ETV Bharat / bharat

দোষীদের ফাঁসি অথবা আজীবন কারাবাস হওয়া উচিত, মত বিলকিস মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শীর - Bilkis Bano Case

Bilkis Bano Case Eyewitness: সম্প্রতি বিলকিস বানো মামলায় গুজরাত সরকারের দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গুজরাত সরকারের সেই অধিকার নেই ৷ সেই রায়ের পর নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন মামলার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ৷

ETV BHARAT Files
ETV BHARAT Files
author img

By PTI

Published : Jan 12, 2024, 5:52 PM IST

আমেদাবাদ, 12 জানুয়ারি: বিলকিস বানো মামলায় প্রত্যেক দোষীর ফাঁসি অথবা আজীবন কারাবাস হওয়া উচিত ৷ এমনটাই মনে করেন, 2002 সালের সেই জঘন্য অপরাধের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী তথা বিলকিস বানোর খুড়তুতো ভাই ৷ গুজরাতের দাহুদ জেলার লিমখেদা তালুকে বিলকিস বানো-সহ অন্যান্যদের উপর গণহামলা হয়েছিল ৷ যে ঘটনায় 14 জনকে হত্যা করা হয়েছিল ৷ নিহতদের মধ্যে বিলকিস বানোর পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন ৷ সেই সময় এই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়স ছিল মাত্র 7 ৷

বর্তমানে 28 বছরের ওই যুবক তাঁর পরিবার নিয়ে আমেদাবাদে থাকেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর চোখের সামনে আপনজনদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল ৷ যে ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন ৷ আজও সেই দিনের ঘটনা ঘুমের মধ্যে তাঁর চোখের সামনে ভেসে ওঠে ৷ এতগুলি বছর পরেও ঘুমের মধ্যে সেই ভয়াবহ স্মৃতি ভেসে ওঠে, চিৎকার করে ওঠেন 28 বছরের ওই যুবক ৷

উল্লেখ্য, 2022 সালের অগস্ট মাসে গুজরাত সরকার বিলকিস বানোর গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের হত্যার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত 11 জনকে মুক্তি দিয়ে দেয় ৷ যে ঘটনার পর বিলকিস বানো-সহ একাধিক রাজনৈতিক এবং সাংবাদিক সুপ্রিম কোর্টে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ৷ গতবছর নভেম্বর মাসে শুনানি শেষ হয়ে গেলেও, রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত ৷ গত 8 জানুয়ারি শীর্ষ আদালত গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয় ৷

ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, "ওই সময় আমি খুবই আঘাত পেয়েছিলাম দোষীদের মুক্তি দেওয়ায় ৷ এখন যেহেতু ওরা আবার কারাগারে বন্দি হয়েছে, তাই আমি কিছু বলতে চাই ৷ সেই ঘটনায় নিহত 14 জনের মধ্যে আমার মা এবং বোনও ছিল ৷ তাঁদেরকে আমার চোখের সামনে হত্যা করা হয়েছিল ৷ তাই প্রত্যেক দোষীকে হয় ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে ৷ তা না হলে, বাকি জীবনটা পুরো কারাগারের পিছনে কাটাতে হবে ৷ তবেই একমাত্র সুবিচার হবে ৷ ওই লোকগুলো আর যেন ছাড়া না পায় ৷"

উল্লেখ্য, 2002 সালের 27 ফেব্রুয়ারি গোধরায় রেল জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ যার পরেই গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় অশান্তি শুরু হয় ৷ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে থাকে ৷ যে ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে 17 জনের একটি দল, যেখানে মূলত মহিলা এবং বাচ্চাদের সংখ্যা বেশি ছিল ৷ তাঁরা জঙ্গলের পথে নিজেদের গ্রাম ছেড়েছিলেন ৷ তাঁদের এক সমাজসেবী আশ্রয় দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, 3 মার্চ ওই 17 জনের উপর হামলা চালানো হয় ৷ তাঁদের মধ্যে 14 জন গণহামলায় প্রাণ হারান ৷ বাকি জীবিত তিনজনের মধ্যে 2 জন ছিলেন বিলকিস বানো এবং বর্তমানে প্রত্যক্ষদর্শী 28 বছরের যুবক ৷

আরও পড়ুন:

  1. ধর্ষক-খুনিদের মুক্তি দেওয়াই বিজেপির গুজরাত মডেল, বিলকিস বানো মামলা নিয়ে তোপ তৃণমূলের
  2. বিলকিস-মামলায় বড় ধাক্কা গুজরাত সরকারের, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
  3. বিলকিস বানো মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন মমতা

আমেদাবাদ, 12 জানুয়ারি: বিলকিস বানো মামলায় প্রত্যেক দোষীর ফাঁসি অথবা আজীবন কারাবাস হওয়া উচিত ৷ এমনটাই মনে করেন, 2002 সালের সেই জঘন্য অপরাধের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী তথা বিলকিস বানোর খুড়তুতো ভাই ৷ গুজরাতের দাহুদ জেলার লিমখেদা তালুকে বিলকিস বানো-সহ অন্যান্যদের উপর গণহামলা হয়েছিল ৷ যে ঘটনায় 14 জনকে হত্যা করা হয়েছিল ৷ নিহতদের মধ্যে বিলকিস বানোর পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন ৷ সেই সময় এই প্রত্যক্ষদর্শীর বয়স ছিল মাত্র 7 ৷

বর্তমানে 28 বছরের ওই যুবক তাঁর পরিবার নিয়ে আমেদাবাদে থাকেন ৷ তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁর চোখের সামনে আপনজনদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল ৷ যে ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন ৷ আজও সেই দিনের ঘটনা ঘুমের মধ্যে তাঁর চোখের সামনে ভেসে ওঠে ৷ এতগুলি বছর পরেও ঘুমের মধ্যে সেই ভয়াবহ স্মৃতি ভেসে ওঠে, চিৎকার করে ওঠেন 28 বছরের ওই যুবক ৷

উল্লেখ্য, 2022 সালের অগস্ট মাসে গুজরাত সরকার বিলকিস বানোর গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের হত্যার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত 11 জনকে মুক্তি দিয়ে দেয় ৷ যে ঘটনার পর বিলকিস বানো-সহ একাধিক রাজনৈতিক এবং সাংবাদিক সুপ্রিম কোর্টে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ৷ গতবছর নভেম্বর মাসে শুনানি শেষ হয়ে গেলেও, রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত ৷ গত 8 জানুয়ারি শীর্ষ আদালত গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে দেয় ৷

ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, "ওই সময় আমি খুবই আঘাত পেয়েছিলাম দোষীদের মুক্তি দেওয়ায় ৷ এখন যেহেতু ওরা আবার কারাগারে বন্দি হয়েছে, তাই আমি কিছু বলতে চাই ৷ সেই ঘটনায় নিহত 14 জনের মধ্যে আমার মা এবং বোনও ছিল ৷ তাঁদেরকে আমার চোখের সামনে হত্যা করা হয়েছিল ৷ তাই প্রত্যেক দোষীকে হয় ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে ৷ তা না হলে, বাকি জীবনটা পুরো কারাগারের পিছনে কাটাতে হবে ৷ তবেই একমাত্র সুবিচার হবে ৷ ওই লোকগুলো আর যেন ছাড়া না পায় ৷"

উল্লেখ্য, 2002 সালের 27 ফেব্রুয়ারি গোধরায় রেল জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে ৷ যার পরেই গুজরাতের বিভিন্ন জেলায় অশান্তি শুরু হয় ৷ ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া, প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে থাকে ৷ যে ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে 17 জনের একটি দল, যেখানে মূলত মহিলা এবং বাচ্চাদের সংখ্যা বেশি ছিল ৷ তাঁরা জঙ্গলের পথে নিজেদের গ্রাম ছেড়েছিলেন ৷ তাঁদের এক সমাজসেবী আশ্রয় দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, 3 মার্চ ওই 17 জনের উপর হামলা চালানো হয় ৷ তাঁদের মধ্যে 14 জন গণহামলায় প্রাণ হারান ৷ বাকি জীবিত তিনজনের মধ্যে 2 জন ছিলেন বিলকিস বানো এবং বর্তমানে প্রত্যক্ষদর্শী 28 বছরের যুবক ৷

আরও পড়ুন:

  1. ধর্ষক-খুনিদের মুক্তি দেওয়াই বিজেপির গুজরাত মডেল, বিলকিস বানো মামলা নিয়ে তোপ তৃণমূলের
  2. বিলকিস-মামলায় বড় ধাক্কা গুজরাত সরকারের, দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
  3. বিলকিস বানো মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন মমতা
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.