হায়দরাবাদ, 18 মার্চ: 'শ্বশুরবাড়ি অনেক দূর, আর যাব না' ! সাতজন্মের সম্পর্ককে সাতঘন্টা পেরিয়েই, মাঝ রাস্তা থেকে বাড়ি ফিরে গেলেন নববধূ (Bride of Varanasi Returned midway) ৷ নতুন কনের কাণ্ডকারখানায় তাজ্জব পাত্রপক্ষের পরিবার ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের মহারাজপুরে ৷
এসিপি চকোরি অমরনাথ যাদব জানিয়েছেন, বারাণসীর ভেলুপুরের বাসিন্দা ওই পাত্রীর বিয়ে হয়েছিল রাজস্থানের বিকানেরের পাত্রের সঙ্গে । শুক্রবার বিদায়ের পর, কনে তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে বিকানেরের উদ্দেশ্যে রওনা হন ৷ কিন্তু মহারাজপুরের কাছে আচমকাই গাড়ি থামাতে বলেন নববধূ ৷ পাত্রপক্ষের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই, কনে রাস্তায় নেমে কান্নাকাটি করতে থাকেন আর বলেন, শ্বশুরবাড়ি অনেকদূর ! তাই তিনি সেখানে যেতে চান না ! তাছাড়া, শ্বশুরবাড়ি রাজস্থানে এই কথা জানার পরেই তিনি এই বিয়ে করতেও চাননি ৷ অতএব, বারাণসীতে নিজের মায়ের কাছেই ফিরতে চেয়ে কাদঁতে থাকেন কনে ৷
আরও পড়ুন: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আপত্তিকর অবস্থায় স্ত্রী ! গায়ে মদ ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা ব্যক্তির
এসিপি চকোরি অমরনাথ আরও জানিয়েছেন, সেই সময় মহারাজপুরের রাস্তায় ঘুরছিল পুলিশ রেন্সপন্স ভেহিক্যাল (Police response vehicle) বা পিআরভি ৷ তাঁর বধূসাজে ওই মেয়েটিকে রাস্তার মধ্যে কান্নাকাটি করতে দেখে এগিয়ে যান ৷ পুরো বিষয়টি জানাল পরেই, পুলিশ কর্মীরা খবর দেন মহারাজপুর থানায় ৷ এসএইচও সতীশ রাঠোর আসলে, দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে আসা হয় ৷
এইএইচও সতীশ রাঠোর পুরো বিষয়টি খবরাখবর নিতে থাকেন ৷ জানা গিয়েছে, পাত্রী প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন ৷ তাই নাবালিকা বিয়ের প্রশ্ন ছিল না ৷ এরপর তৎক্ষনাৎ পুলিশ বারাণসীর ভেলুপুর থানায় খবর পাঠান ৷ সেখান থেকে কনের বাড়ি যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন ৷ তাই এই বিষয় সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না ৷
অনেক বোঝানোর পরেও নববধূ বারবার বাড়ি ফিরতে চাইলে, মহারাজপুর থানা থেকেই দুই পুলিশ কর্মীর সঙ্গে তাঁকে বারাণসী পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় ৷ পাশাপাশি, পাত্রপক্ষের পরিচয়পত্রও যাচাই করে তাদের ফেরত পাঠানো হয় রাজস্থানে ৷