হায়দরাবাদ, 19 অক্টোবর: মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারবেন না ৷ এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি ৷ 30 নভেম্বর দক্ষিণের এই রাজ্যটিতে বিধানসভা নির্বাচন ৷ নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে এসেছেন রাহুল গান্ধি ৷ তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা ৷
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদ বলেন, "আমি নিশ্চিত, তেলেঙ্গানায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের নেতৃত্বে বিআরএস হেরে যাবে ৷" তেলেঙ্গানায় বিজয়ভেরি যাত্রার সূচনা করেছেন রাহুল ৷ ভুলাপল্লি থেকে পেড্ডাপল্লি পর্যন্ত কংগ্রেসের এই মহামিছিলে তিনি এই কথা বলেন ৷ তিনি আরও বলেন, "এই নির্বাচনী লড়াই হবে তেলেঙ্গানার সামন্ত প্রভুদের সঙ্গে তেলেঙ্গানার প্রজাদের ৷ কেসিআর এই নির্বাচনে পরাজিত হবেন ৷ রাজা আর প্রজার মধ্যে যুদ্ধ হবে ৷"
রাহুলের অভিযোগ, 10 বছর ধরে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী থেকেও কেসিআর সাধারণ মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছেন ৷ আমজনতার সঙ্গে মিশতে পারেননি ৷ এদিকে রাজ্যে বিশাল আকারের দুর্নীতি হচ্ছে ৷ কিন্তু রাজ্যে সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ একটি পরিবারেরই হাতে ৷
বিজেপি আর কেসিআরের দলের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা আছে বলেও দাবি করেন কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ ৷ গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এদিন রাহুল তোপ দাগেন, বিজেপি সব বিরোধী দলের নেতাদের নিশানা করে ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, সিবিআই তদন্ত করে ৷ এদিকে কেসি আরের বেলায় কিছু হয় না ৷ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করতে দেয় না কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ৷ এদিন জাতিগত জনগণনার প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন রাহুল গান্ধি ৷ তিনি বলেন, "দেশে জাতিগত জনগণনা হওয়া প্রয়োজন ৷ তবে এই প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও কিছু বলেন না ৷ মুখ্যমন্ত্রী কেসি আরও কিছু বলেন না ৷"
নভেম্বরে তেলেঙ্গানা-সহ পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ৷ 30 নভেম্বর তেলেঙ্গানার 119টি আসনে বিধানসভা নির্বাচন ৷ বিআরএস প্রধান কেসিআর মুখ্যমন্ত্রী ৷ বিআরএসের বিপরীতে প্রার্থী দিচ্ছে বিজেপি এবং কংগ্রেসও ৷ তাই এই রাজ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমে উঠবে বিধানসভা নির্বাচন ৷
আরও পড়ুন: ‘খাড়গে সফল’, অ-গান্ধি সভাপতির বর্ষপূর্তিতে বলছে কংগ্রেস