নয়াদিল্লি, 27 মার্চ: জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস-বাবদ পানমশলা, সিগারেট-সহ বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্য থেকে যে লেভি কাটা হয়, তার সর্বোচ্চ সীমা নির্দিষ্ট করে দিল (Capping on Maximum GST Cess) কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ফলে খোলা বাজারেও এই সমস্ত পণ্যের দামের সর্বোচ্চ সীমা নির্দিষ্ট থাকবে ৷ অর্থবিল 2023-এ আনা সংস্কারের মাধ্যমে এই পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ গত শুক্রবার এই সংশোধিত বিল লোকসভায় পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয় ৷ যা আগামী 1 এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হবে ৷
নয়া আইন অনুসারে, প্রতি ইউনিট (প্রতি পাউচ বা প্রতি বাক্স) পানমশলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেসের হার হবে পণ্যের খুচরো দামের 51 শতাংশ ৷ বর্তমানে এই পণ্যে 135 শতাংশ অ্যাড ভ্যালোরেম (করের আওতাভুক্ত হওয়ার পর পণ্য়ের সম্ভাব্য দাম অনুসারে) সেস কাটা হয় ৷
সিগারেটের ক্ষেত্রে প্রতি 1 হাজারটির জন্য সেসের হার নির্দিষ্ট করা হয়েছে 4 হাজার 170 টাকা ৷ এর সঙ্গে যুক্ত হবে 290 শতাংশ অ্যাড ভ্যালোরেম বা প্রতিটি সিগারেটের খুচরো দামের 100 শতাংশ ৷ সর্বোচ্চ 28 শতাংশ জিএসটি হারের উপরে লেভি হিসাবে সেস কেটে নেওয়া হবে ৷
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হল, শুধুমাত্র আইনে সংশোধন করেই নতুন হারে লেভি কাটা যাবে না ৷ তার জন্য জিএসটি কাউন্সিলকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে ৷ তাঁদের বক্তব্য হল, এই পরিবর্তন একটি অত্যন্ত লক্ষ্যণীয় পদক্ষেপ ৷ যেসমস্ত সংস্থা পানমশলা, সিগারেট-সহ বিভিন্ন ধরনের তামাকজাত পণ্য সরবরাহ করে, তাদের উপর কর আরোপের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পরিবর্তন ৷ এর ভালো এবং মন্দ দু'টি দিকই রয়েছে ৷ যেমন- নয়া ব্যবস্থাপনায় করফাঁকি কমবে ৷ অন্যদিকে, ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক দিক থেকে এটি একটি পশ্চাদপসরণমূলক সিদ্ধান্ত হিসাবে গণ্য করা হতে পারে ৷
গত ফেব্রুয়ারি মাসের জিএসটি বৈঠকে রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ সেখানে রাজ্যের প্রতিনিধিরা নির্মলাকে নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ জানান ৷ তাঁরা বলেন, পানমশলা ও গুটখা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি নিয়মিত করফাঁকি দিচ্ছে ৷ সেই সমস্যার সমাধান করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলও আসতে পারে জিএসটি'র আওতায়, ইঙ্গিত নির্মলার
তামাকজাত পণ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলি যাতে কর প্রদানে উৎসাহিত হয়, তার জন্য মন্ত্রিগোষ্ঠীর তরফে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয় ৷ তাতে বলা হয়, পানমশাল ও চিউয়িং টোব্য়াকোর উপর কর আদায়ের পদ্ধতি প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যেতে পারে ৷ অ্যাড ভ্যালোরেমের বদলে নির্দিষ্ট হারে লেভি আদায় করা যেতে পারে ৷ সেই সমস্ত দিক বিবেচনা করেই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷