কচ্ছ, 5 অক্টোবর: পাকিস্তানি নৌকা-সহ এক মৎস্যজীবীকে আটক করেছে বিএসএফ । মৎস্যজীবীর অধিকতর পরিচয় জানতে তদন্ত চলছে । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ কচ্ছের খাঁড়ি এলাকা থেকে ওই পাকিস্তানি মৎস্যজীবীকে আটক করা হয় ৷ কচ্ছের সামুদ্রিক সীমান্তে প্রায়শই প্রচুর পরিমাণে মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটে ৷ পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী থেকে মৎস্যজীবীরাও প্রায়ই ধরা পরে । এ দিন ভারতীয় জলসীমায় কচ্ছ-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে স্যার ক্রিক এলাকায় সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করে বিএসএফের একটি দল । সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে বিএসএফ কর্মীরা অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং স্যার ক্রিকের কাছে একটি ইঞ্জিন লাগানো কাঠের নৌকা-সহ এক পাকিস্তানি মৎস্যজীবীকে আটক করেন ।
পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ পুলিশ মৎস্যজীবীকে গ্রেফতার করেছে ৷ জিজ্ঞাসাবাদে পাকিস্তানি মৎস্যজীবীর নাম মোহাম্মদ খামেসা বলে জানা গিয়েছে । তাঁর বয়স 50 বছর । সূত্রের খবর, তিনি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের সুজাওয়াল জেলার উইল শাহবন্দরের বাসিন্দা । বিএসএফ জওয়ানরা পাকিস্তানি নৌকা এবং পাকিস্তানি মৎসজীবীর বিষয়ে আরও তদন্ত করছে ।
তবে এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে ৷ ঠিক এক সপ্তাহ আগে ভারতীয় জলসীমা থেকে 30 বছর বয়সি এক পাকিস্তানি নাগরিককে পাখি-সহ পাকড়াও বিএসএফ জওয়ানরা । যিনি পাখি ও কাঁকড়া ধরার লোভে কচ্ছের সামুদ্রিক সীমানায় প্রবেশ করেছিলেন । পাকিস্তানি জেলেরাও মাছ ধরার লোভে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করে ৷ যাদের সংখ্যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে প্রচুর ।
আরও পড়ুন: ভারতের জলসীমায় প্রবেশ, গুজরাতের 'হারামি নালা' থেকে পাক ট্রলার বাজেয়াপ্ত বিএসএফের
গুজরাতের কচ্ছ উপকূলের খাঁড়ি এলাকা থেকে এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তানি মৎসজীবীদের আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৷ ভালো মাছের সন্ধানে পাকিস্তানি মৎসজীবীরা জলসীমা লঙ্ঘন করে ভারতে প্রবেশ করেন ৷ তবে নিরাপত্তার কারণে তাদের সীমা অতিক্রম করতে বাধা দেওয়া হয় ৷ তাও বেআইনিভাবে প্রবেশ করায় বেশিরভাগ সময় পাকিস্তানি মৎসজীবীরা বিএসএফের হাতে আটক হন ৷