নয়াদিল্লি, 30 জুন : দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে আবারও জারি হল নয়া নির্দেশিকা ৷ কেন্দ্রের নির্দেশ, এবার থেকে আর টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির কাছ থেকে সরাসরি টিকা কিনতে পারবে না কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ৷ টিকা পেতে হলে তাদের কেন্দ্রীয় সরকারি পোর্টাল কোউইনে (CoWin) আবেদন করতে হবে ৷ অথবা কেন্দ্রীভূতভাবে টিকা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৷ 1 জুলাই, অর্থাৎ আগামিকাল থেকেই কার্যকর হবে নয়া নিয়ম ৷
আরও পড়ুন : ভারতের তৈরি কোভ্যাকসিন করোনার আলফা ও ডেলটা প্রজাতির উপর কার্যকর, জানালো এনআইএইচ
সূত্রের খবর, সেই সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল, যারা করোনার টিকা দিচ্ছে, তাদের সকলকেই কোউইন অ্যাপে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে ৷ বেসরকারি কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র (Private COVID Vaccination Centre) বা পিসিভিসি হিসাবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে হবে তাদের ৷ একমাত্র তবেই মিলবে করোনার টিকা ৷ যদিও বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালই ইতিমধ্যে কোউইন পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ সেরে ফেলেছে ৷
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে এই প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘‘বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলির জন্য সেই মাসে মোট কত পরিমাণ করোনার টিকা মজুত রয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হবে ৷ সেই অনুসারেই বেসরকারি হাসপাতাল তথা টিকাকরণ কেন্দ্রগুলির মধ্যে টিকা বণ্টন করা হবে ৷ পুরোটাই করা হবে কেন্দ্রীভূতভাবে ৷’’
আরও পড়ুন : Coronavirus India : দেশে ফের বাড়ল করোনার দৈনিক সংক্রমণ; কমেছে মৃত্যু, সক্রিয় রোগী
এই প্রক্রিয়ার জন্য আলাদা করে সরকারের কাছ থেকে কোনও ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজন নেই ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টালে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নাম নথিভুক্ত করা থাকলেই যথেষ্ট ৷ টিকার আবেদন মঞ্জুর হলে অনলাইনেই তার টাকা সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে ৷ তারপরই কেন্দ্রের তরফে ওই হাসপাতালের জন্য টিকা পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হবে ৷
টিকার মাসিক প্রয়োজনের হিসাব করার জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও স্থির করে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে ৷ তাতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সপ্তাহে আগের মাসে দৈনিক কত টিকার প্রয়োজন হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই চলতি মাসের মোট প্রয়োজনীয় টিকার হিসাব করতে হবে ৷ এবং সেই পরিমাণ টিকার দ্বিগুণ সংখ্যা সর্বোচ্চ টিকা হিসাবে চাইতে পারবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ৷ ধরা যাক, কোনও হাসপাতালে জুন মাসে দৈনিক গড় টিকার চাহিদা ছিল 90 ৷ তাহলে মাসিক চাহিদা হয় 90×30, অর্থাৎ 2 হাজার 700 ৷ এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল জুলাই মাসের জন্য সর্বাধিক 2700×2, অর্থাৎ 5 হাজার 400 টিকা পাওয়ার জন্য কোউইনে আবেদন করতে পারবে ৷
আরও পড়ুন : স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে দেশ, কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ লব আগরওয়ালের
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে ৷ যেটুকু বাকি রয়েছে, তাও 1 জুলাই থেকেই শুরু হয়ে যাবে ৷ সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল বা টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি প্রতি মাসে চার দফায় কোভিশিল্ড বা কোভ্য়াকসিন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে ৷ এবং বরাত দেওয়ার তিনদিনের মধ্যে অনলাইনে টিকার দাম মিটিয়ে ফেলতে হবে ৷ এছাড়া, কোনও হাসপাতাল যদি কেন্দ্রীভূতভাবে রাজ্য় সরকার ও কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা পেতে চায়, সেক্ষেত্রে তাদের শুধুমাত্র সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড দেওয়া হবে ৷