নয়াদিল্লি, 16 এপ্রিল: অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত, তবে তা দেশের আইন অনুসারে হতে হবে । গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরাফকে প্রয়াগরাজে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় রবিবার এই কথা বললেন কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ৷
তিনি এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, "আমাদের দেশের সংবিধানে আইনের শাসন সর্বোত্তম । অপরাধীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত, তবে তা দেশের আইনের অধীনে হওয়া উচিত ।" কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনের শাসন এবং বিচারিক প্রক্রিয়া লঙ্ঘন করা দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেন রমেশ ।
তাঁর মতে, যাঁরাই এই কাজ করেন, বা যাঁরা এই ধরনের কাজ করে অপরাধীদের সুরক্ষা দেন, তাঁদেরও দায়ী করা উচিত এবং তাঁদের উপর আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত ৷ রমেশের কথায়, বিচার ব্যবস্থা ও আইনের শাসন সর্বদা যাতে অক্ষরে অক্ষরে সম্মানীত হয়, তা নিশ্চিত করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকা উচিত ৷
আতিক ও তাঁর ভাই আশরাফকে গুলি করে হত্যার পর আত্মসমর্পণকারী তিন হামলাকারীকে আজ ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হবে । তিন হামলাকারীই স্বেচ্ছায় আত্মপ্রকাশের পর ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের আটক করা হয় । তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে । আইন অনুযায়ী, এই পদ্ধতিতে যে কোনও অপরাধী ধরা পড়লে তাঁকে 24 ঘণ্টার মধ্যে রিমান্ড ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করতে হয় । উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যজুড়ে 144 ধারা জারি করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ।
আতিক আহমেদ 2005 সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যার পাশাপাশি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিএসপি নেতার হত্যার মূল সাক্ষী উমেশ পালকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন । শনিবার রাতের ঘটনার তদন্তে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: 'উত্তরপ্রদেশে 356 ধারা জারির পরিস্থিতি কি হয়নি ?' বিজেপিকে প্রশ্ন কুণালের