নয়াদিল্লি, 17 মে : 2016-র বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছিল নারদ স্টিং অপারেশন ৷ গোপন ক্য়ামেরার উপস্থিতি না বুঝেই কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা ও মন্ত্রী ৷ সেই ভিডিও ফুটেজ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷ নারদকাণ্ডের উপর ভিত্তি করেই মামলা রুজু করে সিবিআই ৷
2017 সালের 16 এপ্রিল রুজু হয় সেই মামলা ৷ তাতে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল চার মন্ত্রীরও (তৎকালীন) ৷ এঁরা হলেন সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্য়ায় ৷ সোমবার এই চারজনকেই গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ তাদের বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই নারদ কাণ্ডে মামলা রুজু করা হয়েছিল ৷ পরবর্তী ঘটনাক্রমও এগিয়েছে আইন মেনেই ৷ এদিন অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মুখ্য তথ্য আধিকারিক আরসি জোশি ৷
তবে সিবিআই যাই বলুক, এদিনের ঘটনায় সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, একুশের ভোটে বাংলার মসনদ দখল করতে না পেরেই ফুঁসছে বিজেপি ৷ আর তাই পিছন দরজা দিয়ে রাজ্য দখল করতে চাইছে তারা ৷ সেই কারণেই রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন চলাকালীন হঠাৎই এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ কাজে লাগানো হয়েছে সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ৷
আরও পড়ুন : বৈশাখী হাওয়ায় মন ভাসিয়েই কি বেকায়দায় শোভন ?
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় ৷ এর আগেও একাধিকবার সিবিআইয়ের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে ৷ এমনকী, 2013 সালে কোলগেট মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে ‘খাঁচাবন্দি তোতা পাখি’ বলে কটাক্ষ করে সুপ্রিম কোর্ট ৷