মুম্বই, 26 ডিসেম্বর: ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি মামলায় সিবিআই'য়ের জালে ভিডিওকনের চেয়ারম্যান বেণুগোপাল ধুত ৷ আইসিআইসিআই ব্যাংক ঋণ জালিয়াতি মামলায় সোমবার এই শিল্পপতিকে (Videocon chairman Venugopal Dhoot) গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার সিবিআই আইসিআইসিআই ব্যাংকের প্রাক্তন সিইও এবং এমডি চন্দা কোছার এবং তাঁর স্বামী দীপককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ৷ তাঁদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ৷ আর তার ঠিক দু'দিন পরে মুম্বই থেকে আজ গ্রেফতার করা হল বেণুগোপালকে ।
শীর্ষ পদে থাকার সুযোগ নিয়ে ভিডিওকনকে ছন্দা কোছার (ICICI Bank CEO and MD Chanda Kochhar) ঋণ অনুমোদন করেছিলেন ৷ 3250 কোটি টাকার ঋণ দেওযার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷ প্রতারণা এবং অনিয়মের অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে ছন্দা কোছার এবং তাঁর স্বামীকে ৷ এই সংক্রান্ত একটি এফআইআর করা হয় ৷ সেখানে অভিযুক্ত হিসাবে দীপক কোছার দ্বারা পরিচালিত কোছার এবং কোম্পানি নুপাওয়ার রিনিউয়েবলস (Kochhars and companies Nupower Renewables), সুপ্রিম এনার্জি (Supreme Energy), ভিডিওকন ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (Videocon International Electronics Ltd) ও ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সঙ্গে 71 বছর বয়সি ধুতের নাম ছিল ।
সিবিআই অভিযোগ করে, আইসিআইসিআই ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যাক্ট (Banking Regulation Act), আরবিআই নির্দেশিকা এবং ব্যাংকের ক্রেডিট নীতি লঙ্ঘন করে ধুত পরিচালিত ভিডিওকন গ্রুপের সংস্থাগুলিকে 3 হাজার 250 কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে । আরও অভিযোগ করা হয়, কুইড প্রো-কোর অংশ হিসাবে ধুত সুপ্রিম এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড (SEPL) এর মাধ্যমে নুপাওয়ার রিনিউয়েবলসে 64 কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন ৷ 2010 এবং 2012 এর মধ্যে একটি সার্কিটাস রুটের মাধ্যমে দীপক কোছার (Deepak Kochhar) পরিচালিত পিনাকল এনার্জি ট্রাস্টের টাকাগুলি সুপ্রিম এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড স্থানান্তর করেছে ৷
আরও পড়ুন: নিয়ম ভেঙে 'ঋণ মঞ্জর', সিবিআইয়ের জালে ছন্দা-দীপক
2018 সালের মার্চ মাসে সিবিআই দীপক কোছার এবং বেণুগোপাল ধুতের বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক তদন্ত (preliminary enquiry) করে ৷ ভিডিওকন গ্রুপকে একটি কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে 40 হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠে ৷ প্রাথমিক তদন্ত চলাকালীন সিবিআই জানতে পারে, আইসিআইসিআই ব্যাংকের নির্ধারিত নীতি লঙ্ঘন করে ভিডিওকন গ্রুপ এবং এর সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে 1 হাজার 875 কোটি টাকার ছ'টি ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল ৷ জুন 2009 থেকে অক্টোবর 2011 এর মধ্যে এই ঋণগুলি মঞ্জুর করা হয় ৷ যা তদন্তে উঠে আসে ৷ সিবিআই আরও বলে, ঋণগুলিকে 2012 সালে নন-পারফর্মিং সম্পদ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল ৷ যার ফলে ব্যাংকের 1 হাজার 730 কোটি টাকার ক্ষতি হয় ।