নয়াদিল্লি, 26 ডিসেম্বর: আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখতে হবে ৷ আর সেই অধিকারকে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেবে সরকার ৷ এমনটাই আশা করছেন নিষিদ্ধ আলফা সংগঠনের নেতারা ৷ আগামী শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার, অসম সরকার এবং ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসমের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে ৷
তার আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার নিয়ে আলফা নেতা মৃণাল হাজারিকা ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে বলেন, "আমরা আশাবাদী, এই শান্তিচুক্তি অসমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে সাংবিধানিক নিরাপত্তা দেবে ৷" সোমবারই আলফার দুই শীর্ষ কর্তা অনুপ চেতিয়া এবং শশধর চৌধুরী দিল্লি পৌঁছেছেন ৷ আর এক-দু'দিনের মধ্যে আলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া-সহ 16 জন সদস্য রাজধানী যাবেন বলে জানা গিয়েছে ৷
সূত্রের খবর, 29 ডিসেম্বর এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে ৷ আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া এবং সংগঠনের বিদেশ সচিব শশধর চৌধুরী মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উত্তর-পূর্বের সচিব একে মিশ্রর সঙ্গে দেখা করেন ৷ শান্তিচুক্তির আগে এই সাক্ষাৎ পর্যালোচনামূলক বলেই জানা গিয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, বুধবার চূড়ান্ত পর্যায়ের বৈঠক হবে ৷ 2011 সাল থেকে আলফা এবং সরকারের মধ্যে শান্তি নিয়ে আলোচনা চলছে ৷ তবে নানাবিধ কারণে বিভিন্ন সময়ে এই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের সময় পিছিয়ে গিয়েছে ৷ এই আলোচনার সময় আলফা 12টি পয়েন্টের দাবির কথা জানায় ৷ এই দাবিতে রাজনৈতিক, সাংবিধানিক বিষয় ছিল ৷ পাশাপাশি অসমের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক সংস্কার, তাদের পরিচয়, এলাকার নিজস্ব উপাদান রক্ষার দাবিও তোলে আলফা ৷
2011 সালে আলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া, সংগঠনের বিদেশ সচিব শশ চৌধুরী, ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ রাজু বড়ুয়া, সহ-সভাপতি প্রদীপ গগৈ এবং আলফার সঙ্গে জড়িত আরও অনেককেই গ্রেফতার করা হয় ৷ বাংলাদেশ থেকে তাঁদের ভারতে নিয়ে আসা হয় ৷ সেখানেই তাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে আশ্রয় নিয়েছিল ৷ আলফার শীর্ষ নেতারা ভারতে ফিরে আসার পর এই শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ৷ 1979 সালে আলফা গঠিত হয় ৷ এরপর থেকেই তারা বারবার সার্বভৌম অসমের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন করে আলফা ৷
আরও পড়ুন: