নয়াদিল্লি, 10 অগস্ট : সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া আইনপ্রণেতাদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া ফৌজদারি মামলা কোনও আইনজীবী প্রত্যাহার করতে পারবেন না ৷ মঙ্গলবার তার পর্যবেক্ষণে একথা জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ এদিন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার (NV Ramana) নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ তার নির্দেশিকায় সাফ জানিয়ে দেয়, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টের অনুমোদন ছাড়া কোনওভাবে বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলা তুলে নেওয়া যাবে না ৷
আরও পড়ুন : Future - Reliance Merger : সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা রিলায়েন্সের, ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি কার্যকরে না
কেরালা বিধানসভায় অশান্তির ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, 2020 সালের সেপ্টেম্বর থেকে যেসমস্ত বিধায়ক বা সাংসদদের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, সেগুলি ফের একবার খতিয়ে দেখতে হবে হাইকোর্টগুলিকে ৷ প্রসঙ্গত, 2015 সালে বাজেট পেশের সময় কেরালা বিধানসভায় তুমুল অশান্তি ছড়ায় ৷ যার জেরে সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ধারায় মামলা রুজু করা হয় ৷ পরবর্তীকালে রাজ্য সরকার শাসকদলের ওই জনপ্রিতিনিধিদের বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলি প্রত্যাহার করে নেয় ৷ সুপ্রিম কোর্টের সাফ কথা, রাজ্য সরকার এমনটা করতে পারে না ৷ এমনকী, সরকারের এই পদক্ষেপে সায় দিতেও অস্বীকার করে আদালত ৷
আরও পড়ুন : editors guild : সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিট গঠন করে তদন্তের দাবিতে মামলা এডিটরস গিল্ডের
এরই প্রেক্ষিতে দেশের সমস্ত হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলদের একটি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ তাতে বলা হয়েছে, যে বিচারপতিরা বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে চলা ফৌজদারি মামলার শুনানি শুনছেন, তাঁদের সকলের নামের তালিকা এবং সংশ্লিষ্ট মামলাগুলির বিস্তারিত বিবরণ শীর্ষ আদালতে পেশ করতে হবে ৷ প্রত্যেক বিচারপতি তাঁর সময়কালে মোট কতগুলি এই ধরনের মামলা শুনেছেন ও নিষ্পত্তি করেছেন, তাও জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টকে ৷ পাশাপাশি, কোনও মামলা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে কি না, কোনও মামলার রায়দান স্থগিত করে রাখা হয়েছে কি না, সেই সব তথ্যও চেয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ৷ এই বেঞ্চের বাকি দুই সদস্য হলেন বিচারপতি বিনীত সারন এবং বিচারপতি সূর্যকান্ত ৷ বিজেপির এক সদস্য এবং অশ্বিনী উপাধ্যায় নামে এক আইনজীবী শীর্ষ আদালতে একটি মামলা করেছেন ৷ তাতে বিধায়ক ও সাংসদদের বিরুদ্ধে চলা মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশেষ আদালত গঠন এবং ফাস্ট ট্র্যাক পদ্ধতিতে শুনানির আবেদন জানানো হয় ৷ তারই প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷