ETV Bharat / bharat

Cong Targets Adani Group: কেন দেশে বন্দর পরিচালনার অনুমতি আদানিদের ? চিনা সংযোগ টেনে প্রশ্ন কংগ্রেসের

কেন দেশে আদানি গোষ্ঠীকে বন্দর পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ? আদানিদের সঙ্গে চিনা সংযোগের অভিযোগ টেনে এনে এই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস ৷

Cong Targets Adani Group
আদানি জয়রাম রমেশ
author img

By

Published : Apr 9, 2023, 5:15 PM IST

নয়াদিল্লি, 9 এপ্রিল: আদানি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস ৷ রবিবার আদানি গ্রুপের চর্চিত চিনা সংযোগের দিকে ইঙ্গিত করে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে যে, কেন এই সংস্থাটিকে এখনও ভারতে বন্দরগুলি পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ?

রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ একটি মিডিয়া রিপোর্টের উদ্ধৃতি তুলে ধরেছেন ৷ সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সরকার 2022 সালে এপিএম টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট এবং তাইওয়ানের ওয়ান হাই লাইনের একটি কনসোর্টিয়ামকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাখ্যান করেছিল ৷ ওয়ান হাইয়ের ডিরেক্টর এবং একটি চিনা ফার্মের মধ্যে এজেন্সিগুলি সংযোগ খুঁজে পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷

রমেশ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং টার্মিনাল পরিচালনা করার জন্য কনসোর্টিয়ামের বিডকে অবরুদ্ধ করা হয় ৷ এটি একটি সরকারি নীতি, যা চিনা সংযোগের সঙ্গে চিনা সংস্থাগুলিকে ভারতে বন্দর ও টার্মিনাল পরিচালনা করতে বাধা দেয় ।

রমেশের অভিযোগ, "এটি আদানি গোষ্ঠীর চিনা সংযোগ সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করে । যেমন আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমাদের হাম আদানি কে হ্যায় কৌন (HAHK) সিরিজের প্রশ্নগুলিতে বারবার উল্লেখ করেছি, চিনা নাগরিক চ্যাং চুং-লিং আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ৷"

রমেশের দাবি, চ্যাঙের ছেলে পিএমসি প্রজেক্টের মালিক, যে ফার্ম আদানি গ্রুপের জন্য বন্দর, টার্মিনাল, রেল লাইন, পাওয়ার লাইন এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত সম্পদ তৈরি করেছে । আদানি গোষ্ঠী এবং পিএমসি 5,500 কোটি টাকার শক্তির সরঞ্জামের ওভার-ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইনটেলিজেন্স ৷

রমেশ আরও বলেন যে, আদানি গোষ্ঠী কমপক্ষে দুটি সাংহাই-ভিত্তিক শিপিং সংস্থা পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে একটি চিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র উত্তর কোরিয়ার কাছে অবৈধ ভাবে পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল । এই ঘনিষ্ঠ চিনের সংযোগের কারণে, কেন আদানি গ্রুপকে ভারতে বন্দর পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন রমেশ ৷ তাঁর প্রশ্ন, "কেন বন্দরের পর বন্দর কেনার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, গুরুতর নিরাপত্তার প্রভাবের কথা চিন্তা না করে ?"

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গ্রুপের প্রতিবেদনে আদানিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি লেনদেন এবং শেয়ার-মূল্যের হেরফের-সহ অভিযোগ ওঠার পর কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দল আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করেছে ।

আরও পড়ুন: আদানি ইস্যুতে জেপিসি চান না বলেও অবস্থান বদলের ইঙ্গিত শরদের

নয়াদিল্লি, 9 এপ্রিল: আদানি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস ৷ রবিবার আদানি গ্রুপের চর্চিত চিনা সংযোগের দিকে ইঙ্গিত করে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে যে, কেন এই সংস্থাটিকে এখনও ভারতে বন্দরগুলি পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ?

রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ একটি মিডিয়া রিপোর্টের উদ্ধৃতি তুলে ধরেছেন ৷ সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সরকার 2022 সালে এপিএম টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট এবং তাইওয়ানের ওয়ান হাই লাইনের একটি কনসোর্টিয়ামকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাখ্যান করেছিল ৷ ওয়ান হাইয়ের ডিরেক্টর এবং একটি চিনা ফার্মের মধ্যে এজেন্সিগুলি সংযোগ খুঁজে পাওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷

রমেশ বিবৃতি দিয়ে বলেছেন যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে জওহরলাল নেহরু বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং টার্মিনাল পরিচালনা করার জন্য কনসোর্টিয়ামের বিডকে অবরুদ্ধ করা হয় ৷ এটি একটি সরকারি নীতি, যা চিনা সংযোগের সঙ্গে চিনা সংস্থাগুলিকে ভারতে বন্দর ও টার্মিনাল পরিচালনা করতে বাধা দেয় ।

রমেশের অভিযোগ, "এটি আদানি গোষ্ঠীর চিনা সংযোগ সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করে । যেমন আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমাদের হাম আদানি কে হ্যায় কৌন (HAHK) সিরিজের প্রশ্নগুলিতে বারবার উল্লেখ করেছি, চিনা নাগরিক চ্যাং চুং-লিং আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ৷"

রমেশের দাবি, চ্যাঙের ছেলে পিএমসি প্রজেক্টের মালিক, যে ফার্ম আদানি গ্রুপের জন্য বন্দর, টার্মিনাল, রেল লাইন, পাওয়ার লাইন এবং অন্যান্য পরিকাঠামোগত সম্পদ তৈরি করেছে । আদানি গোষ্ঠী এবং পিএমসি 5,500 কোটি টাকার শক্তির সরঞ্জামের ওভার-ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইনটেলিজেন্স ৷

রমেশ আরও বলেন যে, আদানি গোষ্ঠী কমপক্ষে দুটি সাংহাই-ভিত্তিক শিপিং সংস্থা পরিচালনা করেছে, যার মধ্যে একটি চিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র উত্তর কোরিয়ার কাছে অবৈধ ভাবে পেট্রোলিয়াম পণ্য বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল । এই ঘনিষ্ঠ চিনের সংযোগের কারণে, কেন আদানি গ্রুপকে ভারতে বন্দর পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন রমেশ ৷ তাঁর প্রশ্ন, "কেন বন্দরের পর বন্দর কেনার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, গুরুতর নিরাপত্তার প্রভাবের কথা চিন্তা না করে ?"

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গ্রুপের প্রতিবেদনে আদানিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি লেনদেন এবং শেয়ার-মূল্যের হেরফের-সহ অভিযোগ ওঠার পর কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দল আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করেছে ।

আরও পড়ুন: আদানি ইস্যুতে জেপিসি চান না বলেও অবস্থান বদলের ইঙ্গিত শরদের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.