ইন্দোর, 27 নভেম্বর: আজকালকার শিশুদের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু বোধহয় মুঠোফোন ৷ মোবাইল গেমসে আসক্তি নজর ঘুড়িয়েছে ক্রিকেট, ফুটবল বা অনান্য আউটডোর খেলা থেকে ৷ কল অফ ডিউটি: মর্ডান ওয়ারফেয়ার 2, মোমো চ্যালেঞ্জ বা পাবজির মতো খেলা জনপ্রিয় এখনকার স্কুলের পড়ুয়াদের কাছে ৷ ফলে কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক, তা অনেক সময় বোধগম্য হচ্ছে না শিশুদের ৷ যে কারণে ক্লাসে সহপাঠীকে 108 বার জ্যামিতির কম্পাস দিয়ে আঘাত করতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করল না চতুর্থ শ্রেণীর এক পড়ুয়া ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে এক বেসরকারি স্কুলে ৷ একটা 8-9 বছরের নাবালক স্কুলের মধ্যে কীভাবে নৃশংস কাণ্ড ঘটাল, তা ভাবাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে শিশু কল্যাণ কমিশনের আধিকারিকদের ৷
সোমবার ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিশু কল্যাণ কমিশনের আধিকারিক ৷ চেয়ারপার্সন পল্লবী পোরওয়াল জানিয়েছেন, স্কুলের বন্ধুর সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে মারপিট শুরু হতে ওই নাবালক কম্পাস দিয়ে 108 বার আঘাত করে তার সহপঠীকে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে 24 নভেম্বর ৷ অ্যারোড্রোম পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে ঘটনার ৷ তিনি বলেন, "এই ধরনের ঘটনা চমকে দেওয়ার মতো ৷ এত কম বয়সে এই ধরনের হিংস্র ব্যবহারের কারণ জানতে ইতিমধ্যেই পুলিশকে পুরো ঘটনার তদন্ত করতে বলা হয়েছে ৷"
পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, শিশু কল্যাণ কমিশনের তরফে নাবালক ও তাঁদের বাবা-মায়েদের ডেকে কাউন্সেলিং করা হবে ৷ পাশাপাশি, জানতে হবে সম্প্রতি অভিযুক্ত নাবালক কোনও হিংসাত্মক কোনও মোবাইল বা ভিডিয়ো গেম খেলছিল কি না ৷ আহত ছাত্রের বাবা বলেন, "রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরার পর আমার ছেলে আমাকে পুরো ঘটনাটা জানায় ৷ আমি এখনও বুঝতে পারছি না, কেন তার উপর এমন নৃংশস হামলা করল তাঁর ক্লাসেরই বন্ধু ৷ আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছি ৷ কিন্তু আমাকে দেখানো হয়নি ৷"
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিবেক সিং চৌহান জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ নাবালকের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে ৷ এই ঘটনায় যে নাবালকরা যুক্ত প্রত্যেকেরই বয়স 10 বছর নীচে ৷ সবকিছু বিবেচনা করেই সঠিক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন:
1. বন্ধুত্ব প্রমাণে আত্মহত্যা ! দু'বছর আগের স্মৃতি উসকে বিহারে একসঙ্গে বিষ খেল চার বন্ধু, মৃত
2. গুজরাতে অসময়ে বৃষ্টিপাত, বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 20, শোক প্রকাশ অমিত শাহের
3. ' আমাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী প্রতিবেশীরা', সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী গোটা পরিবার!