ETV Bharat / bharat

CJI : ‘অষ্টম শ্রেণিতে প্রথম ইংরেজি পাঠ, সুবক্তা নই’, দিল্লি দূষণের শুনানিতে কেন্দ্রকে শ্লেষ প্রধান বিচারপতির

author img

By

Published : Nov 14, 2021, 1:53 PM IST

সলিসিটর জেনারেল তুষার জানান, তিনি কৃষকদের দায়ী করেননি ৷ আইনের ভাষা বোঝাতে গিয়ে হয়ত একটু এদিক ওদিক হয়ে গিয়েছে । তাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, আমি পরিশীলিত বক্তা নই । খামতি আমার মধ্যেই । কারণ অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজি পড়ার সুযোগ পাই । ইংরেজিতেই আইন পড়েছি বটে, তবে নিজের মনের কথা স্পষ্ট ভাবে বোঝানোর মতো ভাল ইংরেজি জানি না ।’’

Chief Justice NV Ramana says he is not a sophisticated speaker, does not know good English while hearing Delhi pollution case
প্রধান বিচারপতি এনভি রমণা ।

নয়াদিল্লি, 14 নভেম্বর : বিষাক্ত বাতাসে ঢেকে গিয়েছে রাজধানী । তার মধ্যেও দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে । তা নিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে কার্যত বচসা বাধে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার । দূষণের জন্য ফসলের গোড়া পোড়ানোকেই মূলত দায়ী করেন সলিসিটর জেনারেল, যার তীব্র বিরোধিতা করেন প্রধান বিচারপতি । তাতে কার কত ইংরেজি জ্ঞান, সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে ৷

আইনি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীপাবলিতে রাজধানীতে দেদার তাণ্ডব চলেছে বাজির ৷ তার পর পড়শিরাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়াও ঢুকে এসেছে ৷ তার জেরে ধোঁয়া এবং বিষাক্ত বাতাসে ঢেকে গিয়েছে গোটা দিল্লি ৷ এমন পরিস্থিতিতে শনিবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় ৷ প্রয়োজন দু’দিনের লকডাউন লকডাউন করা যায় কি না, তারও সুপারিশ করেন ৷

আরও পড়ুন: Sonu Sood : যাত্রা শুরু পঞ্জাব থেকেই, বোনকে রাজনীতিতে এগিয়ে দিলেন সোনু

সেই সময় কেন্দ্রের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটর জেনারেল মেহতা জানান, পড়শি রাজ্যে কৃষকরা ফসলের গোড়া পোড়ানোতেই দূষণে ঢেকে গিয়েছে দিল্লি ৷ কিন্তু তাঁর এই যুক্তি মানতে চাননি প্রধান বিচারপতি রামানা ৷ তিনি বলেন, ‘‘ফসলের গোড়া পোড়ানো কিছুটা দায়ী মানছি ৷ কিন্তু দূষণের জন্য শুধু তাকে দায়ী করা ঠিক নয় ৷ যানবাহনের ধোঁয়া, বাজি, শিল্পবর্জ্য, ধুলো, এ সব আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ৷ বাজি এবং যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কী কার্যকরী পদক্ষেপ করা হয়েছে ?’’

এতে সলিসিটর জেনারেল তুষার জানান, তিনি কৃষকদের দায়ী করেননি ৷ আইনের ভাষা বোঝাতে গিয়ে হয়ত একটু এদিক ওদিক হয়ে গিয়েছে । তাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, আমি পরিশীলিত বক্তা নই । আসলে খামতি আমার মধ্যেই । কারণ অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজি পড়ার সুযোগ পাই । ইংরেজিতেই আইন পড়েছি বটে, তবে নিজের মনের কথা স্পষ্ট ভাবে বোঝানোর মতো ভাল ইংরেজি জানি না ।’’

আরও পড়ুন: Rajnath Singh : উত্তরপ্রদেশের প্রতিরক্ষা শিল্পই আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করবে, দাবি রাজনাথের

প্রধান বিচারপতির গলায় শ্লেষ ধরতে পেরে এর পর সাফাই দিতে দেখা যায় সলিসিটর জেনারেল মেহতাকে । তিনি বলেন, ‘‘আমরা একই নৌকার যাত্রী । ইংরেজিতে আইন পড়েছি বটে । কিন্তু অষ্টম শ্রেণিতে গিয়েই ইংরেজির সঙ্গে পরিচিতি ঘটে । স্নাতক স্তর পর্যন্ত গুজরাতি মিডিয়ামেই পড়েছি ।’’

তবে তাঁর সাফাই কানে তোলেননি প্রধান বিচারপতি । তাঁর সাফ নির্দেশ ছিল, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা 500 থেকে কী ভাবে 200-তে নামিয়ে আনা যায়, অবিলম্বে তা জানাতে হবে কেন্দ্র এবং দিল্লির সরকারকে । যেন তেন প্রকারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে । এই ‘জরুরি’ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে হবে রাজ্যবাসীকে ।

নয়াদিল্লি, 14 নভেম্বর : বিষাক্ত বাতাসে ঢেকে গিয়েছে রাজধানী । তার মধ্যেও দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে । তা নিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে কার্যত বচসা বাধে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার । দূষণের জন্য ফসলের গোড়া পোড়ানোকেই মূলত দায়ী করেন সলিসিটর জেনারেল, যার তীব্র বিরোধিতা করেন প্রধান বিচারপতি । তাতে কার কত ইংরেজি জ্ঞান, সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে ৷

আইনি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীপাবলিতে রাজধানীতে দেদার তাণ্ডব চলেছে বাজির ৷ তার পর পড়শিরাজ্যে ফসলের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়াও ঢুকে এসেছে ৷ তার জেরে ধোঁয়া এবং বিষাক্ত বাতাসে ঢেকে গিয়েছে গোটা দিল্লি ৷ এমন পরিস্থিতিতে শনিবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় ৷ প্রয়োজন দু’দিনের লকডাউন লকডাউন করা যায় কি না, তারও সুপারিশ করেন ৷

আরও পড়ুন: Sonu Sood : যাত্রা শুরু পঞ্জাব থেকেই, বোনকে রাজনীতিতে এগিয়ে দিলেন সোনু

সেই সময় কেন্দ্রের হয়ে আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে সলিসিটর জেনারেল মেহতা জানান, পড়শি রাজ্যে কৃষকরা ফসলের গোড়া পোড়ানোতেই দূষণে ঢেকে গিয়েছে দিল্লি ৷ কিন্তু তাঁর এই যুক্তি মানতে চাননি প্রধান বিচারপতি রামানা ৷ তিনি বলেন, ‘‘ফসলের গোড়া পোড়ানো কিছুটা দায়ী মানছি ৷ কিন্তু দূষণের জন্য শুধু তাকে দায়ী করা ঠিক নয় ৷ যানবাহনের ধোঁয়া, বাজি, শিল্পবর্জ্য, ধুলো, এ সব আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ৷ বাজি এবং যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কী কার্যকরী পদক্ষেপ করা হয়েছে ?’’

এতে সলিসিটর জেনারেল তুষার জানান, তিনি কৃষকদের দায়ী করেননি ৷ আইনের ভাষা বোঝাতে গিয়ে হয়ত একটু এদিক ওদিক হয়ে গিয়েছে । তাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, আমি পরিশীলিত বক্তা নই । আসলে খামতি আমার মধ্যেই । কারণ অষ্টম শ্রেণিতে ইংরেজি পড়ার সুযোগ পাই । ইংরেজিতেই আইন পড়েছি বটে, তবে নিজের মনের কথা স্পষ্ট ভাবে বোঝানোর মতো ভাল ইংরেজি জানি না ।’’

আরও পড়ুন: Rajnath Singh : উত্তরপ্রদেশের প্রতিরক্ষা শিল্পই আত্মনির্ভর ভারত তৈরি করবে, দাবি রাজনাথের

প্রধান বিচারপতির গলায় শ্লেষ ধরতে পেরে এর পর সাফাই দিতে দেখা যায় সলিসিটর জেনারেল মেহতাকে । তিনি বলেন, ‘‘আমরা একই নৌকার যাত্রী । ইংরেজিতে আইন পড়েছি বটে । কিন্তু অষ্টম শ্রেণিতে গিয়েই ইংরেজির সঙ্গে পরিচিতি ঘটে । স্নাতক স্তর পর্যন্ত গুজরাতি মিডিয়ামেই পড়েছি ।’’

তবে তাঁর সাফাই কানে তোলেননি প্রধান বিচারপতি । তাঁর সাফ নির্দেশ ছিল, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা 500 থেকে কী ভাবে 200-তে নামিয়ে আনা যায়, অবিলম্বে তা জানাতে হবে কেন্দ্র এবং দিল্লির সরকারকে । যেন তেন প্রকারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে । এই ‘জরুরি’ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতে হবে রাজ্যবাসীকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.