কলকাতা, 12 ডিসেম্বর : প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হলেন কলকাতা কর্পোরেশনের 38 নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআইএম প্রার্থী প্রশান্ত দে । হামলার অভিযোগ ওই ওয়ার্ডেরই বিদায়ী কাউন্সিলর তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী সাধনা বসু ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে । তবে পালটা অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সাধনা বসুও ৷ তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ধাক্কা মেরে গাড়ির চাকার সামনে ফেলে দেন সিপিআইএম কর্মীরা । দুই পক্ষের গন্ডগোলের জেরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় রাজবাজারের ওই এলাকায় (CPIM TMC clashes in Rajabajar just before the KMC election)।
আগামী 19 তারিখ কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচন । তার ঠিক আগেই এদিন শেষ রবিবাসরীয় প্রচার সেরে রাখছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই । সেই মতই 38 নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী প্রশান্ত দেকে নিয়ে কৈলাস বসু স্ট্রিট থেকে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল করেন সিপিআইএম সমর্থকরা । সেই মিছিল ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে শেষ হয় রাজাবাজারের পার্শিবাগান এলাকায় । মিছিল শেষে দলীয় প্রার্থীর উপস্থিতিতেই সিপিআইএম কর্মীরা এলাকার মানুষজনকে লিফলেট দেওয়া এবং এলাকায় পতাকা লাগানোর কাজ করছিলেন । অভিযোগ, সেই সময় ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সাধনা বসু তাঁর দলবল নিয়ে সিপিআইএম প্রার্থীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন । তাঁকে রক্ষা করতে এসে আক্রান্ত হন আরও বেশ কয়েকজন বাম কর্মী সমর্থক ।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায় । এরপরই স্থানীয় আমহার্স্ট স্ট্রীট থানা ঘেরাও করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা । বামেদের দাবি, এই হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাম কর্মী-সমর্থক । সিপিআইএম প্রার্থী প্রশান্ত দে-র অভিযোগ, মিছিল শেষ করে যখন পার্শিবাগান এলাকায় পতাকা লাগানো হচ্ছিল এবং স্থানীয় মানুষজনকে লিফলেট বিলি করা হচ্ছিল সেই সময় প্রায় 15 জন তৃণমূল কর্মী তাঁদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় । সেই সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী সাধনা বসুও। তাঁর কথায়, ভোটের আগে এই ঘটনা হলে ভোটের দিন কি হবে! পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে হবে যাতে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন ।
আরও পড়ুন : কর্মীদের অসহযোগিতাতেই নন্দীগ্রামে হার মমতার, ভাইরাল অডিয়োয় নাম জড়াল সুব্রত বক্সির
অপরদিকে সাধনা বসুর অভিযোগ, তিনি যখন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন পার্শিবাগান এলাকায় সিপিআইএমের একটি পথসভা চলছিল । তাঁকে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু করা হয় এবং তিনি প্রতিবাদ জানান । সেই সময় বামকর্মীরা তাঁর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন । তিনি গাড়ির চাকার সামনে পড়ে যান । তিনি জানান, এই বিষয়ে পুলিশকে দলীয়ভাবে জানিয়েছেন তিনি । এছাড়া স্থানীয় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে । তাঁর দাবি, দু‘জনেই রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি । কেউ কারও শত্রু নয় । কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মিথ্যাচার করে ওনারা ঠিক করেননি ।