নয়াদিল্লি, 16 জুন : করোনার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজের মধ্যে প্রথমে 6 থেকে 8 সপ্তাহ ব্যবধান রাখা হয়েছিল ৷ পরে সেই ব্যবধান বাড়িয়ে 12 থেকে 16 সপ্তাহ করা হয় ৷ পরে এই নিয়ে ব্যাপক বিতর্কও হয় ৷ বুধবার সেই সব বিতর্কের জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ৷
তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে নেওয়া হয়েছে ৷ আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বৈজ্ঞানিক তথ্যও যাচাই করে দেখা হয়েছে ৷ তার পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Covid Vaccine : 18 হলেই এবার কো-উইনে রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই টিকা
এদিন এই নিয়ে একটি টুইট করেন হর্ষ বর্ধন ৷ সেই টুইটেই তিনি গোটা বিষয়টি জানান ৷ সঙ্গে বিবৃতিও জুড়ে দিয়েছেন ৷ যে বিবৃতিটি আসলে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজারি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশনের প্রধান ড. এনকে অরোরার ৷
ওই বিবৃতিতে দেখা যাচ্ছে যে ড. অরোরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা 65 থেকে 88 শতাংশ তখনই হচ্ছে, যখন দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান অন্তত 12 সপ্তাহ থাকছে ৷ এই রিপোর্টটি ইউকে হেলথ রেগুলেটর পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের ৷ সেটাও ওই বিবৃতিতে জানিয়েছেন ড. অরোরা ৷
আরও পড়ুন : ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশ কেন্দ্রের
তাঁর দাবি, ব্রিটেনে করোনার আলফা ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে এই পদ্ধতি সাফল্য লাভ করে ৷ সেই থেকেই কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে ৷ সেই মতোই ভারতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
যদিও বিজ্ঞানীদের অন্য একটি অংশের বক্তব্য, এই ব্যবধান 8 থেকে 12 সপ্তাহ হলে সবচেয়ে ভাল হত ৷ 12 থেকে 16 সপ্তাহ হলে ব্যবধান অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে ৷
যদিও কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল যে ভারতে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে ৷ সেই কারণে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়াচ্ছে কেন্দ্র ৷
আরও পড়ুন : কেন্দ্রকে ডোজপ্রতি 150 টাকায় কোভ্যাকসিন বিক্রি করা কঠিন : ভারত বায়োটেক
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দু’টি ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ভারতে ব্যবহারের অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তার পর বিভিন্ন ধাপে শুরু হয় করোনার টিকাকরণ ৷ কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারক সেরাম ৷ তবে এর ফর্মুলা আবিষ্কার হয়েছে অক্সফোর্ডে ৷ কোভ্যাকসিন উৎপাদন করছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ৷ পরে স্পুটনিক ভি-কেও ভারতে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় ৷