নয়াদিল্লি, 24 মার্চ: 2020 সালে দিল্লির হিংসা ঘটনায় নিহত হন আইবি কনস্টেবল অঙ্কিত শর্মা ৷ সেই ঘটনায় প্রাক্তন আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনের বিরুদ্ধে খুনের ধারা যুক্ত করল কারকারদুম আদালত (Court Frames Murder Charges Against Ex-AAP Councilor Tahir Hussain) ৷ সেই সঙ্গে আরও 10 জনের নামও সেই তালিকায় রেখেছেন বিচারক ৷ অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক পুলস্ত প্রমাচলের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল ৷ সেখানে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা যুক্ত করার সময় তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘প্রমাণের সঙ্গে গেলে দেখা যাচ্ছে, তাহির ভিড়কে উস্কানি দিয়েছিলেন ৷’’ দিল্লির চাঁদ বাগে আইবি কনস্টেবল অঙ্কিত শর্মার দেহ উদ্ধার হয়েছিল ( IB constable Death in Delhi) ৷
আদালত তার রায়ে তাহির হুসেন ছাড়াও আরও 10 জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করতে নির্দেশ দিয়েছে ৷ সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘সকলে ভারতীয় দণ্ডবিধি 147, 148, 153এ, 302 এবং সেই সঙ্গে 120বি ধারায় ওই অপরাধের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী ৷’’ আর সেখানে তাহির হুসেনের সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল বলে আদালত উল্লেখ করেছে ৷ তাহির শুরু থেকেই ভিড়ের মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়েছে এবং তাদের হিংসাত্মক হয়ে উঠতে উস্কানি দিয়েছে ৷
পুরো বিষয়টিকে অপরাধমূলক পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছে কারকারদুম আদালত ৷ সেই সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা ছড়ানো হয়েছে ৷ আদালত তার রায়ে উল্লেখ করেছে যে, তথ্যপ্রমাণ বলছে একটি সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের পাশাপাশি, তাদের সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে ৷ সেই ঘটনাতে দিল্লির চাঁদ বাগে আইবি কনস্টেবল অঙ্কিত শর্মার দেহ উদ্ধার হয় একটি নর্দমা থেকে ৷ যা পরিকল্পিত খুন বলে উল্লেখ করেছে আদালত ৷
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসার মামলা থেকে রেহাই পেলেন উমর খালিদ, তবে থাকতে হবে জেলেই
তাহির হুসেন ছাড়াও যে বাকি দশজনের বিরুদ্ধে খুনের ধারা যোগ করা হয়েছে তাঁরা হলেন, হাসিন, নাজিম, কাশিম, সমীর খান, আনাস, ফিরোজ, জাভেদ, গুলফাম, শোয়েব আলম এবং মুন্তজিম ৷ তাহিরের বিরুদ্ধে আলাদা করে ভারতীয় দণ্ডবিধির 505, 109 ও 114 নম্বর ধারা যোগ করেছে আদালত ৷