জম্মু, 1 এপ্রিল: পাকিস্তানের সীমান্তের ওপার থেকে ফের ড্রোন উড়ে এল শুক্রবার গভীর রাতে ৷ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বা বিএসএফের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে ৷ তারা জানিয়েছে, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনটি উড়ে আসতে দেখা যায় ৷ সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফের তরফে গুলি চালিয়ে ড্রোনটি নামানোর চেষ্টা করা হয় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে জম্মুর রামগড় এলাকার কাছে ৷
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বিএসএফ ৷ ড্রোনটি ভারতের দিকে পড়েছে কি না, সেটাই খুঁজে দেখা হচ্ছে ৷ বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ড্রোনে মাদক বা অস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল কি না, তা জানতেই এই তল্লাশি অভিযান চলছে ৷
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে যে শুক্রবার রাত 12টা 15 মিনিট নাগাদ একটি সন্দেহজনক আলো দেখতে পান বিএসফের জওয়ানরা ৷ আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর জম্মুর রামগড় এলাকায় সেটি দেখতে পেয়ে জওয়ানদের ড্রোন বলে সন্দেহ হয় ৷ তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালান ৷ কিছুক্ষণ পর থেকে আর আলো দেখা যায়নি ৷ বিএসএফের ধারণা, হয় ড্রোনটি পাকিস্তানের দিকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৷ অথবা ভারতের সীমানার মধ্যে ভেঙে পড়েছে ৷ সেই কারণেই শবিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হয় ৷
বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তপারের পাচারে ড্রোন এখন অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ৷ প্রায়ই ড্রোনের মাধ্যমে মাদক বা অস্ত্র কিংবা অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পাকিস্তানের ওপার থেকে এপারে পাঠানো হয় ৷ বহুক্ষেত্রে ড্রোন গুলি করে নামানো হয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে ৷ অনেক সময় মাদক উদ্ধার হয় ৷ অনেক সময় আবার অস্ত্র বা অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে ৷
গত দুই সপ্তাহে এই ধরনের ঘটনার দু’টি উদাহরণ মিলেছে ৷ একটি ঘটনা শুক্রবার রাতে ঘটেছে জম্মুর রামগড় এলাকায় ৷ এর আগের ঘটনাটি ঘটে গত 22 মার্চ ৷ ওই ঘটনাটি ঘটে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা জেলায় ৷ সেখানে চামলিয়ালে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপার থেকে একটি ড্রোন উড়ে আসছিল সেদিন ৷ বিএসএফের তৎপরতায় সেটিও নিষ্ক্রিয় করা হয় ৷
গত কয়েকমাসের হিসেব ধরলে ড্রোন উদ্ধারের এমন বহু ঘটনা ঘটেছে ৷ প্রশাসনের শীর্ষস্তরও এই সতর্ক ৷ কড়া নজর রাখেন সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানরা ৷ মাস কয়েক আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল ৷ কড়া পদক্ষেপের পরিকল্পনাও করা হয় ৷
আরও পড়ুন: শত্রুপক্ষের ড্রোন ধরবে ভারতীয় সেনার ‘অর্জুন’