ETV Bharat / bharat

Congress: মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসিদের জন্য কোটা ও জাতিগণনা নিয়ে সরব হওয়ার কৌশল কংগ্রেসের - বিজেপি

Congress Banks on Caste Census and Quota within Quota: "ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি যেমন সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং এমনকি ডিএমকেও মহিলা সংরক্ষণ বিলে সামগ্রিক 33 শতাংশ কোটার মধ্যে এসসি, এসটি এবং ওবিসির জন্য সংরক্ষণ নিয়ে আমাদের দাবিকে সমর্থন করে", ইটিভি ভারত-এর অমিত অগ্নিহোত্রীর সঙ্গে কথার সময় বলেছেন এআইসিসি ওবিসি বিভাগের চেয়ারম্যান অজয় যাদব ।

Congress
Congress
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 22, 2023, 7:29 PM IST

নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন দু’টি ‘অস্ত্র’ ব্যবহারের কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস ৷ তারা এখন জাতিগণনা ও মহিলাদের আসন সংরক্ষণের ইস্যুতে কোটার বিষয়টি নিয়েই সবচেয়ে বেশি সরব হতে চাইছে ৷ এই নিয়ে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে চায় কংগ্রেস ৷ লোকসভা ও রাজ্যসভায় যে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছে, সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই কৃতিত্ব দাবি করতে শুরু করেছে বিজেপি ৷ তার পালটা হিসেবেই এই কৌশল নিতে চলেছে কংগ্রেস ৷ ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে সরব হতে শুরু করেছেন কংগ্রেসের নেতারা ৷

আইনসভায় মহিলাদের আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত এই বিল শেষবার 2010 সালে রাজ্যসভায় পাশ হয় ৷ সেই সময় কেন্দ্রের ক্ষমতায় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ৷ সেই সময় কংগ্রেসের শরিক সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং বিরোধী বিজেপির বিরোধিতার জেরে লোকসভায় ওই বিল পাশ করানো যায়নি ৷ তখন সপা ও আরজেডি ওই সংরক্ষণ বিলে তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং ওবিসিদের জন্য আলাদা কোটার দাবি তুলেছিল ৷ যাতে কংগ্রেস রাজি না থাকায় সেই সময় বিল পাশ করানো যায়নি ৷

এখন অবশ্য কংগ্রেস তার অবস্থান বদল করেছে ৷ আর মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসিদের আলাদা কোটা দেওয়ার দাবি তুলেছে৷ এই নিয়ে এআইসিসি-র ওবিসি বিভাগের চেয়ারম্যান অজয় যাদব ইটিভি ভারতকে বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি যেমন সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং এমনকি ডিএমকেও মহিলাদের সংরক্ষণ বিলের সামগ্রিক 33 শতাংশ কোটার মধ্যে থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং ওবিসি-র জন্য সংরক্ষণ নিয়ে আমাদের দাবিকে সমর্থন করেছে ।’’

তিনি আরও বলেন, “ইন্ডিয়া জোট এই ইস্যুতে এক এবং আমরা আগামী দিনগুলিতে কোটার মধ্যে নতুন জাতিগণনা এবং কোটার দাবিতে চাপ বজায় রাখব । বিজেপি বিল পাশ করার জন্য কৃতিত্ব দাবি করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হল অধিকাংশ দল সংসদে এই আইনটিকে সমর্থন করেছে । অন্যথায়, বিলের জন্য এত বিপুল সমর্থন পাওয়া সম্ভব ছিল না ৷’’

সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণের এই দাবিটি প্রথমে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি উত্থাপন করেছিলেন এবং লোকসভায় বিলের উপর বিতর্কের সময় সাংসদ রাহুল গান্ধিও একই কথা বলেন ৷ এআইসিসি ইনচার্জ (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল রাজ্যসভায় দলের মতামত তুলে ধরেন । বৃহস্পতিবার রাহুল দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন যে ইউপিএ-র মহিলা সংরক্ষণ বিলে কোটার মধ্যে কোটা ছিল না বলে । পার্টির অন্দরের খবর, কংগ্রেস মনে করছে তাদের এই অবস্থান বদল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ঐক্য আরও বৃদ্ধি করবে ৷

এআইসিসি ওবিসি বিভাগের প্রধান অজয় যাদবের দাবি, কংগ্রেস এই নিয়ে রাজনীতি করতে চায় না ৷ শুধু সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রেক্ষিত থেকে এই সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণের বিষয়টি সরব হচ্ছে ৷ তিনি বলেন, “আপনি দেখুন, জাতিগণনার বিষয়টি আমাদের সামাজিক ন্যায়বিচারের এজেন্ডায় রয়েছে এবং ফেব্রুয়ারিতে রায়পুরের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পাস করা প্রস্তাবে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল । দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা জানা না থাকলে কীভাবে সামাজিক ন্যায়বিচার হবে ? ইউপিএ একটি জাতিশুমারি করেছিল ৷ কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত সেই তথ্য প্রকাশ করেনি । যখন ইন্ডিয়া ব্লক 2024 সালে ক্ষমতায় আসবে, তখন ওবিসিদের সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য আমরা একটি নতুন জাতিশুমারি করব ৷"

অজয় যাদব আরও বলেন, “কোটার মধ্যে কোটা প্রয়োজন ৷ অন্যথায় এসসি, এসটি এবং ওবিসি মহিলারা লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে 33 শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পেতে সক্ষম হবেন না । বিজেপি বিলটি পাস করেছে, তবে এর জন্য কোনও সময়সীমা দেয়নি । আমরা চাই 2024 সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে 33 শতাংশ কোটা কার্যকর করা হোক ।’’

এআইসিসি-র আরেক সদস্য গুরদীপ সপ্পল বলেন, "রাহুল যে মতামত প্রকাশ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দল কী ভাবছে এবং কী ভাবছে তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে ৷"

আরও পড়ুন: বিল পাশের পরও মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণে মোদি সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল

নয়াদিল্লি, 22 সেপ্টেম্বর: 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নতুন দু’টি ‘অস্ত্র’ ব্যবহারের কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস ৷ তারা এখন জাতিগণনা ও মহিলাদের আসন সংরক্ষণের ইস্যুতে কোটার বিষয়টি নিয়েই সবচেয়ে বেশি সরব হতে চাইছে ৷ এই নিয়ে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে চায় কংগ্রেস ৷ লোকসভা ও রাজ্যসভায় যে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হয়েছে, সেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই কৃতিত্ব দাবি করতে শুরু করেছে বিজেপি ৷ তার পালটা হিসেবেই এই কৌশল নিতে চলেছে কংগ্রেস ৷ ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে সরব হতে শুরু করেছেন কংগ্রেসের নেতারা ৷

আইনসভায় মহিলাদের আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত এই বিল শেষবার 2010 সালে রাজ্যসভায় পাশ হয় ৷ সেই সময় কেন্দ্রের ক্ষমতায় কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ৷ সেই সময় কংগ্রেসের শরিক সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং বিরোধী বিজেপির বিরোধিতার জেরে লোকসভায় ওই বিল পাশ করানো যায়নি ৷ তখন সপা ও আরজেডি ওই সংরক্ষণ বিলে তফসিলি জাতি ও উপজাতি এবং ওবিসিদের জন্য আলাদা কোটার দাবি তুলেছিল ৷ যাতে কংগ্রেস রাজি না থাকায় সেই সময় বিল পাশ করানো যায়নি ৷

এখন অবশ্য কংগ্রেস তার অবস্থান বদল করেছে ৷ আর মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসিদের আলাদা কোটা দেওয়ার দাবি তুলেছে৷ এই নিয়ে এআইসিসি-র ওবিসি বিভাগের চেয়ারম্যান অজয় যাদব ইটিভি ভারতকে বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি যেমন সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং এমনকি ডিএমকেও মহিলাদের সংরক্ষণ বিলের সামগ্রিক 33 শতাংশ কোটার মধ্যে থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং ওবিসি-র জন্য সংরক্ষণ নিয়ে আমাদের দাবিকে সমর্থন করেছে ।’’

তিনি আরও বলেন, “ইন্ডিয়া জোট এই ইস্যুতে এক এবং আমরা আগামী দিনগুলিতে কোটার মধ্যে নতুন জাতিগণনা এবং কোটার দাবিতে চাপ বজায় রাখব । বিজেপি বিল পাশ করার জন্য কৃতিত্ব দাবি করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হল অধিকাংশ দল সংসদে এই আইনটিকে সমর্থন করেছে । অন্যথায়, বিলের জন্য এত বিপুল সমর্থন পাওয়া সম্ভব ছিল না ৷’’

সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণের এই দাবিটি প্রথমে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি উত্থাপন করেছিলেন এবং লোকসভায় বিলের উপর বিতর্কের সময় সাংসদ রাহুল গান্ধিও একই কথা বলেন ৷ এআইসিসি ইনচার্জ (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল রাজ্যসভায় দলের মতামত তুলে ধরেন । বৃহস্পতিবার রাহুল দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন যে ইউপিএ-র মহিলা সংরক্ষণ বিলে কোটার মধ্যে কোটা ছিল না বলে । পার্টির অন্দরের খবর, কংগ্রেস মনে করছে তাদের এই অবস্থান বদল ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ঐক্য আরও বৃদ্ধি করবে ৷

এআইসিসি ওবিসি বিভাগের প্রধান অজয় যাদবের দাবি, কংগ্রেস এই নিয়ে রাজনীতি করতে চায় না ৷ শুধু সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রেক্ষিত থেকে এই সংরক্ষণের মধ্যে সংরক্ষণের বিষয়টি সরব হচ্ছে ৷ তিনি বলেন, “আপনি দেখুন, জাতিগণনার বিষয়টি আমাদের সামাজিক ন্যায়বিচারের এজেন্ডায় রয়েছে এবং ফেব্রুয়ারিতে রায়পুরের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পাস করা প্রস্তাবে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল । দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা জানা না থাকলে কীভাবে সামাজিক ন্যায়বিচার হবে ? ইউপিএ একটি জাতিশুমারি করেছিল ৷ কিন্তু সরকার এখনও পর্যন্ত সেই তথ্য প্রকাশ করেনি । যখন ইন্ডিয়া ব্লক 2024 সালে ক্ষমতায় আসবে, তখন ওবিসিদের সমস্যাগুলি সমাধান করার জন্য আমরা একটি নতুন জাতিশুমারি করব ৷"

অজয় যাদব আরও বলেন, “কোটার মধ্যে কোটা প্রয়োজন ৷ অন্যথায় এসসি, এসটি এবং ওবিসি মহিলারা লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে 33 শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পেতে সক্ষম হবেন না । বিজেপি বিলটি পাস করেছে, তবে এর জন্য কোনও সময়সীমা দেয়নি । আমরা চাই 2024 সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে 33 শতাংশ কোটা কার্যকর করা হোক ।’’

এআইসিসি-র আরেক সদস্য গুরদীপ সপ্পল বলেন, "রাহুল যে মতামত প্রকাশ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দল কী ভাবছে এবং কী ভাবছে তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে ৷"

আরও পড়ুন: বিল পাশের পরও মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণে মোদি সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.