অনন্তনাগ (জম্মু ও কাশ্মীর), 14 সেপ্টেম্বর: জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে শহিদ হয়েছেন তিনজন ৷ তাঁদেরই একজন কর্নেল মনপ্রীত সিং ৷ তিনি রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের 19 নম্বর ব্যাটালিয়ানে কর্মরত ছিলেন ৷ তাঁর চাকরির মেয়াদ ছিল আর মাত্র চারমাস ৷ তাঁর শহিদ হওয়ার খবরে শোকস্তব্ধ পঞ্জাবের পঞ্চকুলা গ্রাম ৷ পঞ্চকুলার বাসিন্দা হলেও মনপ্রীতের জন্মভূমি মোহালি ৷ সেখানকার বাসিন্দারাও এই খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ ৷ মোহালির ভাঞ্জোরিয়া গ্রামেই শেষকৃত্য হবে শহিদ কর্নেল মনপ্রীত সিংয়ের ৷ তাঁকে শেষবার দেখার অপেক্ষায় পুরো গ্রাম ৷
সেনাবাহিনীর সঙ্গে মনপ্রীতের পরিবারের সম্পর্ক নতুন নয় ৷ তাঁর ঠাকুরদা শীতল সিং, বাবা লক্ষ্মীর সিং (বর্তমানে প্রয়াত) ও কাকা রণজিৎ সিং সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন ৷ মনপ্রীতের বাবা সেনা থেকে অবসর নেওয়ার পর পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা বিভাগের সুপারভাইজার হিসেবেও কাজ করেছেন ৷
ফলে সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করার ঝুঁকি সম্বন্ধে পুরো সিং পরিবারও ওয়াকিবহাল ৷ তার পরও কর্নেল মনপ্রীত সিংয়ের স্ত্রী জগমিত এবং তাঁদের দুই সন্তানকে শুরুতেই শহিদ হওয়ার খবর প্রথমে দেওয়া হয়নি ৷ শুধু আহত হওয়ার খবর দেওয়া হয় ৷ পরে অবশ্য সেই খবর দেওয়া হয় ৷ তার পর থেকে পঞ্চকুলার সেক্টর 26-এর বাড়ির সদস্যরা শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন ৷ চারিদিকে ছেয়ে গিয়েছে হৃদয় বিদারক নীরবতা ৷
উল্লেখ্য, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গিদের সন্ধানে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী ৷ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন কর্নেল মনপ্রীত সিং ৷ রাত বেশি হওয়ায় যাওয়ায় মঙ্গলবার সাময়িকভাবে অভিযান বন্ধ করা হয় ৷ তার পর বুধবার সকাল থেকে আবার শুরু হয় অভিযান ৷ সেই সময় জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম হন কর্নেল মনপ্রীত সিং ৷ তাঁর সঙ্গেই জখম হন মেজর আশিস ধাউনচক ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিএসপি হুমায়ুন ভাট ৷ পরে তিনজনের মৃত্যু হয় ৷ দেশকে রক্ষার কাজে নিয়োজিত হয়ে শহিদ হন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: অনন্তনাগে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ সেনার কর্নেল-মেজর, প্রাণ গেল পুলিশ আধিকারিকেরও; শোকপ্রকাশ মমতার