তিরুবনন্তপুরম (কেরল), 29 অক্টোবর: কেরলের মালাপ্পুরমে অনুষ্ঠিত প্যালেস্তাইনের সমর্থনে হওয়া মিছিলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করলেন হামাসের প্রাক্তন প্রধান খালেদ মাশাল ৷ শুধু তাই নয়, আরবি ভাষায় ভাষণও দিলেন জঙ্গি সংগঠনের এই প্রাক্তন নেতা। তাঁর মিছিলে অংশগ্রহণ রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি।
কেরল বিজেপির সহ-সভাপতি ভিটি রেমার কথায়, "এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দেশেও ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের আসল রূপ দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। হামাসের প্রাক্তন প্রধানের মিছিলে অংশ নেওয়ার খবরটি খুবই হতাশাজনক। কেরলে হামাস তাদের মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। এটা দেখা সত্যিই দুঃখজনক। সবাই জানে হামাস আচমকা ইজরায়েলে আক্রমণ করেছে ।"
কেরলে জামাত-ইসলামির যুব শাখা সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্টের তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হামাস নেতা খালেদ মাশাল অংশ নিয়েছিলেন। হামাসের প্রাক্তন প্রধান আরবি ভাষায় সমাবেশে ভাষণ দেন। সমাবেশের পরে কেরলের বিজেপি সভাপতি কে সুরেন্দ্রন জানান, এই ধরনের ঘটনাগুলি মেনে নেওয়া যায় না ৷ এইন প্রসঙ্গে তিনি রাজ্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেন।
বিজেপি নেতা বলেন, "মালাপ্পুরমে সলিডারিটি অনুষ্ঠানে হামাস নেতা খালেদ মাশেলের বক্তব্য রাখার বিষয়টি উদ্বেগজনক। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কেরল পুলিশ কোথায় ছিল ? সেভ প্যালেস্টাইন-এর আড়ালে এই অনুষ্ঠানে হামাস এবং তার নেতাদের যোদ্ধা বলে অভিহিত করা হয়েছে। এটা কোনওভাবেই কাম্য নয়।" এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলি বিমানহানায় নিহত হামাসের এরিয়াল ইউনিটের প্রধান
এদিকে, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ রবিবার 23তম দিনে প্রবেশ করেছে । ইতিমধ্যেই ভারত 7 অক্টোবর ইজরায়েলে হওয়া হামাসের হামার তীব্র নিন্দা করেছে। ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির স্পষ্ট কথা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তার সমস্ত শক্তি দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে ৷ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের কোনও ক্ষোভ রাখলে হবে না।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই মাসের শুরুতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, "প্যালেস্তাইনের একটি ইস্যুও ছিল এবং সেই বিষয়ে আমরা একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান করার জন্য সরাসরি আলোচনার পক্ষে আমাদের অবস্থানের কথা জানিয়েছি। আমরা হতাহতের ঘটনা এবং মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেছি। আন্তর্জাতিক মানবিক আইন কঠোরভাবে পালন করতে হবে ৷"
(সংবাদ সংস্থা- এএনআই)