ETV Bharat / bharat

Supreme Court on Religious Places: আদালত আইনসভার কাজে ঢুকবে না, ধর্মীয় স্থান পরিচালনায় হিন্দুদের অধিকার সংক্রান্ত মামলা খারিজ

বেঞ্চ আইনজীবীর আবেদনের একটি অংশ পড়ে যেখানে সরাসরি বলা হয়েছে, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের তাদের ধর্মীয় স্থান প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, "সংবিধানের 26 অনুচ্ছেদের অধীনে তাদের অধিকার রয়েছে ৷ প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সেই অধিকার রয়েছে ৷ সংবিধানও 25 অনুচ্ছেদের অধীনে সেই অধিকার দিয়েছে।"

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 18, 2023, 10:53 PM IST

নয়াদিল্লি, 18 অক্টোবর: মুসলিম, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের মতো তাদের ধর্মীয় স্থানগুলিও পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার থাকতে হবে ৷ এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে বুধবার হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মাবলম্বীদের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় ৷ যদিও সেই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করে জানিয়েছে, এটি নীতির বিষয় এবং আদালত কোনওভাবেই আইনসভার কাজের মধ্যে প্রবেশ করবে না।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়কে এদিন বলে, “যথপোযুক্ত আবেদন করুন। এসব আর্জির অর্থ কী ? এই আপিল মঞ্জুর করা যায় ? এই পিটিশন প্রত্যাহার করুন এবং সঠিক আর্জি-সহ পৃথক পিটিশন ফাইল করুন যা মঞ্জুর করা যেতে পারে ৷” বেঞ্চ জানিয়েছে, এটি আদতে পুরোটাই প্রচার-ভিত্তিক মামলা ৷ একই সঙ্গে, এই মামলা কোনও মতেই রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয় বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট ৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "আপনি সংসদ সরাতে পারেন ! আপনি কি সরকারকে সরাতে পারেন ?"

আইনজীবী উপাধ্যায় অবশ্য জোর দিয়ে জানান, আদালতের উচিত তাঁর আবেদনটি গ্রহণ করা ৷ যার পালটা প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা আপনাকে বলেছি এই পিটিশন গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি কীভাবে এই ধরনের পিটিশনকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দাবি করছেন !" এদিন বেঞ্চ আইনজীবীর আবেদনের একটি অংশ পড়ে যেখানে সরাসরি বলা হয়েছে, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের তাদের ধর্মীয় স্থান প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, "সংবিধানের 26 অনুচ্ছেদের অধীনে তাদের অধিকার রয়েছে ৷ প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সেই অধিকার রয়েছে ৷ সংবিধানও 25 অনুচ্ছেদের অধীনে সেই অধিকার দিয়েছে।"

আইনজীবী পালটা বলেন, "কালকা মন্দির সরকারের নিয়ন্ত্রণে অথচ জামা মসজিদ সরকারের অধীনে নয়।" তিনি কার্যত জোর দিয়ে বলেন, "মোট চার লক্ষ মন্দির সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।" প্রধান বিচারপতি বলেন, "এটি একটি নীতির বিষয় এবং আমরা সরকারকে ধর্মীয় স্থানের ক্ষেত্রে কোনও রকম নির্দেশ দেব না। এটা নীতির ব্যাপার ৷ আমরা আইনসভার এখতিয়ারে প্রবেশ করব না ৷" কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, "মামলা হতেই পারে তবে যেভাবে আবেদনটির খসড়া করা হয়েছে তা সঠিক নয়।"

আরও পড়ুন: যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের

প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীকে বলেন, “আপনি আদালতে প্র্যাকটিস করছেন একজন আইনজীবী হিসাবে ৷ শুধুমাত্র খবরে হাইলাইট করার জন্য কোনো কারণ অনুসরণ করে মামলা করবেন না। আপনি সুপ্রিম কোর্টের সামনে আছেন মনে রাখুন ৷ অন্যান্য পিটিশনের দিকে তাকান, তারা আমাদের সামনে নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে এসেছে ৷” এরপরই মামলাটি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷

নয়াদিল্লি, 18 অক্টোবর: মুসলিম, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের মতো তাদের ধর্মীয় স্থানগুলিও পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার থাকতে হবে ৷ এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে বুধবার হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখ ধর্মাবলম্বীদের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় ৷ যদিও সেই মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করে জানিয়েছে, এটি নীতির বিষয় এবং আদালত কোনওভাবেই আইনসভার কাজের মধ্যে প্রবেশ করবে না।

প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায়কে এদিন বলে, “যথপোযুক্ত আবেদন করুন। এসব আর্জির অর্থ কী ? এই আপিল মঞ্জুর করা যায় ? এই পিটিশন প্রত্যাহার করুন এবং সঠিক আর্জি-সহ পৃথক পিটিশন ফাইল করুন যা মঞ্জুর করা যেতে পারে ৷” বেঞ্চ জানিয়েছে, এটি আদতে পুরোটাই প্রচার-ভিত্তিক মামলা ৷ একই সঙ্গে, এই মামলা কোনও মতেই রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয় বলেও জানায় সুপ্রিম কোর্ট ৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, "আপনি সংসদ সরাতে পারেন ! আপনি কি সরকারকে সরাতে পারেন ?"

আইনজীবী উপাধ্যায় অবশ্য জোর দিয়ে জানান, আদালতের উচিত তাঁর আবেদনটি গ্রহণ করা ৷ যার পালটা প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা আপনাকে বলেছি এই পিটিশন গ্রহণযোগ্য নয়। আপনি কীভাবে এই ধরনের পিটিশনকে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে দাবি করছেন !" এদিন বেঞ্চ আইনজীবীর আবেদনের একটি অংশ পড়ে যেখানে সরাসরি বলা হয়েছে, হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ এবং শিখদের তাদের ধর্মীয় স্থান প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার রয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, "সংবিধানের 26 অনুচ্ছেদের অধীনে তাদের অধিকার রয়েছে ৷ প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সেই অধিকার রয়েছে ৷ সংবিধানও 25 অনুচ্ছেদের অধীনে সেই অধিকার দিয়েছে।"

আইনজীবী পালটা বলেন, "কালকা মন্দির সরকারের নিয়ন্ত্রণে অথচ জামা মসজিদ সরকারের অধীনে নয়।" তিনি কার্যত জোর দিয়ে বলেন, "মোট চার লক্ষ মন্দির সরকারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।" প্রধান বিচারপতি বলেন, "এটি একটি নীতির বিষয় এবং আমরা সরকারকে ধর্মীয় স্থানের ক্ষেত্রে কোনও রকম নির্দেশ দেব না। এটা নীতির ব্যাপার ৷ আমরা আইনসভার এখতিয়ারে প্রবেশ করব না ৷" কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, "মামলা হতেই পারে তবে যেভাবে আবেদনটির খসড়া করা হয়েছে তা সঠিক নয়।"

আরও পড়ুন: যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের

প্রধান বিচারপতি আবেদনকারীকে বলেন, “আপনি আদালতে প্র্যাকটিস করছেন একজন আইনজীবী হিসাবে ৷ শুধুমাত্র খবরে হাইলাইট করার জন্য কোনো কারণ অনুসরণ করে মামলা করবেন না। আপনি সুপ্রিম কোর্টের সামনে আছেন মনে রাখুন ৷ অন্যান্য পিটিশনের দিকে তাকান, তারা আমাদের সামনে নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে এসেছে ৷” এরপরই মামলাটি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.