ETV Bharat / bharat

কমিটি গঠন করুন, নাহলে কৃষক আন্দোলন জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে : সুপ্রিম কোর্ট - কৃষক আন্দোলনে ইতি টানতে কমিটি গঠনের পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের

একটি কমিটি গঠন করে অবিলম্বে সমাধানে পৌঁছাতে হবে । দিল্লিতে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের ।

asd
asd
author img

By

Published : Dec 16, 2020, 5:52 PM IST

Updated : Dec 16, 2020, 6:03 PM IST

দিল্লি, 16 ডিসেম্বর : অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে হবে । না হলে ক্রমে তা জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে । কৃষক আন্দোলন নিয়ে এমনটাই পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের । সমস্যার সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের পরামর্শও দেওয়া হয় ।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত দিল্লি সীমান্ত । বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের একাধিক কৃষক । ভারতের গণ্ডি ছেড়ে ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে একাধিক দেশেই ।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে । এমনকী তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি । এই প্রসঙ্গে আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, "সরকার মিটমাট করে নেওয়ার জন্য তৈরি ছিল ও আছে । কিন্তু সমস্যা তৈরি হচ্ছে কৃষকদের নিয়ে । একাধিক মন্ত্রী এই বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু, তাঁরা কথাই বলতে চাইছেন না ।" আর এই সমস্যার জন্য বিরোধীদের দায়ি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । সরাসরি বিরোধীদের নাম না নিয়ে তাদের দাবি, কৃষকদের বাইরে থেকে কেউ উসকানি দিচ্ছে ।

এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, ‘‘এই ভাবে চললে আপনাদের আলোচনা ফের ব্যর্থ হবে । ওঁরা রাজি হবেন না । তাই আমাদের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলুন, যে সামনে আসতে পারে...না হলে এটা শীঘ্রই জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠবে ।" সমস্যার সমাধানে, বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি । বলেন, "এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হোক । সেখানে সরকার ও কৃষকদের প্রতিনিধিরা থাকবেন ।" এছাড়া দিল্লি, পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকেও এই বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে ।

আজ সুপ্রিম কোর্টে কৃষক আন্দোলন নিয়ে একাধিক আবেদনের শুনানি হয় । প্রথমটি, কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে যাতে এভাবে জমায়েত করে কৃষকরা বিক্ষোভ না দেখান তার জন্য আবেদন করা হয়েছিল । এমনকী কৃষকদের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করার জন্যও সেখানে বলা হয়েছে । অপর মামলাটি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলি দায়ের করেছে । সেখানে নতুন আইনে কৃষকদের স্বার্থহানির পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে । আর তৃতীয় একটি আবেদনে কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ এবং যন্তরমন্তরে বিক্ষোভের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ।

দিল্লি, 16 ডিসেম্বর : অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে হবে । না হলে ক্রমে তা জাতীয় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে । কৃষক আন্দোলন নিয়ে এমনটাই পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের । সমস্যার সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের পরামর্শও দেওয়া হয় ।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত দিল্লি সীমান্ত । বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের একাধিক কৃষক । ভারতের গণ্ডি ছেড়ে ইতিমধ্যেই এই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে একাধিক দেশেই ।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে । এমনকী তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি । এই প্রসঙ্গে আজ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, "সরকার মিটমাট করে নেওয়ার জন্য তৈরি ছিল ও আছে । কিন্তু সমস্যা তৈরি হচ্ছে কৃষকদের নিয়ে । একাধিক মন্ত্রী এই বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু, তাঁরা কথাই বলতে চাইছেন না ।" আর এই সমস্যার জন্য বিরোধীদের দায়ি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । সরাসরি বিরোধীদের নাম না নিয়ে তাদের দাবি, কৃষকদের বাইরে থেকে কেউ উসকানি দিচ্ছে ।

এই নিয়ে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, ‘‘এই ভাবে চললে আপনাদের আলোচনা ফের ব্যর্থ হবে । ওঁরা রাজি হবেন না । তাই আমাদের এমন একটি প্রতিষ্ঠানের নাম বলুন, যে সামনে আসতে পারে...না হলে এটা শীঘ্রই জাতীয় সমস্যা হয়ে উঠবে ।" সমস্যার সমাধানে, বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শও দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি । বলেন, "এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হোক । সেখানে সরকার ও কৃষকদের প্রতিনিধিরা থাকবেন ।" এছাড়া দিল্লি, পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকেও এই বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে ।

আজ সুপ্রিম কোর্টে কৃষক আন্দোলন নিয়ে একাধিক আবেদনের শুনানি হয় । প্রথমটি, কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে যাতে এভাবে জমায়েত করে কৃষকরা বিক্ষোভ না দেখান তার জন্য আবেদন করা হয়েছিল । এমনকী কৃষকদের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করার জন্যও সেখানে বলা হয়েছে । অপর মামলাটি নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলি দায়ের করেছে । সেখানে নতুন আইনে কৃষকদের স্বার্থহানির পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তোলা হয়েছে । আর তৃতীয় একটি আবেদনে কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশ এবং যন্তরমন্তরে বিক্ষোভের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ।

Last Updated : Dec 16, 2020, 6:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.