বিজাপুর, 10 অগস্ট : মনের মধ্যে সবসময় দুশ্চিন্তা । থাকার কোনও ঠিক নেই । জঙ্গলে জঙ্গলে রাত কাটানো । সর্বক্ষণ পুলিশের ভয় । ঘুমোতে গিয়েও শান্তি নেই । পরের দিন সূর্যের আলোটা দেখতে পাবেন কি না, তাও জানতেন না । বন্দুকের নলই এখানে শেষ কথা বলে । বালিশের পাশে রাইফেল রেখে ঘুমাতে যেতে হত । দীর্ঘদিন এভাবে কাটছিল বিজাপুরের নকশাল দম্পতির । নকশাল কমান্ডার রাজু করম এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা করম । কিন্তু এই লাল সন্ত্রাসের বেড়াজাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন তাঁরা । ফিরে আসতে চাইছিলেন সমাজের মূল স্রোতে । আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো করে বাকি জীবনটা কাটাতে চেয়েছিলেন ।
সোমবার আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে তাই বিজাপুর থানায় আত্মসমর্পণ করলেন করম দম্পতি । নকশাল চিন্তাধারা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন তাঁরা । রাজু করম ও সুনীতা করমের জন্য 8 লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে ।
রাজু ও সুনীতা দু'জনেই ওডিশা ও তেলাঙ্গানা বিউরো অফ নকশালের সদস্য ছিলেন । রাজুর কথায়, নকশালের আদর্শ পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে । এখন একটা ফাঁপা আদর্শের উপর চলছে নকশাল । এর পাশাপাশি ছত্তিশগড় সরকারের নকশাল পুনর্বাসন নীতিও তাঁদের অনেকটা প্রভাবিত করেছে । আর সেই কারণেই লাল সন্ত্রাসের জগত ছেড়ে বেরিয়ে আসার এই সিদ্ধান্ত ।
আরও পড়ুন : তিন দশক পর নকশাল অধ্য়ুষিত মিনপা গ্রামে রাস্তা তৈরিতে নিয়োগ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী
বিজাপুরের পুলিশ সুপার কমলোচন কাশ্যপ জানিয়েছেন, রাজু ও সুনীতা ওডিশার কালাহান্ডি, কানধামাল, বোধ, নয়াগড় এলাকার দায়িত্বে ছিলেন । এর পাশাপাশি তেলাঙ্গানাতেও যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন রাজু ।