নয়াদিল্লি, 16 মার্চ: দিল্লি সরকারের ফিডব্যাক ইউনিট (এফবিইউ) রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আড়ি পাততো বলে অভিযোগ ৷ সেই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (CBI Books Sisodia in 2nd Case) এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই ৷ বৃহস্পতিবার আধিকারিকরা এ কথা জানিয়েছেন (Sisodia snooping scam case registered)।
সিসোদিয়া ছাড়াও 1992-ব্যাচের আইআরএস অফিসার সুকেশ কুমার জৈন যিনি তৎকালীন ভিজিল্যান্স সচিব ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত সিআইএসএফ ডিআইজি রাকেশ কুমার সিনহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ রাকেশ কুমার সিনহা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিশেষ উপদেষ্টা ও এফবিইউ-তে যুগ্ম পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন ৷
এ ছাড়াও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রাক্তন যুগ্ম উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার পুঞ্জ, যিনি ফিডব্যাক ইউনিটের উপ-পরিচালক হিসাবে কর্মরত ছিলেন, সিআইএসএফ-এর অবসরপ্রাপ্ত সহকারী কমান্ড্যান্ট সতীশ ক্ষেত্রপাল, যিনি ফিডব্যাক অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন এবং কেজরিওয়ালের দুর্নীতিবিরোধী উপদেষ্টা গোপাল মোহনের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে সিবিআই । মণীশ সিসোদিয়াকে এর আগে দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করেছিল এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় তিনি জেলবন্দি রয়েছেন ।
আপ ডিসপেনসেশন 2015 সালে ফিডব্যাক ইউনিট স্থাপনের প্রস্তাব করেছিল ৷ বিভিন্ন বিভাগ এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং দিল্লি সরকারের অধীনে থাকা সংস্থাগুলির কাজের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করার জন্য এবং মামলার ফাঁদ তৈরি করার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি করেছে সিবিআই ৷
আরও পড়ুন: আমাকে জেলবন্দি করলেও মনোবল ভাঙতে পারবে না, বিজেপিকে তোপ সিসোদিয়ার
সিবিআই জানিয়েছে, ফিডব্যাক ইউনিটটি 2016 সালে গোপন পরিষেবা ব্যয়ের জন্য 1 কোটি টাকার বিধান দিয়ে কাজ শুরু করে । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযোগ করেছে যে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল 2015 সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবটি পেশ করেছিলেন, কিন্তু এর কোনও এজেন্ডা নোট প্রচার করা হয়নি । ফিডব্যাক ইউনিটে নিয়োগের জন্য লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছ থেকে কোনও অনুমোদনও নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের ৷
সিবিআই এই নিয়ে তাদের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে বলেছে, "ফিডব্যাক ইউনিট, বাধ্যতামূলক তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি রাজনৈতিক গোয়েন্দা/গোয়েন্দা তথ্য এবং বিবিধ বিষয়গুলিও সংগ্রহ করেছে ৷" সিবিআই দিল্লি সরকারের ভিজিল্যান্স বিভাগের একটি রেফারেন্সের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত করেছে এবং সেই তদন্তে ফিডব্যাক ইউনিটে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷