জয়সলমেঢ়, 28 ডিসেম্বর: ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন বর্ডার জয়সলমেঢ় জেলার শাহগড় এলাকায় শিকারী ঈগলকে ধরেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। তথ্য অনুযায়ী, জয়সলমেঢ়ের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দক্ষিণ সেক্টর ডাবলার ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা বুধবার সন্ধ্যায় এই ঈগলটিকে পাকড়াও করেছেন ৷
ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন বর্ডার জয়সলমেঢ় জেলার শাহগড় এলাকায় একটি ঈগলকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের দ্বারা পাকড়াও করার খবর মিলেছে ৷ তথ্য অনুযায়ী, জয়সলমেঢ়ের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের দক্ষিণ সেক্টর ডাবলার ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা এটিকে ধরেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঈগলটিকে ধরা হয় বলে জানানো হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, এই ঈগলটি কারও পোষা ৷ পাখিটির পায়ের নখে একটি আংটিও মিলেছে বলে খবর। আর তা থেকেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অনুমান এটি আদতে পোষা পাখি ৷ তবে এখনও পর্যন্ত সীমান্তের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা বাহিনী কোনও ধরনের ট্রান্সমিটার বা ওই ধরণের কিছু পাখিটির থেকে পায়নি বলেই দাবি ৷ তদন্ত শেষে এই ঈগলটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
বর্তমানে বন বিভাগের দল এই ঈগলটির দেখভাল করছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া এই ঈগলের নখের আংটিও পরীক্ষা করা হবে বলে খবর মিলেছে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় ধরা পড়া এই পাকিস্তানি ধারার পাখিটি সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তদন্তে এই ঈগলের গায়ে কোনও ট্রান্সমিটার বা অ্যান্টেনা মেলেনি ৷ তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই ঈগলটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করলেও বিভাগীয় তদন্ত চলবে বলেই জানানো হয়েছে ৷ অন্যদিকে, এই ঈগলটি আরব রাজপরিবারের সদস্যদেরও হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে ৷ যারা হুবারা পাখি শিকারের জন্য জয়সলমেঢ় সীমান্তের সামনে এই সময়ে সাধারণত পাকিস্তানে এসে থাকেন।
অন্যদিকে, সীমান্তে ধরা পড়া ঈগলকে বিএসএফ আহত অবস্থায় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেছিল। এরপর বন বিভাগের উদ্ধার কেন্দ্রে ঈগলটির মৃত্যু হয় বলে খবর। বন বিভাগের রেঞ্জার কানভরাজ সিং জানান, বিএসএফ বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার কিছুক্ষণের মধ্যে ঈগলটি মারা যায়। এখন বন বিভাগের দল ঈগলটিকে নিয়ে সরকারি পশু হাসপাতালে পৌঁছেছে। যেখানে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর বিষয়টি জানা যাবে।
জানা গিয়েছে, আরব রাজপরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর শিকারের জন্য এই শীতের সময় পাকিস্তানে আসেন ৷ তারা মূলত ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে এসেই পাখি শিকার করে থাকেন। আরবের শেখরা তাদের সাথে কয়েক ডজন প্রশিক্ষিত শিকারী বাজপাখিও নিয়ে আসেন। মাঝে মাঝে পথ হারিয়ে রাজস্থানের সীমান্ত এলাকায় চলে আসে এরা। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান সরকার তাদের শিকারের অনুমতি দেয়। বিনিময়ে তারা তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও হাতিয়ে নেয় ৷ আর এটাই তাদের প্রবণতা বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুন
মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদকে ভারতে পাঠানো হোক, পাকিস্তানকে চিঠি বিদেশমন্ত্রকের
বারামুল্লায় লস্কর জঙ্গির সহযোগী সন্দেহে গ্রেফতার এক ব্যক্তি , উদ্ধার অস্ত্র ও গোলাবারুদ
আর্থিক তছরুপের মামলার চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধির নাম উল্লেখ ইডি'র