ETV Bharat / bharat

Supreme Court: ইভিএম-ভিভিপ্যাট পরীক্ষা নিয়ে কমিশনে আস্থা সুপ্রিম কোর্টের, খারিজ কংগ্রেসের আবেদন - ভিভিপ্যাট

Supreme Court Dismisses Congress Plea against ECI: ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের প্রথম স্তরের যাচাইয়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি কংগ্রেস ৷ সোমবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রেখেছে ৷ এর আগে দিল্লি হাইকোর্টও কংগ্রেসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল ৷

Supreme Court
Supreme Court
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 9, 2023, 2:40 PM IST

নয়াদিল্লি, 9 অক্টোবর: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট পরীক্ষার প্রাথমিকস্তর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপরই ভরসা রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷ ওই পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস ৷ এই নিয়ে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় ৷ সোমবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপরই ভরসা করেছে ৷

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ বলেছে যে আদালত এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী নয় । এই বছরের অগস্টে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের প্রথমস্তরের পরীক্ষা সম্পর্কিত দিল্লি নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান অনিল কুমার । সেই আবেদন দিল্লির উচ্চ আদালত খারিজ করে দেয় ৷ তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় দিল্লি কংগ্রেস ৷ সোমবার সেই আবেদনও খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত ৷

এ দিন যে বেঞ্চে শুনানি হয়, সেখানে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ছিলেন বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্র ৷ শুনানির সময় বেঞ্চ জানিয়েছে, এখন আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে ৷ তা বিলম্বিত হবে ৷ তাই এই বিষয়ে তারা এখন হস্তক্ষেপ করতে চায় না ৷ আবেদনকারী অনিল কুমারের আইনজীবী যুক্তি দেন যে প্রথম পর্বের যাচাইয়ের প্রক্রিয়াটি নির্বাচনের কমপক্ষে 90 দিন আগে সম্পন্ন করা উচিত ৷ কমিশন জানিয়েছে যে তারা এটা দিল্লি, ঝাড়খণ্ড এবং কেরালার করছে । অন্য রাজ্যের জন্য তা শুরু হয়নি ৷

দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ওই যাচাই প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের অনুপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ করেন ৷ সেই সময় পালটা আবেনকারীর আইনজীবী যুক্তি দেন যে শুধু কংগ্রেস নয়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলিই এই প্রক্রিয়ায় যোগদান করেনি ৷ তখন প্রধান বিচারপতি জানান, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এই নির্বাচন কমিশনের এই প্রক্রিয়ার উপর সকলের বিশ্বাস রয়েছে ৷

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে হাইকোর্ট এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে যাচাই করেছে ৷ রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ ৷ যদি একটি রাজনৈতিক দল সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করে, তাহলে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা যায় না ৷

কংগ্রেসের আইনজীবী দাবি করেন, এটা একটা বড় সমস্যা ৷ এই নিয়ে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয় ৷ কিন্তু পুরো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব কমিশনের তরফে দেওয়া হয়নি ৷ পুরো প্রক্রিয়া শেষের পর সংশ্লিষ্ট ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেওয়া হয় ৷ এই বিষয়টি গুরুত্বই দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট ৷ প্রক্রিয়া শুরুর আগে কেন এই নম্বরগুলি তাঁদের দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের আইনজীবী ৷

সওয়াল-জবাব শেষে প্রধান বিচারপতি জানান, আদালত আর্জি গ্রহণ করতে আগ্রহী নয় । আইনজীবী আদালতকে আবেদনটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান । বেঞ্চ আবেদনটি প্রত্যাহার বলে খারিজ করে দেয় ।

আরও পড়ুন: জাতিগণনা-ভোটকৌশল নিয়ে আলোচনায় নজর কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে

নয়াদিল্লি, 9 অক্টোবর: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট পরীক্ষার প্রাথমিকস্তর নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপরই ভরসা রাখল সুপ্রিম কোর্ট ৷ ওই পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস ৷ এই নিয়ে দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় ৷ সোমবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপরই ভরসা করেছে ৷

ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ বলেছে যে আদালত এই বিষয়ে দিল্লি হাইকোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী নয় । এই বছরের অগস্টে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের প্রথমস্তরের পরীক্ষা সম্পর্কিত দিল্লি নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেন দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান অনিল কুমার । সেই আবেদন দিল্লির উচ্চ আদালত খারিজ করে দেয় ৷ তার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় দিল্লি কংগ্রেস ৷ সোমবার সেই আবেদনও খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত ৷

এ দিন যে বেঞ্চে শুনানি হয়, সেখানে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ছিলেন বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও মনোজ মিশ্র ৷ শুনানির সময় বেঞ্চ জানিয়েছে, এখন আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ধাক্কা খাবে ৷ তা বিলম্বিত হবে ৷ তাই এই বিষয়ে তারা এখন হস্তক্ষেপ করতে চায় না ৷ আবেদনকারী অনিল কুমারের আইনজীবী যুক্তি দেন যে প্রথম পর্বের যাচাইয়ের প্রক্রিয়াটি নির্বাচনের কমপক্ষে 90 দিন আগে সম্পন্ন করা উচিত ৷ কমিশন জানিয়েছে যে তারা এটা দিল্লি, ঝাড়খণ্ড এবং কেরালার করছে । অন্য রাজ্যের জন্য তা শুরু হয়নি ৷

দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ওই যাচাই প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের অনুপস্থিত থাকার কথা উল্লেখ করেন ৷ সেই সময় পালটা আবেনকারীর আইনজীবী যুক্তি দেন যে শুধু কংগ্রেস নয়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলিই এই প্রক্রিয়ায় যোগদান করেনি ৷ তখন প্রধান বিচারপতি জানান, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এই নির্বাচন কমিশনের এই প্রক্রিয়ার উপর সকলের বিশ্বাস রয়েছে ৷

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে হাইকোর্ট এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে যাচাই করেছে ৷ রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ ৷ যদি একটি রাজনৈতিক দল সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করে, তাহলে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা যায় না ৷

কংগ্রেসের আইনজীবী দাবি করেন, এটা একটা বড় সমস্যা ৷ এই নিয়ে কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয় ৷ কিন্তু পুরো প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই চিঠির জবাব কমিশনের তরফে দেওয়া হয়নি ৷ পুরো প্রক্রিয়া শেষের পর সংশ্লিষ্ট ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর দেওয়া হয় ৷ এই বিষয়টি গুরুত্বই দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট ৷ প্রক্রিয়া শুরুর আগে কেন এই নম্বরগুলি তাঁদের দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের আইনজীবী ৷

সওয়াল-জবাব শেষে প্রধান বিচারপতি জানান, আদালত আর্জি গ্রহণ করতে আগ্রহী নয় । আইনজীবী আদালতকে আবেদনটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান । বেঞ্চ আবেদনটি প্রত্যাহার বলে খারিজ করে দেয় ।

আরও পড়ুন: জাতিগণনা-ভোটকৌশল নিয়ে আলোচনায় নজর কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.