হায়দরাবাদ, 10 মার্চ: চাহিদা মতো পণ না-পেয়ে বরপক্ষ বিয়ে বাতিল করে দিয়েছে, এমন ঘটনা আজও মাঝেমধ্যেই শোনা যায় ৷ উলটো দিকে, পণপ্রথার প্রতিবাদে সরব হয়ে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন, এমন পাত্রীর সংখ্য়াও নেহাত কম নয় ৷ কিন্তু, মন মতো পণ না-পেয়ে পাত্রী নিজেই বিয়ে ভেঙে দিচ্ছেন (Bride cancelled Wedding), এমন ঘটনা বড় একটা দেখা যায় না ৷ এমনই আজব উলট পুরাণের সাক্ষী থাকল তেলেঙ্গানার মেডচাল-মালকানগিরি ৷
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ঘাটকেশর থানা এলাকায় ৷ এই এলাকার বাসিন্দা এক তরুণীর বিয়ের সবকিছুই স্থির হয়ে গিয়েছিল ৷ পণবাবদ অন্য়ান্য উপহার সামগ্রীর পাশাপাশি বরপক্ষকে নগদ 2 লক্ষ টাকা দিতে সম্মত হয়েছিল পাত্রীর পরিবার ৷ কিন্তু, বিয়ের ঘণ্টাখানেক আগে পাত্রী জানিয়ে দেন, তিনি এই বিয়ে করতে পারবেন না ৷ কারণ, তাঁর পরিবার তাঁকে যে পরিমাণ পণ দিয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছে, তা যথেষ্ট নয় ! তাদের বিয়ের পণবাবদ আরও টাকা দিতে হবে ! কিন্তু, পাত্রীর পরিবার সেই বন্দোবস্ত করতে পারেনি ৷ আর তাই বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রী ! পাত্রকে ফিরে যেতে হয় বিয়ে না করেই !
কনের এমন দাবি শুনে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত সকলেই তাজ্জব বনে যান ৷ কালক্ষেপ না-করে বরের পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান ৷ সব শুনে পুলিশের আধিকারিকরাও হতভম্ব হয়ে যান ৷ তাঁরা বলছেন, এমন ঘটনা আগে কখনও দেখেননি ! পুলিশের আরও বক্তব্য হল, পাত্র যদি পণের টাকা না-পেয়ে বিয়ে বাতিল করেন, তাহলে আইনত পদক্ষেপ করা যেতে পারে ৷ কিন্তু, পাত্রীই যদি তাঁর পরিবারের কাছ থেকে পণবাবদ আরও টাকা চান, এবং তা না পেয়ে বিয়ে বাতিল করেন, তাহলে পুলিশের এক্ষেত্রে কী করণীয় থাকতে পারে !
আরও পড়ুন: যৌতুকে দেওয়া টাকা গুনতে পারেনি বর, বিয়ে ভাঙল কনে
প্রসঙ্গত, ঘাটকেশর এলাকার একটি ম্য়ারেজ হলে এই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল গত 9 মার্চ সন্ধে 7টা 21 মিনিটে ৷ পুলিশ চেষ্টা করেছিল, যাতে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফেলা যায় ৷ কিন্তু, তা করা যায়নি ৷ ফলে, বিয়ে না-করেই ফিরে যেতে হয় বরকে ৷