গান্ধিনগর, 12 অক্টোবর : গুজরাত (Gujarat) নিয়ে কি চিন্তায় রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও অমিত শাহ (Amit Shah) ? ওই রাজ্যের ক্ষমতা কি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিজেপির (BJP) এই হেভিওয়েট জুটি ?
মঙ্গলবার আচমকাই ভারতের রাজনীতিতে এই প্রশ্নগুলি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে ৷ তার কারণ গুজরাত বিজেপির সভাপতি সি আর পাটিলের একটি মন্তব্য ৷ এদিন দলের একটি কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে তিনি জানান, গুজরাতের অন্তত 100 টি আসনে নতুন-মুখকে প্রার্থী করা হবে ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতাই যোগ্যতম, কংগ্রেসকে বিঁধে বোঝাল তৃণমূল
সম্প্রতি গুজরাত সরকারের খোলনলচে বদলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ বিজয় রূপানিকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে ভূপেন্দ্র প্য়াটেলকে ৷ তার পুরো মন্ত্রিসভাই বদলে ফেলা হয়েছে ৷ তার পর সি আর পাটিলের এই মন্তব্য নতুন জল্পনার জন্ম দিল ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন 1998 সালে গুজরাতের মসনদে বসে বিজেপি ৷ মুখ্যমন্ত্রী হন কেশুভাই প্যাটেল ৷ 2002 সালে তাঁকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় নরেন্দ্র মোদিকে ৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনিই ওই পদে ছিলেন ৷
আরও পড়ুন : Yogi Adityanath : প্রতিষ্ঠান বিরোধী ঝড়ে উড়ে যাবে যোগী সরকার, আশাবাদী কংগ্রেস
2014 সালে মোদির পর গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হন আনন্দীবেন প্যাটেল ৷ কিন্তু 2016 সালে বিজয় রূপানিকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় ৷ 2017 সালের ডিসেম্বরে তাঁর নেতৃত্বেই ভোটে লড়ে বিজেপি ৷ 112টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফেরে গেরুয়া শিবির ৷
ফলে বলাই যায় যে 100 জন নতুন নেতাকে প্রার্থী করতে গেলে অধিকাংশ বিধায়ককে বাদ দিতে হবে ৷ সেক্ষেত্রে ক্ষোভ বাড়তে পারে গুজরাত বিজেপির অন্দরে ৷ তা আঁচ করতে পেরেই সম্ভবত এদিনই সেখানকার সভাপতি সি আর পাটিল জানিয়েছেন যে প্রার্থী ঠিক করার ভার থাকবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে ৷ তাই টিকিটের দরবার যেন তাঁর কাছে করা না হয় ৷
আরও পড়ুন : Shopian Encounter: শোপিয়ানে এনকাউন্টারে মৃত 3 লস্কর জঙ্গি
প্রসঙ্গত, এই মন্তব্য করেছেন গুজরাতের বিজেপি সভাপতি ৷ গেরুয়া শিবিরের জাতীয় নেতৃত্বের তরফে এখনও কেউ কিছু এই বিষয়ে ইঙ্গিত দেননি ৷ তবে রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য ভবিষ্যতের বড় বদলের ইঙ্গিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
তাই প্রশ্ন উঠছে, এমন সিদ্ধান্তের পথে কেন হাঁটতে চলেছে মোদি-শাহ জুটি ? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, 2017 সালের বিধানসভা ভোটের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে কড়া টক্কর দিয়েছিল বিরোধীরা ৷ ফলে এবার প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা আরও বাড়তে পারে ৷ পুরনো বিধায়কদের প্রতি ক্ষোভও রয়েছে ৷ সেই কারণেই বিজেপি এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : Rajouri : সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে রাজৌরিতে শহিদ 5 সেনা জওয়ান