জলগাঁও, 14 জুন : শিবসেনার সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করা হয়েছে ৷ 2014-19 পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে শাসক জোটে থাকার সময় দলটাকে শেষ করার চেষ্টাও হয়েছে ৷ রবিবার জলগাঁওতে দলীয় সভায় বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত ৷ এর আগের দিন শিবসেনা প্রধান মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে বলেন, "আমি নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করতে যাইনি ৷ যদি তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে আলাদ করে দেখা করে থাকি, তাতে কোনও ভুল নেই ৷"
আরও পড়ুন : 5 মিনিটে 2 কোটির জমি 18.5 কোটি ! দুর্নীতির অভিযোগ রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে
এর পরই শিবসেনার নেতা সঞ্জয় অতীতে বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, "এসব সত্ত্বেও শিবসেনা গত 5 বছরে ক্ষমতায় রয়েছে ৷ প্রত্যেক গ্রাম থেকে শিবসেনাকে মুছে ফেলার পদক্ষেপ করা হয়েছিল ৷" বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে মহারাষ্ট্রের সরকারে শিবসেনা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) আর কংগ্রেস জোট নাও থাকতে পারে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আড়াই বছর পর শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হবে, এটা গুজব ৷ তিনটি দল একসঙ্গে সরকার গড়ার সময়ই ঠিক করেছিল উদ্ধব ঠাকরে 5 বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন ৷ কেউ এরকম কিছু বললে, তা মিথ্যে আর ভুয়ো ৷" 2019-এ মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের পর মন্ত্রীত্ব নিয়ে বিতর্কের জেরে বিজেপি-শিবসেনা জোট ভেঙে যায় ৷
সঞ্জয় এটাও মনে করিয়ে দেন যে, তিনটি দলের একসঙ্গে কাজ করছে মানে সেটা জোট ৷ তিনি বলেন, "প্রত্যেকটা নির্বাচনই আমরা একসঙ্গে লড়ব এমন নয় ৷ আঞ্চলিক ভোটে স্থানীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন ৷" লোকসভা আর বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রেই শুধু শিবসেনার শীর্ষ নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন সঞ্জয় ৷