আজমের, 28 জুলাই: রাজস্থানের কেকড়িতে ডিএসপি অফিসের বাইরে পেট্রল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা এক খনি ব্যবসায়ীর ! অভিযোগ আজ সকালে অশোক গৌতম নামে ওই খনি ব্যবসায়ী নিজের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ৷ জানা গিয়েছে, কেকড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় খনির অংশীদারি ব্যবসা রয়েছে তাঁর ৷ অভিযোগ সেই ব্যবসায় অংশীদাররা তাঁর 70 লক্ষের বেশি টাকার প্রতারণা করেছেন ৷ এ নিয়ে গত একবছর ধরে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন অশোক গৌতমের মা ৷ তার পর এ দিন সকালে ডিএসপি অফিসের বাইরে অশোক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ ৷ তাঁর শরীরের 60 শতাংশ পুড়ে গিয়েছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজস্থানের চুরুর বাসিন্দা পবন শর্মার ছেলে অশোক গৌতম কেকড়ির শান্তিনগরে ভাড়ায় থাকেন ৷ তিনি পেশায় একজন খনি ব্যবসায়ী ৷ অংশীদারির এই ব্যবসায় তাঁর অংশীদাররা 70 লক্ষের বেশি টাকার প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ ৷ এ নিয়ে প্রায় 1 বছর আগে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অংশীদার পরশ গুরজার এবং অনিল দধিচের বিরুদ্ধে ৷ সেই সময় কেকড়ি সিটি থানার আধিকারিক দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বলে অভিযোগ ৷
সেই মতো অভিযোগ দায়ের হওয়ার 2 দিনের মধ্যে 50 শতাংশ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা জানান পরশ গুরজার এবং অনিল দধিচ ৷ কিন্তু, সেই টাকা না পেয়ে ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন অশোক গৌতম ৷ এবার আরও একটি এফআইআপ দায়ের করেন খনি ব্যবসায়ী ৷ কিন্তু, অভিযোগ উঠেছে প্রায় 1 বছর হয়ে গেলেও এই মামলায় কোনও সুরাহা হয়নি ৷ এমনকি আদালতেও মামলাটি ওঠেনি বলে অভিযোগ ৷ এ দিন অশোক গৌমতের মা কিরণ শর্মা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা বহুবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷
আরও পড়ুন: দিল্লিতে মহিলাকে গুলি করে হত্যা, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু অভিযুক্তেরও
কোনও সুরাহা না হওয়ায় অশোক গৌতম এবং তাঁর মা এ দিন কেকড়ির ডিএসপি অফিসে যান অভিযোগ জানাতে ৷ সেখানেই অশোক গৌতম গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ৷ কিন্তু, তাঁর মায়ের অভিযোগ ঘটনার সময় তিনি জল খেতে গিয়েছিলেন ৷ সেই সময় এই ঘটনা ঘটে ৷ তাঁর সন্দেহ কেউ বা কারা তাঁর ছেলের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ৷ কিরণ শর্মার অভিযোগ তাঁর ছেলেকে খুন করার চেষ্টা হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক রঘু শর্মা-সহ কাউন্সিলর এবং বিরোধী বিজেপির একাধিক নেতার নামে অভিযোগ করেছিলেন অশোক গৌতম ৷ একটি ফেসবুক লাইভে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিধায়কের সঙ্গে অভিযুক্তদের ঘনিষ্ঠতার কারণে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ এর বাইরে একাধিক রাজনৈতিক ও বেসরকারি সংস্থার মালিকদের বিরুদ্ধে তাঁর খনি ব্যবসার ক্ষতির জন্য দায়ী করেছিলেন ৷