ETV Bharat / bharat

20 হাজার কোটির সেন্ট্রাল ভিস্তা বিতর্কে ‘মিথ অ্যান্ড ফ্যাক্ট’ তুলে ধরল কেন্দ্র

সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে চলতে থাকা সমালোচনার জবাব দিল কেন্দ্র ৷ এ নিয়ে মিথ অ্যান্ড ফ্যাক্ট তুলে ধরেছে কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রক ৷ যেখানে সেন্ট্রাল ভিস্তার প্রয়োজনীয়তা, এর খরচ সহ একাধিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে ৷

center today issued a long list of Myths and Realities about the central vista
20 হাজার কোটির সেন্ট্রাল ভিস্তা বিতর্কে ‘মিথ অ্যান্ড ফ্যাক্ট’ তুলে ধরল কেন্দ্র
author img

By

Published : Jun 6, 2021, 5:16 PM IST

নয়াদিল্লি, 6 জুন : সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি ৷ করোনা পরিস্থিতিতেও হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করেছে কংগ্রেস ৷ যা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল ৷ সেই বিতর্কে জল ঢালতে এবার প্রচলিত কথা এবং তার সত্যতা, অর্থাৎ, মিথ অ্যান্ড ফ্য়াক্ট তুলে ধরল কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর মন্ত্রক ৷

যেখানে বলা হয়েছে,

সেন্ট্রাল ভিস্তায় মোট খরচ--

করোনা অতিমারির মধ্যে এই বছরে 20 হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি করা হচ্ছে ৷

এ নিয়ে কেন্দ্রের দাবি

1. সেন্ট্রাল ভিস্তা শুরু হয়েছে 2019 সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৷ 2020 সালের মার্চ মাসে করোনা অতিমারির সংক্রমণ ছড়ানোর অনেক আগে ৷

2. সেন্ট্রাল ভিস্তা একটি ডেভলপমেন্ট এবং সেই সঙ্গে রিডেভলপমেন্টের পরিকল্পনা ৷ যেখানে 6 বছর ধরে একাধিক পরিকাঠামোগত কাজ করা হবে ৷

3. আর 20 হাজার কোটি টাকা একটা সম্ভাব্য রাশি ৷ যার মধ্যে নয়া সংসদ ভবন থেকে শুরু করে একাধিক সংস্কার এর মধ্যে রয়েছে ৷ সেই সঙ্গে কেন্দ্রের সব সচিবালয়ের জন্য 10টি নয়া বহুতল সহ আরও অনেক কিছুই যুক্ত রয়েছে ৷ এমনকি নতুন দু’টি সংসদ ভবন তৈরি করতে আনুমানিক 862 কোটি টাকা খরচ হবে ৷ সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউর সংস্কারের জন্য 477 কোটি টাকা খরচ হবে ৷

এই মিথ অ্যান্ড ফ্যাক্টে প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষদের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, 2012 সালে তৎকালীন লোকসভার অধ্যক্ষ মীরা কুমার, 2015 সালে সুমিত্রা মহাজন এবং 2019 সালে ওম বিড়লা, এঁরা সকলেই নয়া সংসদ ভবন তৈরির আবেদন করেছিলেন ৷

আরও পড়ুন : সেন্ট্রাল ভিস্তা অত্যাবশ্যক, কাজ চলবে ; স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের

জনস্বাস্থ্যে বরাদ্দ টাকা সেন্ট্রাল ভিস্তায়--

অভিযোগ উঠেছিল, জনস্বাস্থ্য এবং করোনা মোকাবিলার তহবিল থেকে টাকা সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ঢালা হয়েছে ৷ আবাসন মন্ত্রকের তরফে এই অভিযোগও অস্বীকার করা হয়েছে ৷ তাদের দাবি, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ আর তাই 2020-21 বাজেটে জন স্বাস্থ্যে 137 শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছিল ৷ এমনকি 2021-22 অর্থবর্ষে 175 শতাংশ বাজেট বরাদ্দ হয়েছে করোনার ভ্যাকসিনেশনের জন্য ৷

কেন নয়া সসংদ ভবন তৈরি হচ্ছে?--

এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি, পুরনো সংসদ ভবন ব্রিটিশ আমলের তৈরি ৷ তার নকশা এবং কাঠামো কখনই সংসদ ভবন হিসেবে গঠনের জন্য হয়নি ৷ স্বাধীনতার পর তাকে সংসদ ভবনের রূপ দেওয়া হয়েছে ৷ পাশাপাশি, পুরনো সংসদ ভবনের সংস্কার অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ কারণ, তার কাঠামোকে অক্ষত রেখে সংস্কার করা অনেক বেশি জটিল ৷ সেই সঙ্গে ভূমিকম্প থেকেও বাঁচাতে হবে, এমনভাবে তার কাজ করতে হবে ৷

আরও পড়ুন : সেন্ট্রাল ভিস্তা বন্ধ করে অক্সিজেন-টিকা কিনুন, মোদিকে চিঠি বিরোধীদের

সেন্ট্রাল ভিস্তা পরিবেশ ও সবুজের ক্ষতি করবে--

এই অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র ৷ তাদের দাবি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে চলাই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ৷ যেখানে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং বিজ্ঞান নির্ভর পদ্ধতিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি করা হচ্ছে ৷

সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে পাবলিক প্লেসের অবলুপ্তি--

এই অভিযোগ খারিজ করে, আবাসন মন্ত্রকের দাবি, সেন্ট্রাল ভিস্তায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত ও সবুজের জন্য আলাদা করে জায়গা রাখা হয়েছে ৷ যে সব জায়গায় সাধারণ মানুষ যেতে পারবেন ৷ যেমন, জাতীয় যাদুঘর, ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় কলা ভবন, সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ, ইন্ডিয়া গেট ইত্যাদি ৷

প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন তৈরি করতে 13,450 কোটি--

এই তথ্য ভুল বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে ৷ কারণ, সব সরকারি আবাসন এবং কার্যালয় মিলিয়ে সম্ভাব্য খরচ হতে পারে 13 হাজার 450 কোটি টাকা ৷ আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন তৈরির জন্য এখনও কোনও টেন্ডার ঘোষণা হয়নি ৷ এমনকি এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি ৷

আরও পড়ুন : সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগের পালটা সমালোচনা মোদির মন্ত্রীর

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে জরুরি পরিষেবা আইন লঙ্ঘন--

কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও প্রকার আইন লঙ্ঘন করা হয়নি ৷ দিল্লি সরকার করোনার জন্য যে কার্ফু ঘোষণা করেছে, সেখানে নির্মাণস্থলে শ্রমিকদের থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ আর সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ চালু রাখতে, দিল্লি পুলিশের কাছে সিপিডব্লুডি শ্রমিকদের তাঁদের বাসস্থান থেকে নির্মাণস্থলে যাতায়াতের জন্য অনুমতি নিয়েছে ৷ সেই সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসা সহ অন্যান্য পরিবহণ সংক্রান্ত অনুমতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ৷

নয়াদিল্লি, 6 জুন : সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি ৷ করোনা পরিস্থিতিতেও হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করেছে কংগ্রেস ৷ যা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল ৷ সেই বিতর্কে জল ঢালতে এবার প্রচলিত কথা এবং তার সত্যতা, অর্থাৎ, মিথ অ্যান্ড ফ্য়াক্ট তুলে ধরল কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর মন্ত্রক ৷

যেখানে বলা হয়েছে,

সেন্ট্রাল ভিস্তায় মোট খরচ--

করোনা অতিমারির মধ্যে এই বছরে 20 হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি করা হচ্ছে ৷

এ নিয়ে কেন্দ্রের দাবি

1. সেন্ট্রাল ভিস্তা শুরু হয়েছে 2019 সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৷ 2020 সালের মার্চ মাসে করোনা অতিমারির সংক্রমণ ছড়ানোর অনেক আগে ৷

2. সেন্ট্রাল ভিস্তা একটি ডেভলপমেন্ট এবং সেই সঙ্গে রিডেভলপমেন্টের পরিকল্পনা ৷ যেখানে 6 বছর ধরে একাধিক পরিকাঠামোগত কাজ করা হবে ৷

3. আর 20 হাজার কোটি টাকা একটা সম্ভাব্য রাশি ৷ যার মধ্যে নয়া সংসদ ভবন থেকে শুরু করে একাধিক সংস্কার এর মধ্যে রয়েছে ৷ সেই সঙ্গে কেন্দ্রের সব সচিবালয়ের জন্য 10টি নয়া বহুতল সহ আরও অনেক কিছুই যুক্ত রয়েছে ৷ এমনকি নতুন দু’টি সংসদ ভবন তৈরি করতে আনুমানিক 862 কোটি টাকা খরচ হবে ৷ সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউর সংস্কারের জন্য 477 কোটি টাকা খরচ হবে ৷

এই মিথ অ্যান্ড ফ্যাক্টে প্রাক্তন লোকসভার অধ্যক্ষদের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে ৷ যেখানে বলা হয়েছে, 2012 সালে তৎকালীন লোকসভার অধ্যক্ষ মীরা কুমার, 2015 সালে সুমিত্রা মহাজন এবং 2019 সালে ওম বিড়লা, এঁরা সকলেই নয়া সংসদ ভবন তৈরির আবেদন করেছিলেন ৷

আরও পড়ুন : সেন্ট্রাল ভিস্তা অত্যাবশ্যক, কাজ চলবে ; স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের

জনস্বাস্থ্যে বরাদ্দ টাকা সেন্ট্রাল ভিস্তায়--

অভিযোগ উঠেছিল, জনস্বাস্থ্য এবং করোনা মোকাবিলার তহবিল থেকে টাকা সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ঢালা হয়েছে ৷ আবাসন মন্ত্রকের তরফে এই অভিযোগও অস্বীকার করা হয়েছে ৷ তাদের দাবি, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ৷ আর তাই 2020-21 বাজেটে জন স্বাস্থ্যে 137 শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছিল ৷ এমনকি 2021-22 অর্থবর্ষে 175 শতাংশ বাজেট বরাদ্দ হয়েছে করোনার ভ্যাকসিনেশনের জন্য ৷

কেন নয়া সসংদ ভবন তৈরি হচ্ছে?--

এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রের যুক্তি, পুরনো সংসদ ভবন ব্রিটিশ আমলের তৈরি ৷ তার নকশা এবং কাঠামো কখনই সংসদ ভবন হিসেবে গঠনের জন্য হয়নি ৷ স্বাধীনতার পর তাকে সংসদ ভবনের রূপ দেওয়া হয়েছে ৷ পাশাপাশি, পুরনো সংসদ ভবনের সংস্কার অনেক বেশি ব্যয়বহুল হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ কারণ, তার কাঠামোকে অক্ষত রেখে সংস্কার করা অনেক বেশি জটিল ৷ সেই সঙ্গে ভূমিকম্প থেকেও বাঁচাতে হবে, এমনভাবে তার কাজ করতে হবে ৷

আরও পড়ুন : সেন্ট্রাল ভিস্তা বন্ধ করে অক্সিজেন-টিকা কিনুন, মোদিকে চিঠি বিরোধীদের

সেন্ট্রাল ভিস্তা পরিবেশ ও সবুজের ক্ষতি করবে--

এই অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র ৷ তাদের দাবি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে চলাই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ৷ যেখানে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং বিজ্ঞান নির্ভর পদ্ধতিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা তৈরি করা হচ্ছে ৷

সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে পাবলিক প্লেসের অবলুপ্তি--

এই অভিযোগ খারিজ করে, আবাসন মন্ত্রকের দাবি, সেন্ট্রাল ভিস্তায় সাধারণ মানুষের যাতায়াত ও সবুজের জন্য আলাদা করে জায়গা রাখা হয়েছে ৷ যে সব জায়গায় সাধারণ মানুষ যেতে পারবেন ৷ যেমন, জাতীয় যাদুঘর, ইন্দিরা গান্ধি জাতীয় কলা ভবন, সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ, ইন্ডিয়া গেট ইত্যাদি ৷

প্রধানমন্ত্রীর নতুন বাসভবন তৈরি করতে 13,450 কোটি--

এই তথ্য ভুল বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে ৷ কারণ, সব সরকারি আবাসন এবং কার্যালয় মিলিয়ে সম্ভাব্য খরচ হতে পারে 13 হাজার 450 কোটি টাকা ৷ আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন তৈরির জন্য এখনও কোনও টেন্ডার ঘোষণা হয়নি ৷ এমনকি এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি ৷

আরও পড়ুন : সেন্ট্রাল ভিস্তা নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগের পালটা সমালোচনা মোদির মন্ত্রীর

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে জরুরি পরিষেবা আইন লঙ্ঘন--

কেন্দ্রের তরফে এ নিয়ে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও প্রকার আইন লঙ্ঘন করা হয়নি ৷ দিল্লি সরকার করোনার জন্য যে কার্ফু ঘোষণা করেছে, সেখানে নির্মাণস্থলে শ্রমিকদের থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ আর সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের কাজ চালু রাখতে, দিল্লি পুলিশের কাছে সিপিডব্লুডি শ্রমিকদের তাঁদের বাসস্থান থেকে নির্মাণস্থলে যাতায়াতের জন্য অনুমতি নিয়েছে ৷ সেই সঙ্গে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে আসা সহ অন্যান্য পরিবহণ সংক্রান্ত অনুমতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.