তিরুবনন্তপুরম, 24 জুন : 1994 সালের ইসরো গুপ্তচরবৃত্তি মামলায় চার্জশিট পেশ করল সিবিআই ৷ যে মামলায় প্রাক্তন ডিজিপি সিবেয় ম্যাথুজ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর আরবি শ্রীকুমার এবং পুলিশ সুপার কেকে জোসুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ৷ 1994 সালে কেরলের পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ইসরো’র বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণানকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল ৷ যে ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ সিবিআইকে তিন মাসের মধ্যে তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল ৷
প্রসঙ্গত, 1994 সালে ইসরোর বিজ্ঞানী নারায়ণান কেরল পুলিশের কয়েকজন অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই পুলিশ আধিকারিকরা তাঁর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগ এনেছিলেন ৷ যেখানে বলা হয়েছিল, ভারতের স্পেস প্রোগ্রামের গোপন নথি বিদেশে পাচার করা হয়েছে ৷ যে ঘটনায় নারায়ণানকে অস্বাভাবিকভাবে হেনস্থা করায় কেরল সরকারকে 50 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত ৷ ইসরোর গুপ্তবৃত্তির ঘটনা 1994 সালে প্রথম সামনে আসে যখন নারায়ণান সহ ইসরোর একাধিক শীর্ষ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয় ৷ সেই সঙ্গে মালদ্বীপের দুই মহিলা এবং এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয় ৷
আরও পড়ুন : 1 হাজার 750 টি FICV, 350 টি হালকা ওজনের ট্যাংক অন্তর্ভুক্ত হবে সেনায়
যে ঘটনায় কেরল পুলিশের আধিকারিক এবং ইন্টেলিজেন্স মিলিয়ে মোট 18 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ৷ বেআইনিভাবে নারায়ণানকে গ্রেফতার করার জন্য সিবিআই সবাইকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল ৷ এস বিজয়ন নামে কেরলের পেট্টাহ থানার আইসি, যিনি ওই মামলায় প্রথম অভিযুক্তের তালিকায় ছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে ওই থানার এক এসআই থাম্পি এস দুর্গাদাথকে অভিযুক্তের তালিকায় সামিল করা হয় ৷ গুপ্তচরবৃত্তি মামলায় ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভুয়ো নথি দাখিল করার বিষয়টি চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, ইসরোর বিজ্ঞানী নারায়ণানকে পুলিশ হেফাজতে অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছিল ৷