নয়া দিল্লি, 6 জানুয়ারি: প্রতি দশর বছর অন্তর দেশে জনগণনা হয় । সেই সময়সীমা দু'বছর আগেই অতিবাহিত হয়েছে আগেই ৷ এবার জানা গেল জনগণনার কাজ আরও পিছিয়ে গেল । 30 সেপ্টেম্বরের আগে শুরু হবে না এই প্রক্রিয়া । প্রথমে ঠিক ছিল 2020 সালের 1 এপ্রিল থেকে 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হবে ৷ সেই কাজ শেষ হওয়ার পর জনগণনা সংক্রান্ত বাকি কাজ হবে । কিন্তু করোনা অতিমারির জেরে তা স্থগিত হয়ে যায়।
এতবড় দেশের জনগণনা শুরুর আগে কয়েকটি জরুরি কাজ সেরে রাখতে হয় ৷ তাই এই দশবার্ষিক আদমশুমারির প্রক্রিয়াটি হওয়ার কথা ছিল 2022 সালে ৷ কিন্তু তা হয়নি ৷ সমস্ত রাজ্যেকে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেন্সাস কমিশনারের অফিস একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে, জনগণনার কাজ সম্পন্ন করতে যে সমস্ত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয় তা শেষ করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৷ নিয়ম অনুসারে, জেলা, উপ-জেলা, মহকুমা এবং থানার মতো প্রশাসনিক ইউনিটগুলির সাহায্যে তিন মাস পরে আদমশুমারি করা যেতে পারে। (Census to be Further Delayed৷
আরও পড়ুন: জাতি-ভিত্তিক জনগণনার দাবিতে আজ ভারত বনধ, ডাক দিয়েছে বিএএমসিইএফ
আগামী আদমশুমারির জন্য প্রশাসনিক ইউনিটগুলির সীমানা এখন 1 জুলাই, 2023 থেকে কার্যকর হবে। প্রশাসনিক ইউনিটগুলির সীমানা চূড়ান্তকরণের জন্য পরপর দুটি আদমশুমারির মধ্যে সমস্ত এখতিয়ারগত পরিবর্তনগুলিকে কভার করা হবে। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে রাজ্য সরকারগুলি প্রশাসনিক সীমানায় পরিবর্তনগুলি কার্যকর করতে পারে । সর্বশেষ 30 শে জুন, 2023 এর মধ্যে, এবং এখতিয়ারগত পরিবর্তনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিগুলির অনুলিপি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সেন্সাস অপারেশন ডিরেক্টরেটের কাছে পাঠাতে হবে দিল্লির আদমশুমারি কর্তৃপক্ষের কাছে । সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতিতে তাতে জনগণনার কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও বেশ কয়েক মাস লেগে যেতে পারে ।
দেশের জনসংখ্যা ঠিক কত তা জানা সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ । উন্নয়নের নতুন রূপরেখা তৈরির আগে এই তথ্য় জানার বাড়তি তাগিদ অনুভূত হয়। তাছাড়া আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে জনগণনার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। জনসংখ্যার ভিত্তিতেই নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির পুনর্বিন্যাস হয়ে থাকে । সেক্ষেত্রে জনসংখ্যা বাড়লে নির্বাচনী কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে । তাছাড়া এই বৃদ্ধি গোটা দেশে সমনাপুতিক হারে হবে না । বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হবে । আর তা যে জাতীয় রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি করবে তা আর বলে দিতে হয় না ।