লখনউ, 18 জানুয়ারি: অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ! তেমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে ৷ যোগীরাজ্যে একটি শিশুকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং তাকে কবর দিয়ে দেয় পরিবার ৷ কিন্তু পরে এক তান্ত্রিকের পরামর্শে কবর খুঁড়ে তিন বছরের শিশুকে বের করে আনা হয় ৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে সৈয়দপুর মাহারি গ্রামের হাসপাতালে ভরতি করা হয় (A 3 years old child taken out of the grave on advice of a local tantric in Saidpur Mahari Uttar Pradesh) ৷ সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান শিশুটির দেহে প্রাণ নেই ৷
সৈয়দপুর মাহারির বাসিন্দা পূজা ও সুনীল রাওয়াতের পুত্র অক্ষত বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিল ৷ শনিবার বিকেলে তাকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ রবিবার পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের কবরস্থানে কবর দেয় ৷ ইতিমধ্যে, সোমবার রাতে সদ্য সন্তানহারা মা পূজা স্বপ্নে দেখেন, তাঁদের সন্তান বেঁচে আছে ৷ এরপর এক তান্ত্রিকের কাছে যান পূজা-সুনীল ৷ তাঁর কথায় বিশ্বাস করে সদস্যরা কবর খুঁড়ে শিশুটিকে তুলে আনেন ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির গা গরম ছিল ৷
আরও পড়ুন: 40 ফুট গভীর বোরওয়েলে পড়ে গেল শিশু, 5 ঘণ্টা পর উদ্ধার করল এনডিআরএফ
গ্রামের বাসিন্দা মুন্না, রাকেশ, রাজু এবং কমলাবতী জানান, তাঁরা স্থানীয় এক তান্ত্রিকের কথায় তাঁকে কবরস্থানে নিয়ে যান ৷ তান্ত্রিক ওই শিশুর কবরটিকে পুনর্জন্মের আশীর্বাদ করেন ৷ তারপর, বাচ্চাটিকে কবর থেকে বের করে আনা হয় ৷ শিশুটিকে বাড়িতে এনে তান্ত্রিক তাকে মাটিতে রাখে ৷ তাকে বাঁচিয়ে তোলার মন্ত্র পাঠ করতে থাকেন তান্ত্রিক ৷ এরপর গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয় ৷ পুলিশ এলে তান্ত্রিক সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷
পুলিশ আধিকারিক দুবাগ্গা সুখবীর সিং ভাদুরিয়া জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের দেওয়া খবরে তিনি নিজে পুলিশের দল নিয়ে সৈয়দপুর মাহারি গ্রামে পৌঁছন ৷ সেই সময় শিশুটির পরিবারের সদস্যরা মাটিতে শুয়ে ছিলেন ৷ তারা শিশুটির গায়ে হাত দিয়ে দেখে তার দেহ তখনও গরম আছে ৷ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায় ৷ পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে ৷ শিশুটির দেহ ময়নাতদন্ত পাঠানো হয়েছে । ঘটনায় কারা কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷