কন্য়াকুমারী (তামিলনাড়ু), 8 সেপ্টেম্বর: 'ভারত জোড়ো যাত্রা' (Bharat Jodo Yatra)-এর দ্বিতীয় দিনে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কন্যাকুমারী (Kanyakumari) জেলার অগস্তিস্বরম (Agasteeswaram) শহর থেকে পদযাত্রার সূচনা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) ৷ সঙ্গে ছিলেন জয়রাম রমেশ, কে সি বেণুগোপাল, পি চিদাম্বরম, ভূপেশ বাঘেল-সহ অন্যরা ৷ কংগ্রেসের দাবি, তাদের এই কর্মসূচি কেবলমাত্র দলীয় গণ্ডীতেই সীমাবদ্ধ নেই ৷ বরং তা ক্রমে গণ-আন্দোলনের রূপ নিচ্ছে ৷ বৃহস্পতিবার এই প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেন, "এই পদযাত্রা কংগ্রেসের সংগঠনকে আরও মজবুত করবে ৷ এবং দলের কর্মীরা একে সার্বিকভাবে সফল করে তুলবেন ৷"
কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা এই কর্মসূচি নিয়ে কতটা সচেতন, তা বোঝাতে মহাভারতের একটি অংশের তুলনা টেনে আনেন জয়রাম রমেশ ৷ তিনি বলেন, "দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর সভায় অর্জুন যতটা মনোনিবেশ করেছিলেন, আমরাও ততটাই একাগ্র চিত্তে এই কর্মসূচি পালন করছি ৷ এই মুহূর্তে আমাদের একটাই লক্ষ্য ৷ তা হল, ভারত জোড়ো যাত্রাকে সার্বিকভাবে সফল করতে হবে ৷" এই বিষয়ে তাঁরা যে সমালোচকদের বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন জয়রাম ৷
আরও পড়ুন: বিজেপি কোনও দিন ভারতকে বিভক্ত করতে পারবে না ! হুঁশিয়ারি রাহুলের
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে কন্য়াকুমারী থেকেই ভারত জোড়ো যাত্রার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন রাহুল গান্ধি ৷ তারপর তাঁর দেওয়া ভাষণে লাগাতার গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ৷ যার সারবত্তা হল, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী পক্ষকে ধরাশায়ী করতে ইডি, সিবিআই-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে হাতিয়ার করছে ৷ কিন্তু, তাতে বিরোধী নেতারা মাথা নত করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাহুল ৷
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য হল, চব্বিশের সাধারণ নির্বাচনে ভালো ফল করার লক্ষ্যেই ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছে কংগ্রেস ৷ বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, এই মুহূর্তে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের তুলনায় বিজেপি-এর ভিত অনেক বেশি মজবুত ৷ বস্তুত, নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি-এর মোকাবিলা করতেই ভারতব্যাপী এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে ৷ তবে, তাতে আদৌ কতটা রাজনৈতিক লাভ হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট দ্বিধায় রয়েছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা ৷ তাঁদের অধিকাংশেরই অভিমত হল, কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরতে হলে সবার আগে সংগঠন মজবুত করতে হবে কংগ্রেসকে ৷ কিন্তু, সেখানেই বিরাট ফাঁক থেকে যাচ্ছে ৷
উল্লেখ্য, ভারত জোড়ো যাত্রার আওতায় দেশের 3 হাজার 570 কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবেন কংগ্রেসের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা ৷ কর্মসূচি চলবে টানা 150 দিন ৷ কন্য়াকুমারী থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে ৷