নয়াদিল্লি, 10 মার্চ: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) আরও 11 দিন ইডি হেফাজতেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে ৷ শুক্রবার এই মামলায় অনুব্রতকে আদালতে পেশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ৷ তাদের তরফে অনুব্রতকে পরবর্তী 11 দিনের জন্য হেফাজতে চাওয়া হয় ৷ বিশেষ বিচারক রঘুবীর সিং সেই আবেদন মঞ্জুর করেন (Court Sends Anubrata Mondal to ED Custody) ৷
গরুপাচার মামলায় গত বছর অগস্টে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল ৷ তখন তাঁকে সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করে ৷ তার পর প্রথমে সিবিআই হেফাজত ও পরে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন তিনি ৷ এই মামলায় যেহেতু আর্থিক তছরূপের বিষয়টি জড়িয়ে গিয়েছে, তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ইডি ৷ গত বছরের শেষের দিকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয় ৷
কয়েকমাস ধরে আদালতে টানাপোড়েনের পর অবশেষে গত 7 মার্চ আসানসোল কেন্দ্রীয় সংশোধনার থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে ৷ সেই রাতেই তাঁকে বিচারকের সামনে পেশ করা হয় ৷ তখন তাঁকে 10 মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন বিচারক ৷ তাই শুক্রবার আবার অনুব্রতকে আদালতে পেশ করে ইডি ৷
এদিন ইডির পক্ষে সরকারি আইনজীবী নীতীশ রানা আদালতে জানান, অনুব্রতকে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে ৷ এই মামলায় একাধিক অভিযুক্ত ও সাক্ষীদের সামনে তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা জরুরি ৷ সেই কারণে তাঁকে আবার ইডি হেফাজতেই পাঠানো হোক ৷ অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী মুদিত জৈনের দাবি, বন্ধ দরজার আড়ালে তদন্ত চলছে ৷ কোথাও গিয়ে তদন্ত করছেন না তদন্তকারীরা ৷ তাই তদন্ত ঠিকভাবে এগোচ্ছে না ৷
এই মামলায় সিবিআই আগে অনেককেই গ্রেফতার করেছে ৷ অনেকে আবার ইডির হেফাজতে রয়েছে এখন ৷ সেই তালিকায় অন্যতম সায়গল হোসেন (Sehegal Hussain) ৷ তিনি একসময় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী ছিলেন ৷ সায়গলের বিপুল সম্পত্তির হদিশও মেলে ৷ যা গরুপাচারের কালো টাকা থেকেই তৈরি করা হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান ৷ সায়গলের সঙ্গে মুখোমুখি আরও অনেককে বসিয়ে জেরা করতে চায় ইডি ৷ তাই এবার অনুব্রত ও সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে কি না, সেটাই দেখার !
গত এপ্রিলে এই মামলায় চার্জশিটও পেশ করেছে ইডি ৷ সেই চার্জশিটে যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র, তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্র ও এনামুল হকের নাম ছিল ৷ বিকাশ ও এনামুলকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও বিনয় এখনও ইডির কাছে অধরা ৷
আরও পড়ুন: হিন্দি প্রশ্নের বাংলায় জবাব ! কেষ্টর জেরায় দোভাষীর ভূমিকায় দুই ইডি আধিকারিক