গান্ধিধাম (গুজরাত), 29 সেপ্টেম্বর: উদ্ধার 800 কোটি টাকার কোকেন। পুলিশি তল্লাশিতে বৃহস্পতিবার কচ্ছ জেলার গান্ধিধাম শহর থেকে উদ্ধার হয় মোট 80 কেজি কোকেন। প্রাথমিক অনুমান, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই এই বিপুল পরিমাণ মাদক ফেলে পালিয়ে গিয়েছে পাচারকারীরা। গত কয়েকদিন ধরেই কচ্ছের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের নজরদারি বেড়েছে। তার জেরেই এমন ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, 80টি প্যাকেটে মোট 80 কিলো কোকেন রাখা ছিল। স্থানীয় এসপি সাগর বাগমার বলেন, "যেভাবে মাদকের প্যাকেট ফেলে রাখা হয়েছে তা থেকে স্পষ্ট পাচারকারীরা পুলিশের হাত থেকে বাঁচতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।" স্নায়ুতন্ত্রকে কিছুটা সময়ের জন্য অকেজো করে দেওয়াই কোকেনের কাজ। অতিরিক্ত কোকেন সেবন করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্য এখন মাদক পাচারের কার্যত স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের আশপাশে থাকা রাজ্যে এই ধরনের পাচারের প্রবণতা চিরকালই বেশি। উৎসবের মরশুমের আগে প্রশাসন থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলি মাদক উদ্ধারে বাড়তি তৎপরতা দেখায়। এবারও কচ্ছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় বিএসএফের তল্লাশি চলছে।
বিএসএফের পাশাপাশি পুলিশও সক্রিয়। চলছে চিরুনি তল্লাশি। এই প্রসঙ্গে এসপি আরও বলেন, "গোপন সূত্র থেকে আমাদের কাছে এই মাদকের বিষয় খবর ছিল। সেই মতো অভিযান চালিয়ে সাফল্য মিলেছে। 80টি প্যাকেট থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকের দাম কমবেশি 800 কোটি টাকা।" তবে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
তদন্তে কিছুটা এগিয়ে পুলিশ বুঝতে পেরেছে এই এলাকা দিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে আরও বেশ কিছু মাদক বিভিন্ন জায়গায় চালান হয়ে গিয়েছে। সেই মতো এই প্যাকেটগুলিও চালান হয়ে যেত। তার আগে ধরা পড়ার ভয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। তাছাড়া উদ্ধার হওয়া মাদকের অবস্থা দেখে তদন্তকারীদের মনে হয়েছে এগুলি মাত্র কিছুদিন আগেই প্যাকেটে ভরা হয়েছে। আর তাই এই ধরনের আরও মাদক আগামিদিনে চালানের চেষ্টা হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। সে কথা মাথায় রেখেই নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার সোনার বিস্কুট, মাদক ও লক্ষাধিক নগদ উদ্ধার ; গ্রেফতার 5