ETV Bharat / bharat

Couple Kills Daughters: প্রবল আর্থিক অনটন! মানুষ করতে না পেরে 3 মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যা শ্রমিক দম্পতির

মেয়েদের ঠিকমতো মানুষ করতে পারছিলেন না ৷ তার জন্য তাদের দুধে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেললেন শ্রমিক দম্পতি ৷ তারপর দেহ লুকিয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন ৷ পুলিশি তদন্তে উঠে এল আসল সত্য। গ্রেফতার হলেন স্বামী ও স্ত্রী।

author img

By PTI

Published : Oct 3, 2023, 10:27 AM IST

Updated : Oct 3, 2023, 10:34 AM IST

Etv Bharat
প্রতীকী ছবি

চণ্ডীগড়, 3 অক্টোবর: সংসারে চরম অভাব ৷ কিন্তু তাই বলে এহেন সিদ্ধান্ত ? ভালোভাবে মানুষ করতে না পারায় তিন মেয়েকে হত্যা করেছে এক পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর স্ত্রী ৷ সোমবার পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে ৷ বাবা-মায়ের এ হেন কাজ ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের জলন্ধরে ৷ কানপুরে তাদের গ্রামের বাড়িতে একটি ট্রাঙ্কের মধ্যে তিন বোনের দেহ পাওয়া যায় ৷ এই ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতি তাদের অপরাধ স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ অভিযুক্ত সুশীল মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জু দুজনেই পেশায় দিনমজুর ৷ নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা। কোনওরকমে চলে সংসার ৷ তার উপর তিন মেয়েকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার চালানো রীতিমতে দুষ্কর হয়ে পড়েছিল ৷ রবিবার তাই মেয়েদের দুধের মধ্যে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা ৷ পরে তাদের মৃত্যু হলে দেহগুলি বাড়ির ট্রাঙ্কের মধ্যে ফেলে দেন ৷

এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মেয়েদের মৃত্যুর পর ওই দম্পতি মাকসুদন থানায় নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ করেছিলেন ৷ মৃতদের নাম কাঞ্চন (4), সাক্ষী (7) ও অমৃতা (9) ৷ তাঁদের পাঁচ সন্তান ছিল ৷ এই বিষয়ে জলন্ধরের গ্রামীণ সিনিয়র পুলিশ সুপার মুখবিন্দর সিং বুলার বলেন,"কাছাকাছি সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করে দেখা গিয়েছে মেয়েরা ঘর থেকে বেরোয়নি ৷ ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই দম্পতি খুনের বিষয়টি স্বীকার করেন ৷

খুনের কারণ হিসেবে তাঁরা চরম দারিদ্র্যের কথাই উল্লেখ করেছেন বলে দাবি ওই আধিকারিকের ৷ তিনি জানান, মেয়েদের লালন-পালন করতে না পারাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবা-মা ৷ মেয়েদের খুন করে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই নিখোঁজ হওয়ার গল্পটি তৈরি করেন স্বামী-স্ত্রী ৷ কিন্তু এত করে শেষরক্ষা হল না। অন্য একটি প্রসঙ্গে আধিকারিক জানান, ওই দম্পতি পুলিশকে বলেছে তারা কেবল দুটি সন্তানের যত্ন নিতে সক্ষম ৷ এই ঘটনায় একটি খুনের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে ৷ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : হোমওয়ার্ক না করার 'শাস্তি', শিক্ষকের স্লেটের আঘাতে মৃত্যু খুদে পড়ুয়ার

চণ্ডীগড়, 3 অক্টোবর: সংসারে চরম অভাব ৷ কিন্তু তাই বলে এহেন সিদ্ধান্ত ? ভালোভাবে মানুষ করতে না পারায় তিন মেয়েকে হত্যা করেছে এক পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর স্ত্রী ৷ সোমবার পুলিশ এমনটাই জানিয়েছে ৷ বাবা-মায়ের এ হেন কাজ ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের জলন্ধরে ৷ কানপুরে তাদের গ্রামের বাড়িতে একটি ট্রাঙ্কের মধ্যে তিন বোনের দেহ পাওয়া যায় ৷ এই ঘটনার কয়েকঘণ্টা পর পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতি তাদের অপরাধ স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে ৷ অভিযুক্ত সুশীল মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জু দুজনেই পেশায় দিনমজুর ৷ নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা। কোনওরকমে চলে সংসার ৷ তার উপর তিন মেয়েকে নিয়ে পাঁচজনের সংসার চালানো রীতিমতে দুষ্কর হয়ে পড়েছিল ৷ রবিবার তাই মেয়েদের দুধের মধ্যে কীটনাশক মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা ৷ পরে তাদের মৃত্যু হলে দেহগুলি বাড়ির ট্রাঙ্কের মধ্যে ফেলে দেন ৷

এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মেয়েদের মৃত্যুর পর ওই দম্পতি মাকসুদন থানায় নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ করেছিলেন ৷ মৃতদের নাম কাঞ্চন (4), সাক্ষী (7) ও অমৃতা (9) ৷ তাঁদের পাঁচ সন্তান ছিল ৷ এই বিষয়ে জলন্ধরের গ্রামীণ সিনিয়র পুলিশ সুপার মুখবিন্দর সিং বুলার বলেন,"কাছাকাছি সিসিটিভি ক্যামেরা স্ক্যান করে দেখা গিয়েছে মেয়েরা ঘর থেকে বেরোয়নি ৷ ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই দম্পতি খুনের বিষয়টি স্বীকার করেন ৷

খুনের কারণ হিসেবে তাঁরা চরম দারিদ্র্যের কথাই উল্লেখ করেছেন বলে দাবি ওই আধিকারিকের ৷ তিনি জানান, মেয়েদের লালন-পালন করতে না পারাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবা-মা ৷ মেয়েদের খুন করে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই নিখোঁজ হওয়ার গল্পটি তৈরি করেন স্বামী-স্ত্রী ৷ কিন্তু এত করে শেষরক্ষা হল না। অন্য একটি প্রসঙ্গে আধিকারিক জানান, ওই দম্পতি পুলিশকে বলেছে তারা কেবল দুটি সন্তানের যত্ন নিতে সক্ষম ৷ এই ঘটনায় একটি খুনের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে ৷ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : হোমওয়ার্ক না করার 'শাস্তি', শিক্ষকের স্লেটের আঘাতে মৃত্যু খুদে পড়ুয়ার

Last Updated : Oct 3, 2023, 10:34 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.