চণ্ডিগড়, 20 সেপ্টেম্বর : দলীয় কোন্দলের জেরে ইস্তফা দিয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ৷ তারপর কংগ্রেসের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি পঞ্জাবের দায়িত্ব নিয়েও নিয়েছেন ৷ তারপরও রাহুল গান্ধির দলে কলহ থামার কোনও লক্ষণ নেই ৷ এবার লড়াই বাধল হরিশ রাওয়াত ও পঞ্জাবের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সুনীল জাখরের মধ্যে ৷
হরিশ রাওয়াত পঞ্জাবে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা ৷ তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নভজ্যোত সিং সিধুর নেতৃত্বেই লড়াই করবে ৷ কারণ, তিনি খুব জনপ্রিয় ৷ সোমবার এরই প্রতিবাদ করেছেন সুনীল জাখর ৷ তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের মন্তব্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে ছোট করা হচ্ছে ৷ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ৷
আরও পড়ুন : Afghan drug smuggling: গুজরাতে উদ্ধার 9 হাজার কোটি টাকার হেরোইন
-
On the swearing-in day of Sh @Charnjit_channi as Chief Minister, Mr Rawats’s statement that “elections will be fought under Sidhu”, is baffling. It’s likely to undermine CM’s authority but also negate the very ‘raison d’être’ of his selection for this position.
— Sunil Jakhar (@sunilkjakhar) September 20, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">On the swearing-in day of Sh @Charnjit_channi as Chief Minister, Mr Rawats’s statement that “elections will be fought under Sidhu”, is baffling. It’s likely to undermine CM’s authority but also negate the very ‘raison d’être’ of his selection for this position.
— Sunil Jakhar (@sunilkjakhar) September 20, 2021On the swearing-in day of Sh @Charnjit_channi as Chief Minister, Mr Rawats’s statement that “elections will be fought under Sidhu”, is baffling. It’s likely to undermine CM’s authority but also negate the very ‘raison d’être’ of his selection for this position.
— Sunil Jakhar (@sunilkjakhar) September 20, 2021
প্রসঙ্গত, ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের ইস্তফার পর সুনীল জাখরকে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল ৷ কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হলেন অন্য একজন ৷ আবার কয়েকমাস পর বিধানসভা ভোটে অন্য একজন নেতার নেতৃত্বে কংগ্রেস ভোটে লড়বে বলে ঘোষণা হয়ে গেল ৷ এই কারণেই সুনীল জাখরের পালটা প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে ৷
এদিকে এই ইস্যুতে কংগ্রেসের সমালোচনা করতে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি ৷ দলের নেতা অমিত মালব্য টুইট করেছেন এই নিয়ে ৷ তাঁর দাবি, গান্ধি পরিবারের ঘনিষ্ঠ সিধুকে জায়গা দিতেই যে চরণজিৎ সিং চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা দলিত সম্প্রদায়কে অপমান ৷ কংগ্রেস যে দলিতদের ক্ষমতায়নের কথা বলে, এই ক্ষেত্রে সেটাই হচ্ছে ৷ এই ঘটনাকে অত্যন্ত লজ্জাজনক বলে তিনি জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : Rajinderpal Singh Bhatia commits suicide : ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মন্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
-
This is a huge insult to the entire Dalit community if Charanjit Singh Channi has been made the CM, only to hold the seat for Navjot Singh Sidhu, the chosen Gandhi family loyalist.
— Amit Malviya (@amitmalviya) September 20, 2021 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
This completely undermines the Dalit empowerment narrative being peddled by the Congress. Shame. https://t.co/8zkPmiq9cq
">This is a huge insult to the entire Dalit community if Charanjit Singh Channi has been made the CM, only to hold the seat for Navjot Singh Sidhu, the chosen Gandhi family loyalist.
— Amit Malviya (@amitmalviya) September 20, 2021
This completely undermines the Dalit empowerment narrative being peddled by the Congress. Shame. https://t.co/8zkPmiq9cqThis is a huge insult to the entire Dalit community if Charanjit Singh Channi has been made the CM, only to hold the seat for Navjot Singh Sidhu, the chosen Gandhi family loyalist.
— Amit Malviya (@amitmalviya) September 20, 2021
This completely undermines the Dalit empowerment narrative being peddled by the Congress. Shame. https://t.co/8zkPmiq9cq
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে সাম্প্রতিক সময়ে পঞ্জাব কংগ্রেসে অন্তর্কলহ ক্রমশ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে ৷ বিশেষ করে নভজ্যোত সিং সিধুকে পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি করার পর থেকে তা আরও বেড়ে যায় ৷ এই পরিস্থিতিতে দল আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে যায় ৷ একদল সিধুর পক্ষে চলে যায় ৷ অন্য দল থেকে যায় ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের পক্ষে ৷
সিধুর অনুগামীদের মধ্যে 50 জন বিধায়ক ক্যাপ্টেনের বিরুদ্ধে হাইকমান্ডকে চিঠি দেয় ৷ যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয় গত শনিবার ৷ কিন্তু সেই বৈঠকের আগেই ক্যাপ্টেন দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা করে দেন ৷ রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্রও জমা দেন ৷ পরে তিনি জানান, বিকল্পের সন্ধানে তিনি অনুগামীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন ৷
আরও পড়ুন : India-Saudi Arabia Meeting : আফগান পরিস্থিতি নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে বৈঠক ভারতের
সেই বিকল্প কী হবে, তার উত্তর এখনও মেলেনি ৷ তবে ভোট যত এগোবে এই পরিস্থিতি পঞ্জাবে কংগ্রেসকে যে আরও বিপাকে ফেলবে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ৷ তাই ভোটের ময়দানে ঠিক কী হয়, এখন সেটাই দেখার !