেলেঙ্কারি (2016) এবং নীরব মোদি পিএনবি প্রতারমা মামলা (2018) ৷
আরও পড়ুন : অর্থ মন্ত্রকের ব্যাক গিয়ারকে কটাক্ষ বিরোধী শিবিরের
দীর্ঘ সময় ধরেই ভারতে সম্পদের বণ্টন অসম ভাবেই হয়ে আসছে ৷ অক্সফ্যাম এর একটি রিপোর্ট অনুসারে (2020 সালে প্রকাশিত হয়), 2018-19 সালে ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট যা ছিল, তার থেকে বেশি 63 জন বিলিয়নিয়রের সম্পত্তির পরিমাণ ৷ মোট দেশীয় পণ্য বা জিডিপি তে বিলিয়নিয়রদের সম্পত্তির যে শতাংশ, তা সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি ৷ সম্পদ তৈরির প্রাথমিক উৎস হল ‘রেন্ট-থিক’ সেক্টর ৷ এর মধ্যে রয়েছে রিয়েল এস্টেট, নির্মাণ, পরিকাঠামো ও বন্দর, মিডিয়া, সিমেন্ট ও খনি সেক্টরগুলি ৷ অক্সফ্যামের রিপোর্ট আরও জানায় যে ভারতের শীর্ষস্তরের 1 শতাংশ ধনী দেশের মোট সম্পদের 42.5 শতাংশ দখল করে রেখেছে ৷ অন্যদিকে নিচের দিকের 50 শতাংশ জনসংখ্যার কাছে রয়েছে প্রায় 2.8 শতাংশ সম্পদ ৷
সমস্যার সমাধান করতে হবে
সরকার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে তৈরি হওয়া বেআইনি চক্র তৈরি হওয়ার জেরে যে দুর্নীতি হয়, তা 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু তৈরি হয়েছিল ৷ ইউপিএ-2 সরকারের ভয়ঙ্কর ভাবে হেরে যাওয়ার পিছনেও এটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ব্যবসাকে আরও সহজ করার লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ৷ শিল্প মহল সামগ্রিক ভাবে সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল ৷ যদিও এলআইসি এর মতো একটি লাভজনক ও ভালো কাজ করা সংস্থার বিলগ্নিকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কেন্দ্রের বেসরকারি করণের সামগ্রিক সিদ্ধান্তের অঙ্গ এই বিলগ্নিকরণ ৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে ৷ কারণ, এতে কিছু ব্যবসায়ীর সুবিধা হবে বলে অভিযোগ উঠছে ৷ ভাইজাগ স্টিল প্ল্যান্টকে বেসরকারিকরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াতে অন্ধ্র প্রদেশ সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা রাখার অভাব জনগণের সব অংশের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল । এই ধরনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োগ করার সময় সরকারকে আরও স্বচ্ছ, যুক্তিবাদী ও সংহত হতে হবে ৷
ক্রোনি পুঁজিবাদ দমনে কী করা দরকার ?
2017 সালে আজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ে চিরঞ্জিব সেন নামে একজন সমীক্ষা করেন ৷ সেখানে এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কৌশলের প্রস্তাব করা করেন ৷ যেখানে ক্রোনি ক্যাপিটলিজমকে নিয়ন্ত্রণ করার কাজ একাধিক স্তরে একযোগে হওয়া দরকার । এই কৌশলের 4 টি বিষয় হল : রাজনৈতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার সংস্কার ; নীতি নির্ধারণ করার প্রক্রিয়ার সংস্কার ; অডিট করার প্রতিষ্ঠান গুলিকে আরও শক্তিশালী করা ; এবং ব্যবসায়ের পরিবেশের সংস্কার করা ।
আরও পড়ুন : পিএফ, ব্যাঙ্ক-আমানতে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার কেন্দ্রের
নির্বাচনে জয়ের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির তহবিলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং ক্রোনি পুঁজিপতিদের তরফে সেই তহবিলে অর্থ সরবরাহকেই ক্রোনি ক্যাপিটলিজমের মূল কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয় । ভারতে রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়কর প্রদান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় । কোনও একজন প্রার্থীর ক্ষেত্রে নির্বাচনে খরচের সর্বাধিক সীমা থাকে ৷ কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির জন্য এই ক্ষেত্রে কোনও সীমা নেই । অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুমান করেছে যে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলিতে যে টাকা দান হিসেবে আসে, তার 73 শতাংশের ‘উৎসই অজানা’ থেকে যায় ৷ ক্রোনি ক্যাপিটালিজমকে রাজনৈতিক দলগুলির প্রচুর পরিমাণ তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক বিকল্প ও প্রাকৃতিক পরিণতি হিসাবে বিবেচনা করা হয় ৷ রাজনৈতিক অনুদান ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহি করার ব্যবস্থা জরুরি ভিত্তিতে আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ৷
2018 সালের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনী বন্ডের প্রকল্পটি নিয়ে আসে ৷ তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এর তরফে৷ আবেদনকারী জানান যে প্রায় সমস্ত নির্বাচনী বন্ডের অনুদান কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দলের পক্ষে রয়েছে ৷ এবং বেশিরভাগ বন্ডে 10 লক্ষ এবং 1 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ যার অর্থ হল এই প্রকল্পগুলি প্রাথমিকভাবে কর্পোরেশনগুলি ব্যবহার করছে (যারা এই প্রকল্পের অধীনে নাম প্রকাশ না করে) কোনও ব্যক্তি বিশেষ ব্যবহার করছে না ৷ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তার হলফনামায় যুক্তি দিয়েছিল যে এই প্রকল্পটি রাজনৈতিক অর্থায়নে স্বচ্ছতার লক্ষ্যের পরিপন্থী । নির্বাচন কমিশন আরও যুক্তি দিয়েছিল যে কোম্পানি আইনের সংশোধনের ফলে লুকিয়ে থাকা সংস্থাগুলির মাধ্যমে কালো টাকার অনুপ্রবেশ ঘটাতে পারে এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে বিদেশী সংস্থাগুলির উপর প্রভাব তৈরির দিকে বেশি আগ্রহী করে তুলতে পারে ৷ নির্বাচন কমিশন এই বিষয়েও জোর দিয়েছিল যে এফসিআরএ, ২০১০ (ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট) এর সংশোধনীগুলি ভারতীয় সংস্থাগুলির সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশীদার হয়ে যাবে বিদেশি সংস্থাগুলি ৷ রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দিয়েই তারা এই কাজ করে ফেলবে ৷ এখনও এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে স্থগিত অবস্থায় রয়েছে ।
আরও পড়ুন : করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতের অর্থনীতি, মত বিশ্বব্যাঙ্কের
দ্বিতীয়ত, যে কোনও ধরনের বিলগ্নিকরণের ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণের প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ, পরামর্শমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক করতে হবে । সিএজি কয়লা ব্লক কেলেঙ্কারিতে এই প্রক্রিয়ার বিচ্যুতির বিষয়টি সামনে এনেছিল ৷ নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরামর্শের জন্য মন্ত্রী ও আমলাদের নিয়ে করার বদলে তা উন্মুক্ত ফোরামগুলিকে প্রাতিষ্ঠানিক করতে হবে এবং তা আইন অনুসারে করতে হবে ৷ অনেক দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নেও নীতি দ্বারা প্রভাবিত ব্যক্তিদের এবং যারা এই নীতি বাস্তবায়ন করে তাঁদের সঙ্গে জড়িতদের একটি বিস্তারিত পরামর্শ করার ব্যবস্থা রয়েছে ৷ প্রক্রিয়া শুরুর আগে সুবিধাভোগী-পুঁজিবাদী প্রাক-নির্ধারণের ফলে পুনর্বিন্যাস বা বেসরকারিকরণ করার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গুরুতর সন্দেহ তৈরি হবে ।
তৃতীয়ত, সিএজি এবং পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিগুলির মতো সংসদীয় ফোরামের মতো অডিট করার প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও শক্তিশালী করা দরকার । স্বায়ত্তশাসন দিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য সিএজি এর ক্ষমতা বাড়ানো উচিত । এনজিওর সহযোগিতায় খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদিতে বড় সরকারি কর্মসূচির বিষয়ে বিনোদ রাইয়ের অধীনে সিএজি এক অফিস দ্বারা সামাজিক অডিট করার একটি ভালো অনুশীলন শুরু হয়েছিল ।
চতুর্থত, আমাদের ব্যবসায়ের পরিবেশে কিছু কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করা প্রয়োজন ৷ যেমন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে শক্তিশালী করা, শিল্প সংক্রান্ত সংগঠনগুলির মাধ্যমে ক্রোনি ক্যাপিটলিজমের বাইরে থাকা সংস্থাগুলিকে আরও সক্রিয় করা এবং নিলামের প্রক্রিয়াতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি করা উচিত । ক্রোনি পুঁজিপতিরা নিজেদের ক্ষমতার মাধ্যমে যে ব্যাঙ্কের ব্যবস্থায় প্রভাব সৃষ্টি করে, তা কমাতে হবে৷
এই পুঁজিপতিদের সরকারি ব্যাংকগুলিতে যে অ্যাকাউন্ট থাকে, তার বেশির ভাগই এনপিএ হয় ৷ ব্যাংকগুলিকে ব্যালান্সশিট ঠিক করার কাজে জোর দিতে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া দরকার ।