হমীরপুর (উত্তরপ্রদেশ), 26 নভেম্বর: রবিবার ভোরে হাড়হিম করা জোড়া হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের হমীরপুর জেলার মুশকুরা থানা এলাকার পাহাড়ি ভিটারি গ্রাম ৷ অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরে স্বামী দেওয়াল বেয়ে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত স্ত্রী'র বিছানায় আগুন লাগিয়ে দেয় ওমপ্রকাশ রাজপুত ৷ যন্ত্রণায় চেঁচাতে থাকলে মহিলাকে বাঁচাতে আসে তাঁর বাবা (শ্বশুর) ৷ নিমেষের মধ্যে চোখের সামনে দাউদাউ করে জীবন্ত ঝলসে যায় বছর চল্লিশের অনুসুইয়া ৷ এই ঘটনায় প্রতিবাদ করলে পাথর দিয়ে থেঁতলে শ্বশুরকেও খুন করে ওমপ্রকাশ ৷
দু'জনকে খুনের পর থেমে থাকেনি সে ৷ নিজের সন্তানদেরও শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে ৷ তবে তা বিফলে যায় ৷ এরপর পিস্তল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করে অভিযুক্ত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকরা পৌঁছন। সূত্রের খবর, মুসকরা থানা এলাকার পাহাড়ি ভিটারি গ্রামের বাসিন্দা ওমপ্রকাশ রাজপুত (42) তার স্ত্রী অনুসুইয়া (40), মেয়ে কেবিসি (17), জুলি (12) এবং ছেলে প্রিন্স (10) নিয়ে থাকতেন। প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রী'র মধ্যে ঝগড়া হত। এরই জেরে গত পাঁচ মাস ধরে স্ত্রী অনুসুইয়া তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে রথ কোতোয়ালি এলাকার লীলাবতী নগর পাঠানপুরা এলাকায় থাকতেন ৷
মেয়ে কেবিসি, জিআরভি ইন্টার কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ৷ সে জানায়, শহরের লীলাবতী নগর পাঠানপুরায় তাঁর মা অনুসুইয়া, বোন জুলি এবং ভাই প্রিন্সের সঙ্গে থাকে। কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় তাদের বাড়ি নির্মাণের কাজ চলছিল। বৃহস্পতিবার তার দাদু (মায়ের বাবা) নন্দকিশোর (60) লোদিপুরা থেকে তাদের বাড়িতে আসে ৷
মাঝরাতের পর বাবা দেওয়াল বেয়ে ঘরে প্রবেশ করে ৷ প্রথমে মাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানায় আগুন দেয় । মা এদিক-ওদিক চিৎকার করে দৌড়তে থাকে। চিৎকার শুনে দাদু ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বাবা তাঁকে মাটিতে ফেলে পাথর দিয়ে থেঁতলে মেরে ফেলা হয় ৷
কেবিসি আরও জানায়, তার বাবা তাকে এবং ভাই প্রিন্সকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু দু'জনে কোনওমতে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ এরপর বাবা নিজেই পিস্তল দিয়ে বুকে গুলি করে আত্মঘাতী হয় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছন এএসপি মায়ারাম বর্মা। পুলিশ এসে মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: