ETV Bharat / bharat

CISF Constable in Honeytrap: পাকিস্তানি মহিলার 'হানিট্র্যাপে' সিআইএসএফ কনস্টেবল, দেশের তথ্য পাচারের অভিযোগ - হানিট্র্যাপ

CISF Constable in Pakistani Woman Honeytrap: পাকিস্তানি মহিলার 'হানিট্র্যাপে' দেশের তথ্য পাচারের অভিযোগ সিআইএসএফ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ ৷

Honeytrap
মধুচক্র
author img

By

Published : Aug 8, 2023, 7:28 PM IST

বিশাখাপত্তনম (অন্ধ্রপ্রদেশ), 8 অগস্ট: পাকিস্তানি মহিলার মধুচক্রে বা 'হানিট্র্যাপে' পড়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় এক সিআইএসএফ কনস্টেবল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ৷ ওই সিআইএসএফ কনস্টেবলের নাম কপিল কুমার ৷ বিশাখা সিটি কমিশনার ত্রিবিক্রম ভার্মার নির্দেশে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে ৷ অভিযুক্ত সিআইএসএফ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

সূত্রের খবর, গুজরাতের বাসিন্দা কপিল কুমার প্রথমে হায়দরাবাদের 'ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড'-এ কাজ করতেন । এরপরে তিনি 2 অগস্ট 2022 সালে বদলি হয়ে আসেন এবং বিশাখা স্টিল প্ল্যান্ট সিকিউরিটিতে যোগ দেন । বর্তমানে সিআইএসএফের দমকল বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি । দু'বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তমিশা নামের এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় কপিলের । ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয় এবং পরে তারা হায়দরাবাদে গোপন বৈঠক করেন । তাঁর গতিবিধিতে সন্দেহ হয় আধিকারিকরদের ৷ তাঁরা সন্দেহ করেন যে সিআইএসএফ কনস্টেবল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কিত তথ্য ওই মহিলার মাধ্যমে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠাচ্ছেন । এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং তাঁর মোবাইল ফোন চেক করা হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বেরিয়ে আসে । এর ভিত্তিতে কপিলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

জানা গিয়েছে, কপিল বিবাহিত হলেও বর্তমানে সিআইএসএফ ব্যারাকে একাই থাকেন । যখন তাঁর ফোনগুলি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয় তখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে যে, বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোপন তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাকে পাচার করা হচ্ছে । তদন্তকারী আধিকারিকরা দেখতে পান যে তমিশা নামে একজনের নম্বরে তথ্য আদানপ্রদান করা হয়েছে ৷ চলতি মাসের 1 তারিখে কপিলের কাছে মাত্র দুটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল । 4 তারিখে আরেকটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন পাওয়া যায় তাঁর কাছ থেকে । তবে পুলিশ দেখে যে এই তিনটি ফোনের সোশাল মিডিয়া অ্যাপে থাকা মেসেজগুলি তড়িঘড়ি করে মুছে ফেলা হয়েছে । ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে । বিশাখা সিটি কমিশনার ত্রিবিক্রম ভার্মার নির্দেশে সরকারি গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অপরাধের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: হানিট্র্যাপে পড়ে তথ্য পাচারের অভিযোগ, গ্রেফতার বাঁকুড়ার জওয়ান

এর আগে, বিশাখাপত্তনম জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করে আরেকটি মধুচক্রের ফাঁদ । এনএসআইএ এর আগে 'অপারেশন ডলফিন নোজ' নামে বিশাখাপত্তনমে নৌবাহিনীতে গুপ্তচরবৃত্তির একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে । ওই মামলায় নৌবাহিনীর 11 আধিকারিক-সহ মোট 14 জনকে গ্রেফতার করা হয় । একই মামলায় সন্দেহভাজন পাকিস্তানি ব্যক্তির সঙ্গে এই বছরের 19 জুলাই নেভাল ডক ইয়ার্ডে ইএসি হিসাবে কাজ করা আকাশ সোলাঙ্কির বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল । এই চক্রের মূল নথি ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।

বিশাখাপত্তনম (অন্ধ্রপ্রদেশ), 8 অগস্ট: পাকিস্তানি মহিলার মধুচক্রে বা 'হানিট্র্যাপে' পড়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় এক সিআইএসএফ কনস্টেবল ৷ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ৷ ওই সিআইএসএফ কনস্টেবলের নাম কপিল কুমার ৷ বিশাখা সিটি কমিশনার ত্রিবিক্রম ভার্মার নির্দেশে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে ৷ অভিযুক্ত সিআইএসএফ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷

সূত্রের খবর, গুজরাতের বাসিন্দা কপিল কুমার প্রথমে হায়দরাবাদের 'ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড'-এ কাজ করতেন । এরপরে তিনি 2 অগস্ট 2022 সালে বদলি হয়ে আসেন এবং বিশাখা স্টিল প্ল্যান্ট সিকিউরিটিতে যোগ দেন । বর্তমানে সিআইএসএফের দমকল বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি । দু'বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তমিশা নামের এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় কপিলের । ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয় এবং পরে তারা হায়দরাবাদে গোপন বৈঠক করেন । তাঁর গতিবিধিতে সন্দেহ হয় আধিকারিকরদের ৷ তাঁরা সন্দেহ করেন যে সিআইএসএফ কনস্টেবল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কিত তথ্য ওই মহিলার মাধ্যমে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠাচ্ছেন । এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং তাঁর মোবাইল ফোন চেক করা হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বেরিয়ে আসে । এর ভিত্তিতে কপিলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

জানা গিয়েছে, কপিল বিবাহিত হলেও বর্তমানে সিআইএসএফ ব্যারাকে একাই থাকেন । যখন তাঁর ফোনগুলি ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয় তখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে যে, বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোপন তথ্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাকে পাচার করা হচ্ছে । তদন্তকারী আধিকারিকরা দেখতে পান যে তমিশা নামে একজনের নম্বরে তথ্য আদানপ্রদান করা হয়েছে ৷ চলতি মাসের 1 তারিখে কপিলের কাছে মাত্র দুটি মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল । 4 তারিখে আরেকটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন পাওয়া যায় তাঁর কাছ থেকে । তবে পুলিশ দেখে যে এই তিনটি ফোনের সোশাল মিডিয়া অ্যাপে থাকা মেসেজগুলি তড়িঘড়ি করে মুছে ফেলা হয়েছে । ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে । বিশাখা সিটি কমিশনার ত্রিবিক্রম ভার্মার নির্দেশে সরকারি গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অপরাধের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে ।

আরও পড়ুন: হানিট্র্যাপে পড়ে তথ্য পাচারের অভিযোগ, গ্রেফতার বাঁকুড়ার জওয়ান

এর আগে, বিশাখাপত্তনম জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করে আরেকটি মধুচক্রের ফাঁদ । এনএসআইএ এর আগে 'অপারেশন ডলফিন নোজ' নামে বিশাখাপত্তনমে নৌবাহিনীতে গুপ্তচরবৃত্তির একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে । ওই মামলায় নৌবাহিনীর 11 আধিকারিক-সহ মোট 14 জনকে গ্রেফতার করা হয় । একই মামলায় সন্দেহভাজন পাকিস্তানি ব্যক্তির সঙ্গে এই বছরের 19 জুলাই নেভাল ডক ইয়ার্ডে ইএসি হিসাবে কাজ করা আকাশ সোলাঙ্কির বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল । এই চক্রের মূল নথি ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.