ETV Bharat / bharat

আলফার সঙ্গে অসম-কেন্দ্র শান্তি চুক্তি! আদিবাসী সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা চায় নিষিদ্ধ সংগঠন

Peace Agreement: নিষিদ্ধ সংগঠন উনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম বা আলফা ৷ 29 ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার, অসম সরকারের সঙ্গে ত্রিপাক্ষি শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারে এই সংগঠন ৷

ETV Bharat
অসমের আলফা সংগঠনের সঙ্গে শান্তিচুক্তি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 26, 2023, 9:57 PM IST

নয়াদিল্লি, 26 ডিসেম্বর: আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে হবে ৷ আর সেই অধিকারকে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেবে সরকার ৷ এমনটাই আশা করছেন নিষিদ্ধ আলফা সংগঠনের নেতারা ৷ আগামী শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার, অসম সরকার এবং ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসমের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে ৷

তার আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে আলফা নেতা মৃণাল হাজারিকা ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "আমরা আশাবাদী, এই শান্তিচুক্তি অসমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে সাংবিধানিক নিরাপত্তা দেবে ৷" সোমবারই আলফার দুই শীর্ষ কর্তা অনুপ চেতিয়া এবং শশধর চৌধুরী দিল্লি পৌঁছেছেন ৷ আর এক-দু'দিনের মধ্যে আলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া-সহ 16 জন সদস্য রাজধানী যাবেন বলে জানা গিয়েছে ৷

সূত্রের খবর, 29 ডিসেম্বর এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে ৷ আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া এবং সংগঠনের বিদেশ সচিব শশধর চৌধুরী মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উত্তর-পূর্বের সচিব একে মিশ্রর সঙ্গে দেখা করেন ৷ শান্তিচুক্তির আগে এই সাক্ষাৎ পর্যালোচনামূলক বলেই জানা গিয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, বুধবার চূড়ান্ত পর্যায়ের বৈঠক হবে ৷ 2011 সাল থেকে আলফা এবং সরকারের মধ্যে শান্তি নিয়ে আলোচনা চলছে ৷ তবে নানাবিধ কারণে বিভিন্ন সময়ে এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের সময় পিছিয়ে গিয়েছে ৷ এই আলোচনার সময় আলফা 12টি পয়েন্টের দাবির কথা জানায় ৷ এই দাবিতে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক বিষয় ছিল ৷ পাশাপাশি অসমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক সংস্কার, তাদের পরিচয়, এলাকার নিজস্ব উপাদান রক্ষার দাবিও তোলে আলফা ৷

2011 সালে আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া, সংগঠনের বিদেশ সচিব শশ চৌধুরী, ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ রাজু বড়ুয়া, সহ-সভাপতি প্রদীপ গগৈ এবং আলফার সঙ্গে জড়িত আরও অনেককেই গ্রেফতার করা হয় ৷ বাংলাদেশ থেকে তাঁদের ভারতে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানেই তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ আলফার শীর্ষ নেতারা ভারতে ফিরে আসার পর এই শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ৷ 1979 সালে আলফা গঠিত হয় ৷ এরপর থেকেই তারা বারবার সার্বভৌম অসমের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন করে আলফা ৷

আরও পড়ুন:

  1. বিবৃতি দিয়ে অসমের ডিজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ নিষিদ্ধ সংগঠন আলফার, নিরাপত্তা বৃদ্ধির পরামর্শ
  2. অরুণাচলের তিরাপে দুই উলফা সদস্যের আত্মসমর্পণ
  3. জোরহাট সেনা ক্যাম্পে গ্রেনেড হামলার দায়স্বীকার অসমের ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্টের

নয়াদিল্লি, 26 ডিসেম্বর: আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে হবে ৷ আর সেই অধিকারকে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেবে সরকার ৷ এমনটাই আশা করছেন নিষিদ্ধ আলফা সংগঠনের নেতারা ৷ আগামী শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার, অসম সরকার এবং ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসমের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে ৷

তার আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে আলফা নেতা মৃণাল হাজারিকা ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "আমরা আশাবাদী, এই শান্তিচুক্তি অসমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে সাংবিধানিক নিরাপত্তা দেবে ৷" সোমবারই আলফার দুই শীর্ষ কর্তা অনুপ চেতিয়া এবং শশধর চৌধুরী দিল্লি পৌঁছেছেন ৷ আর এক-দু'দিনের মধ্যে আলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া-সহ 16 জন সদস্য রাজধানী যাবেন বলে জানা গিয়েছে ৷

সূত্রের খবর, 29 ডিসেম্বর এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে ৷ আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া এবং সংগঠনের বিদেশ সচিব শশধর চৌধুরী মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উত্তর-পূর্বের সচিব একে মিশ্রর সঙ্গে দেখা করেন ৷ শান্তিচুক্তির আগে এই সাক্ষাৎ পর্যালোচনামূলক বলেই জানা গিয়েছে ৷

জানা গিয়েছে, বুধবার চূড়ান্ত পর্যায়ের বৈঠক হবে ৷ 2011 সাল থেকে আলফা এবং সরকারের মধ্যে শান্তি নিয়ে আলোচনা চলছে ৷ তবে নানাবিধ কারণে বিভিন্ন সময়ে এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের সময় পিছিয়ে গিয়েছে ৷ এই আলোচনার সময় আলফা 12টি পয়েন্টের দাবির কথা জানায় ৷ এই দাবিতে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক বিষয় ছিল ৷ পাশাপাশি অসমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক সংস্কার, তাদের পরিচয়, এলাকার নিজস্ব উপাদান রক্ষার দাবিও তোলে আলফা ৷

2011 সালে আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া, সংগঠনের বিদেশ সচিব শশ চৌধুরী, ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ রাজু বড়ুয়া, সহ-সভাপতি প্রদীপ গগৈ এবং আলফার সঙ্গে জড়িত আরও অনেককেই গ্রেফতার করা হয় ৷ বাংলাদেশ থেকে তাঁদের ভারতে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানেই তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ আলফার শীর্ষ নেতারা ভারতে ফিরে আসার পর এই শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ৷ 1979 সালে আলফা গঠিত হয় ৷ এরপর থেকেই তারা বারবার সার্বভৌম অসমের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন করে আলফা ৷

আরও পড়ুন:

  1. বিবৃতি দিয়ে অসমের ডিজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ নিষিদ্ধ সংগঠন আলফার, নিরাপত্তা বৃদ্ধির পরামর্শ
  2. অরুণাচলের তিরাপে দুই উলফা সদস্যের আত্মসমর্পণ
  3. জোরহাট সেনা ক্যাম্পে গ্রেনেড হামলার দায়স্বীকার অসমের ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্টের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.