ETV Bharat / bharat

Bombay HC: 29 সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বিশেষভাবে সক্ষম ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি বম্বে হাইকোর্টের

Bombay High court allows abortion to rape victim: 29 সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় থাকা বিশেষভাবে সক্ষম ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্ট ৷ গর্ভপাতের পর যুবতীর মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করতে হবে আদালতে ৷

Bombay HC Allows Abortion
ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্ট
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 12, 2023, 6:53 PM IST

মুম্বই, 12 অক্টোবর: 29 সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বিশেষ ভাবে সক্ষম ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্ট ৷ মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের ওই নিগৃহীতার গর্ভপাতে অনুমতি দেওয়ার জন্য তাঁর বাবা-মা বম্বে হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরের বেঞ্চ সোমবার ওই বিশেষ ভাবে সক্ষম অন্তঃসত্ত্বাকে তাঁর 29 সপ্তাহের ভ্রূণ অপসারণের অনুমতি দিয়েছে । আগামিকাল গর্ভপাতের পরের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি । তবে জীবিত শিশুর জন্ম হলে, তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নিতে হবে বলে জানায় আদালত ৷

কোলাপুর জেলায় 25 বছর বয়সি ওই যুবতী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর গর্ভবতী হয়ে পড়েন ৷ তাঁর বাবা-মা যখন বিষয়টি বুঝতে পারেন ততদিনে ওই যুবতীর গর্ভাবস্থার 29 সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে ৷ অন্তঃসত্ত্বা বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ায় তাঁর পরিবার আদালতকে জানায় যে, একটি শিশুর জন্ম হলে নির্যাতিতা তাঁর সন্তানের যত্ন নিতে পারবেন না । নিগৃহীতার 29 সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় তাঁর গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে অনুরোধ করেন তাঁর বাবা-মা ৷

এই আবেদন পাওয়ার পর আদালত চিকিৎসকদের একটি কমিটি গঠন করে ৷ সেই কমিটির দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গর্ভপাতের অনুমোদন দেয় আদালত । বিচারপতি রেবতী মোহিতে দের, বিচারপতি গৌরী গডসের বেঞ্চের সামনে ধর্ষিতার আইনজীবী সায়মা আনসারি ওই যুবতীর বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পেশ করেন । আইনজীবীরা জানান যে, অন্তঃসত্ত্বা সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত । তিনি নিজের কাজই ঠিকমতো করতে পারেন না । তাই তিনি শিশুর যত্ন নিতে পারবেন না। তবে এমন কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট থাকলে তা আদালতে জমা দিতে বলে আদালত ।

আরও পড়ুন: 26 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বিবাহিতাকে গর্ভপাতে অনুমতি ? দ্বিধাবিভক্ত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ

গত 9 অক্টোবর মেডিক্যাল রিপোর্টে অন্তঃসত্ত্বার স্বাস্থ্যের বিষয়ে তথ্য আদালতে জানানো হয় ৷ সেখানে জানানো হয়েছে, ধর্ষণের পর তিনি আরও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন । যদি তিনি সন্তানের জন্ম দেন, তবে তাঁর মৃত্যুও হতে পারে । এ ছাড়াও তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ায় এমনিতেই তাঁর সমস্যা রয়েছে ৷ সেই কারণে 29 সপ্তাহের গর্ভাবস্থা হয়ে গেলেও তাঁর গর্ভপাত করানো প্রয়োজন ৷

অভিভাবকদের আবেদন এবং মেডিক্যাল কমিটি বাস্তবসম্মত রিপোর্ট দেওয়ার পর আদালত গর্ভপাতের অনুমোদন দেয় । আদালত জানায়, শিশুর জন্ম হলে তার জীবন বাঁচানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের । সে জন্য আদালত বলেছে, "চিকিৎসকের দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্টের পর আমরা 29 সপ্তাহের ভ্রূণের গর্ভপাতের অনুমোদন দিচ্ছি । যদি শিশুটি জীবিত হয়, তবে তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারের উপর বর্তাবে ।" আগামী 13 অক্টোবর শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীর রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

মুম্বই, 12 অক্টোবর: 29 সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় বিশেষ ভাবে সক্ষম ধর্ষিতাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল বম্বে হাইকোর্ট ৷ মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের ওই নিগৃহীতার গর্ভপাতে অনুমতি দেওয়ার জন্য তাঁর বাবা-মা বম্বে হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ বিচারপতি রেবতী মোহিতে দেরের বেঞ্চ সোমবার ওই বিশেষ ভাবে সক্ষম অন্তঃসত্ত্বাকে তাঁর 29 সপ্তাহের ভ্রূণ অপসারণের অনুমতি দিয়েছে । আগামিকাল গর্ভপাতের পরের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি । তবে জীবিত শিশুর জন্ম হলে, তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে নিতে হবে বলে জানায় আদালত ৷

কোলাপুর জেলায় 25 বছর বয়সি ওই যুবতী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর গর্ভবতী হয়ে পড়েন ৷ তাঁর বাবা-মা যখন বিষয়টি বুঝতে পারেন ততদিনে ওই যুবতীর গর্ভাবস্থার 29 সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে ৷ অন্তঃসত্ত্বা বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ায় তাঁর পরিবার আদালতকে জানায় যে, একটি শিশুর জন্ম হলে নির্যাতিতা তাঁর সন্তানের যত্ন নিতে পারবেন না । নিগৃহীতার 29 সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় তাঁর গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে অনুরোধ করেন তাঁর বাবা-মা ৷

এই আবেদন পাওয়ার পর আদালত চিকিৎসকদের একটি কমিটি গঠন করে ৷ সেই কমিটির দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে গর্ভপাতের অনুমোদন দেয় আদালত । বিচারপতি রেবতী মোহিতে দের, বিচারপতি গৌরী গডসের বেঞ্চের সামনে ধর্ষিতার আইনজীবী সায়মা আনসারি ওই যুবতীর বিষয়ে যাবতীয় তথ্য পেশ করেন । আইনজীবীরা জানান যে, অন্তঃসত্ত্বা সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত । তিনি নিজের কাজই ঠিকমতো করতে পারেন না । তাই তিনি শিশুর যত্ন নিতে পারবেন না। তবে এমন কোনও মেডিক্যাল রিপোর্ট থাকলে তা আদালতে জমা দিতে বলে আদালত ।

আরও পড়ুন: 26 সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বিবাহিতাকে গর্ভপাতে অনুমতি ? দ্বিধাবিভক্ত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ

গত 9 অক্টোবর মেডিক্যাল রিপোর্টে অন্তঃসত্ত্বার স্বাস্থ্যের বিষয়ে তথ্য আদালতে জানানো হয় ৷ সেখানে জানানো হয়েছে, ধর্ষণের পর তিনি আরও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন । যদি তিনি সন্তানের জন্ম দেন, তবে তাঁর মৃত্যুও হতে পারে । এ ছাড়াও তিনি বিশেষ ভাবে সক্ষম হওয়ায় এমনিতেই তাঁর সমস্যা রয়েছে ৷ সেই কারণে 29 সপ্তাহের গর্ভাবস্থা হয়ে গেলেও তাঁর গর্ভপাত করানো প্রয়োজন ৷

অভিভাবকদের আবেদন এবং মেডিক্যাল কমিটি বাস্তবসম্মত রিপোর্ট দেওয়ার পর আদালত গর্ভপাতের অনুমোদন দেয় । আদালত জানায়, শিশুর জন্ম হলে তার জীবন বাঁচানোর দায়িত্ব রাজ্য সরকারের । সে জন্য আদালত বলেছে, "চিকিৎসকের দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্টের পর আমরা 29 সপ্তাহের ভ্রূণের গর্ভপাতের অনুমোদন দিচ্ছি । যদি শিশুটি জীবিত হয়, তবে তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারের উপর বর্তাবে ।" আগামী 13 অক্টোবর শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীর রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.