পটনা, 7 জানুয়ারি: জাতির ভিত্তিতে আদমসুমারি শুরু হল ৷ শনিবার বিহারের 38টি জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার গণনার (enumeration of households) কাজ আরম্ভ হয়েছে ৷ পুরো গণনাটি দু'টি দফায় হবে ৷ প্রথম দফায় 21 জানুয়ারির মধ্যে পরিবার গণনার কাজ শেষ হবে ৷ দ্বিতীয় দফা 1 এপ্রিল 30 এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে, জানিয়েছে সরকারি সূত্র (Caste based census began in Bihar) ৷
বিহারে বসবাসকারীদের জাতি, উপজাতি এবং বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের তথ্য নেওয়া হবে ৷ গত বছরের 15 ডিসেম্বর থেকে গণনাকারীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷ প্রতিটি নাগরিকের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়েও তথ্য রেকর্ড করা হবে ৷ 2023 সালের মে মাসে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে (the enumeration of households in the State) ৷ এর আগে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ এই প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৷ এই গণনাকার্যে রাজ্য সরকার 500 কোটি টাকা খরচ করবে ৷ জাতি-ভিত্তিক গণনা বিহারের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল ৷ নীতিশ কুমারের জেডি(ইউ) এবং বিহারের মহাগঠবন্ধন সরকারের সব দলগুলি দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছিল ৷ যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যে জাতিভিত্তিক গণনা শুরু হোক ৷
আরও পড়ুন: তেজস্বীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির ভিত্তিতে জনগণনার দাবিতে মোদির কাছে নীতীশ
2010 সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ সরকার জাতীয় স্তরে এই জাতিভিত্তিক গণনায় রাজি হয়েছিল ৷ কিন্তু সে সময় গণনায় পাওয়া তথ্যগুলি কোনও কাজে লাগানো হয়নি ৷ 2022 সালের 2 জুন বিহারের মন্ত্রিসভায় এই জাতিভিত্তিক গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ৷ তার আগে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এই গণনা করতে অস্বীকার করে ৷ এই জাতি ভিত্তিক গণনা শেষবার হয়েছিল 1931 সালে ৷ মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার স্বয়ং ওবিসি গোষ্ঠীর ৷
বিহারে 38 টি জেলায় 2 কোটি 58 পরিবারে প্রায় 12 কোটি 70 লক্ষ মানুষের বাস ৷ 534টি ব্লক ও 261টি পৌরসভা আছে ৷ এ বছরের 31 মে এই গণনা শেষ হওয়ার কথা ৷ মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Nitish Kumar) জানিয়েছেন, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের উন্নয়নের জন্য এই গণনা (caste-based headcount) ৷ শেওহর জেলায় 'সমাধান যাত্রা'র দ্বিতীয় দিনে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "জাতি-ভিত্তিক গণনায় (caste-based headcount) সবাই উপকৃত হবেন ৷ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারবে সরকার ৷ এমনকী যারা এতদিন বঞ্চিত ছিল তাদের জন্যও কাজ হবে ৷ এই গণনা প্রক্রিয়ার শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট যাবে কেন্দ্রের কাছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "এটা আসলে জাতি উপর আধারিত গণনা (Jaati Aadharit Ganana) ৷ প্রতিটি ধর্মে এবং জাতির মানুষের তথ্য নেওয়া হবে ৷ এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রত্যেক আধিকারিককে যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৷" তবে এই তথ্য সংগ্রহ হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ৷ এই অ্যাপে জায়গা, জাতি, পরিবারে সদস্য সংখ্যা, তাঁদের পেশা এবং বার্ষিক আয় নিয়ে প্রশ্ন থাকবে ৷ শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, মনরেগা বা জীবিকা কর্মীরা (MGNREGA or Jeevika workers) বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই গণনার কাজ করবেন, জানালেন পটনার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রশেখর সিং ৷
আরও পড়ুন: আরও পিছতে পারে জনগণনা, মত আধিকারিকদের